তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় পিডিবি’র প্রি-প্রেইড মিটার ব্যবহারে খরচ চারগুণ বেশি

ভালুকায় ডিজিটাল মিটারের স্থলে প্রি-প্রেইড মিটার ব্যবহারে পিডিবি’র গ্রাহকদের মাসে চারগুণ বেশি টাকা খরচের অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ২০ আগস্ট]
ভালুকায় পিডিবির ডিজিটাল মিটার বাদ দিয়ে হঠাৎ বাধ্যতামূল প্রি-প্রেইড মিটার ব্যবহারে  আগের চেয়ে চারগুণ বেশি টাকা খরচ হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি নতুন প্রি-প্রেইড মিটার লাগানোর পর থেকে যেখানে প্রতি মাসে ডিজিটাল মিটারে ২৩০ টাকা খরচ হতো, সেখানে প্রি-প্রেইড মিটারে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হচ্ছে।

পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, ভালুকা পৌরএলাকায় প্রথম পর্যায়ে সাড়ে তিন হাজার প্রি-প্রেইড মিটার লাগানো জন্য নির্দেশনা থাকলেও এ পর্যন্ত ১৬ হাজার মিটার লাগানো হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের মিটার লাগানো শেষ হলে আরো বরাদ্দ আসবে এবং এক সময় আগের সব ডিজিটাল মিটার বাদ দিয়ে উপজেলার সর্বত্রই প্রি-প্রেইড মিটারের আওতায় আনা হবে।

ভূক্তভোগী একাধিক গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রথম বাজার থেকে টাকা দিয়ে ক্রয় করে এনালগ মিটার লাগানোর পর আবারো বাধ্যতামূলক টাকা দিয়ে ক্রয় করে ডিজিটাল মিটার লাগানো হয় এবং আগের মিটার নিয়ে যাওয়া হয়। তেমনি ডিজিটাল মিটার বাদ দিয়ে সম্প্রতি প্রি-প্রেইড মিটার লাগানো হয়েছে এবং পূর্বের ডিজিটাল মিটারটিও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটা বিদ্যুৎ বিভাগের কি ধরনের আচরণ? অভিযোগে জানা যায়, ডিজিটাল মিটারে যেখানে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা মাসে খরচ হতো, সেখানে প্রি-প্রেইড মিটার লাগানোর পর ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হচ্ছে। তাছাড়া বিনে পয়সায় মিটার লাগিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও অফিসের অসাধূ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বহিরাগত একদল লোক এলাকায় মিটার লাগিয়ে দিয়ে দেড়’শ থেকে ২০০ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে।

পৌরএলাকার এক গ্রাহক নাম প্রকাশ না করার শর্তে নয়া দিগন্তকে জানান, তিনি অফিসে গিয়ে ৫০০ টাকা লোড করেছেন। কিন্তু তার মিটারে আসছে ৩৯০ টাকা ৫১ পয়সা। বাউচারে দেখা গেছে, মিটার চার্জ হিসেবে কেটে নেয়া হয়েছে, ৪০ টাকা, ডিমান্ড চার্জ ৫০ টাকা এবং ভ্যাট বাবদ ২৩ টাকা ৮১ পয়সা। এ ভাবেই প্রতিমাসে ওই হারে ৪০ মাস পর্যন্ত কেটে নেয়া হবে বলেও অফিসের একটি সূত্রে জানা যায়। তাছাড়া বিভিন্ন দোকান থেকেও প্রতি ৫০০ টাকা রিচার্জে ১০ টাকা চার্জ দিয়ে বিদ্যুতের কার্ড কেনা যাচ্ছে। বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁিড়য়ে থেকে মিটারে লোড করতে হয় বলে অনেকেই অতিরিক্ত টাকা খরচ করে দোকান থেকে মোবাইল রিচার্জের মতো টাকা লোড নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

ভালুকা পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সানোয়ার হোসেন জানান, এ পর্যন্ত ভালুকা পৌরএলাকসহ উপজেলার বেশ কয়েক স্থানে ১৬ হাজার প্রিপ্রেইড মিটার লাগানো হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে উপজেলার সব ডিজিটাল মিটারের গ্রাহকদের প্রিপ্রেইড মিটারের আওতায় আনা হবে। আগের ডিজিটাল মিটারের চেয়ে বর্তমানে প্রি-প্রেইড মিটারে বেশি টাকা খরচের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে যদিও অনেক অভিযোগ আসছে। তবে আমার জানামতে তা ঠিক নয়। প্রে-প্রেইড মিটারে বেশি টাকা লাগার কোন কারণ দেখছিনা। আগের ডিজিটাল মিটারে হয়তো ত্রুটি ছিল, তাই বিল কম আসতো। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই