তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

হাটু সমান কাঁদার উপড় দিয়েই চলছে ৫ গ্রামের মানুষ

নওগাঁয় হাটু সমান কাঁদার উপড় দিয়েই চলাফেরা করছেন ৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ
[ভালুকা ডট কম : ১৩ আগস্ট]
রাস্তাতো নই যেন ধানের চারা রোপনের জন্য সদ্য হালচাষ করা জমি। নওগাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ মাটির রাস্তা দীর্ঘদিন সংস্কার ও পাকাকরন না করায় ৫টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার জনসাধারনকে চরম দূর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়তই। এমনকি বর্ষা মৌসুমে প্রায় আড়াই কিমি রাস্তাটি সম্পুর্ন হাটু সমান কাঁদার সৃষ্টি হওয়ায় ঐ ৫ গ্রামের জনসাধারন ও কৃষকরা তাদের জমিতে ফলানো বিভিন্ন ফসল বিক্রির জন্য হাট-বাজারে নিয়ে যেতে পারছে না বলেও ভুক্তভোগীরা জানান।

নওগাঁর পত্নীতলা একটি ঠাঁ ঠাঁ বরেন্দ্র অধ্যুষিত একটি উপজেলা। সেই উপজেলার কৃষ্নপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া মোড় থেকে শ্যামবাটি গ্রামীণ এই রাস্তাটিতে এখনো লাগেনি কোন আধুনিকতার ছোঁয়া। চলতি বর্ষা মৌসুমে আকাশের বৃষ্টিতে প্রায় আড়াই কিমি রাস্তাটি সম্পুর্ন হাটু সমান কাঁদায় পরিনত হয়ে যায়। প্রতি সপ্তাহে একদিন শনিবার ডাঙ্গাপাড়া মোড় বাজারে হাট বসে। আর হাটের দিন হওয়াই ঐ হাটু সমান কাঁদার মধ্যে দিয়েই অনেক লোকজনকে সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বা বাজার করতে আসতে দেখা যায়।

হাটু-সমান কাঁদার পেড়িয়ে আসা ডাঙ্গাপাড়া মোড় বাজার ও হাটের দোকানী (ব্যবসায়ী) ও চকগোবিন্দ গ্রামের রশিক টুডুর ছেলে হেমন্ত টুডু (২৭) বলেন, গ্রামীণ এ মাটির রাস্তা দিয়েই আমি চরম দূর্ভোগের মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করি শুধু আমি না আমাদের গ্রাম সহ মোট ৫ টি গ্রাম চকগোবিন্দ, শ্যামবাটি, মাঙ্গালপাড়া, হঠাৎপাড়া ও কৃষ্নবল্লব গ্রামের প্রায় ৩ হাজার লোকজন নওগাঁ জেলা সদর ও পত্নীতলা উপজেলা সদরসহ হাট-বাজার করতে এই একটি মাত্র রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিনের পুরাতন এ মাটির রাস্তাটিই ৫ টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার লোকজনের চলাফেরার একমাত্র রাস্তা হলেও এ রাস্তাটি পাকা করনের জন্য উদ্যোগ এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি। বিষ্ণপুর গ্রামের মৃত বিশ্বনাথ মহন্তর ছেলে মুকুল চন্দ্র মহন্ত (৩৫) ও চকগোবিন্দ গ্রামের মৃত উপেন্দনাথ রায় এর ছেলে নগেন চন্দ্র রায় (৮৫) বলেন, গ্রামীণ জনপদকে উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত করে কখনো একটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন কখনই সম্ভব নয়। এই রাস্তা দিয়ে শিশুসহ বৃদ্ধদের যাওয়া-আসার সময় ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

তারা আরো বলেন, প্রতি বছরের বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি হাটু-সমান কাঁদার সৃষ্টি হওয়াই আমরা গ্রামের জনসাধারন চরম দূর্ভোগের মধ্যেদিয়ে চলাফেরা করতে বাধ্য হই। এমনকি প্রতি বছরের বর্ষা মৌসুমে আমাদের গ্রাম সহ ৫ টি গ্রামের আমরা সাধারন কৃষকরা মাঠের জমিতে ফলানো ফসল পর্যন্ত হাট বা বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যেতে পারি না। কারন বর্ষা মৌসুমে খালিপায়ে হাটু-সমান কাঁদার উপড় দিয়ে চলাফেরা করতে পারলেও কোন প্রকার বাহন বিশেষ করে ভ্যান চলাচল এ রাস্তায় বন্ধ থাকায় আমাদের কষ্টে ফলানো ফসল পর্যন্ত হাট-বাজারে নিতে পারি না।

স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ আলহাজ্ব শহিদুজ্জামান সরকার বাবলু বলেন, গ্রামীন এই রাস্তাটির বেহাল দশার কথা জানি। খুব অল্প দিনের মধ্যেই এই রাস্তাটির সংস্কার ও আধুনিকমানের রাস্তা নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই