তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় শ্রমিকের রহস্য জনক মৃত্যু,বাড়ির মালিক আত্নগোপন

ভালুকায় শ্রমিকের রহস্য জনক মৃত্যু,বাড়ির মালিক আত্নগোপন
[ভালুকা ডট কম : ০৯ আগস্ট]
বৃহস্পতিবার(৯আগস্ট)সকালে ভালুকা উপজেলার কাশর গ্রামের হারুন অর রশিদের বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্কির গর্তে কাজ করতে গিয়ে মাটি কাটা এক শ্রমিকের রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বাড়ির মালিক আত্নগোপনে রয়েছেন। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, হবিরবাড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কাশর গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে হারুন অর রশিদ মিল শ্রমিকদের ভাড়া দেয়ার জন্য একটি হাফ বিল্ডিং টিন সেট ঘর নির্মাণ করেন। ৮/১০দিন পূর্বে বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্কি বানানোর জন্য ৪/৫জন মাটিকাটা শ্রমিককে দিন মজুরি চুক্তি দেন। শ্রমিকরা প্রায় ১৫ফুট গভীর একটি বিশাল গর্ত করে। বাড়ির মালিক দাবী করেন “ঘটনার দিনে সকালে মাটি কাটা শ্রমিক নেত্রকোণা জেলার আব্দুল হামিদের ছেলে আহাদ মিয়া(৫৫) কাজ করার সময় উপর থেকে গর্তে পড়ে যায়”। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসার পথে মারা যান।

ঘটনার পর বাড়ির মালিক হারুন অর রশিদের কাছে শ্রমিকের নাম ঠিকানা চাইলে তিনি কোন নাম ঠিকানা দিতে পারেন নি। তিনি বলেন,কাজ করার সময় ওই শ্রমিক আহত হলে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) ভর্তি করা হয়েছে। কোন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে জানতে চাইলে হারুন বলেন আমি শ্রমিকের পরিবারের সাথে কথা বলে জানাচ্ছি।

নিহত শ্রমিকের প্রকৃত বাড়ি নেত্রকোণা জেলায়। ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লেখা রয়েছে গাজীপুর জেলার শ্রীপূর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায়। ঘটনার পর থেকে বাড়ির মালিকের আত্নগোপন হওয়া। নিহতের বাড়ির ঠিকানা ও লাশ গোপন করা। ভালুকা মডেল থানার জরুরী অফিসার এস,আই নবী হোসেন ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরও রহস্য জনক কারণে নিহত ব্যক্তির নাম পরিচয় সংগ্রহ করতে পারেন নি। এ সব ঘটনার ফলে শ্রমিকের এ মৃত্যু নিয়ে ধোমরুজালের সৃষ্টি হয়েছে।

শ্রমিকটি যদি গর্তে পড়েই মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে থানা পুলিশকে কেন অবগত না করে লাশ নিয়ে গেলো? লাশ কোথায় নিয়ে গেছে কেউ বলতে পাড়ছে না। না থানা পুলিশ,না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, না এলাকার সাধারণ মানুষ, তবে বাড়ির মালিক হারুন অর রশিদ বলেন,সেফটি ট্যাঙ্কির গর্তে পড়ে এক শ্রমিক আহত হয়েছে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধিন রয়েছে।

ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা.মোস্তাক আলম জানান, সকালে মৃত অবস্থায় একজন পুরুষ রোগিকে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে আমরা ইসিজি করে দেখি লোকটিকে হাসপাতালে আনার আগেই রাস্তায় মারা গেছেন। লাশটি সাথে একজন মহিলা ছিল তারা নিহত ব্যক্তির ঠিকানা দিয়েছে শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকা।

ভালুকা মডেল থানার এস,আই নবী হোসেন বলেন,আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম শুনেছি একজন শ্রমিক মারা গেছে নাম ঠিকানা পাইনি। নিহত ব্যক্তির পক্ষ থেকে যেহেতু কেউ কোন অভিযোগ নেই আমাদের কিছুই করা নেই।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই