তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

তজুমদ্দিনের মেঘনায় ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ

তজুমদ্দিনের মেঘনায় ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরানিষিদ্ধ
[ভালুকা ডট কম : ০৬ অক্টোবর]
তজুমদ্দিনের মেঘনায় ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম হিসেবে  ১৯৮৫ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধি মোতাবেক আজ ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর মোট ২২ দিন মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। পাশাপাশি উপজেলার সকল বরফ কল সিলগালা, মৎস্য আড়ৎ এ মাছ ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করা, ইঞ্জিণ চালিত ট্রলার উপজেলা কাছে জমাদান ও ইলিশ মাছ পরিবহণ নিষিদ্ধ এ সময় বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে উপজেলা নির্বাহি অফিসার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সচেতনতার জন্য উপজেলা মৎস্য অফিস ও প্রসাশনের পক্ষ থেকে ব্যানার, পোষ্ঠার, লিপলেট, মাইকিং সহ ব্যাপক প্রচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা গেছে, ১৯৮৫ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধি (প্রটেকশন এ্যান্ড কনজারভেশন ফিস রুল, ১৯৮৫) এর রুল ১৩ এর Clause (b) টেবিল কলামের (৩) অনুযায়ী ইলিশ মাছ সংরক্ষণের সময় নির্ধারণ করার ফলে ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর এই ২২ দিন ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম ঘোষনা করে সরকার। ভরা এ প্রজনন মৌসুমে ঝাকে ঝাকে ডিমওয়ালা মা ইলিশ মাছ সাগরের মিঠা পানি থেকে উপকূলীয় মেঘনার লোনা পানিতে এসে ডিম ছাড়ে। এ মা ইলিশ রক্ষার্থে সরকার ঘোষিত ৪টি পয়েন্টের অন্তগত প্রায় ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার উপকূলীয় এলাকায় ২২ দিনের জন্য ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে রয়েছে তজুমদ্দিনের মেঘনার উত্তর তজুমদ্দিন  হতে পশ্চিম সৈয়দ আওলীয়া পয়েন্ট পর্যন্ত।

নিষিদ্ধ এই ২২ দিন আইন অমান্য করে কেউ মাছ শিকার করলে মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ অনুযায়ী সর্বনিন্ম ১ বছর কারাদন্ড হতে সবোর্চ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং সবোর্চ্চ ৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানার বিধান রয়েছে। এ ছাড়াও নিষিদ্ধ এসময় যাতে কোন বরফ মিল মালিক বরফ উৎপাদন করে বিক্রি করতে না পারে সেজন্য উপজেলার সকল বরফ কল শিলগালা করা হবে। আর ইলিশ মাছ পরিবহণ বন্ধ করতে লঞ্চ মালিকদের চিঠি দেয়া হয়েছে। নিষিদ্ধ এই ২২ দিন ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনার জন্য ইঞ্জিণ চালিত ট্রলারের মাঝি মাল্লাসহ উপজেলা প্রশানের নিকট জমাদান দিতে চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ সময়ে উপজেলার মৎস্য আড়ৎগুলিতে ইলিশ মাছ ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে মৎস্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে। 

আর সরকারের এ আইন বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসনসহ আইন প্রয়োগকারী সকল বাহিনী একযোগে কাজ করবেন। পাশাপাশি তজুমদ্দিনের মেঘনায় মৎস্য অফিস, উপজেলা প্রশাসন, কোষ্টগার্ড, ও পুলিশের সমন্বয়ে সার্বক্ষনিক বিশেষ টিম নদীতে টহলে অভিযান পরিচালনা করবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তজুমদ্দিনের কোষ্টাগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো: ওমর ফারুক জানান, ২২দিনের এই অভিযান সফল করতে আমরা শতভাগ দায়িত্ব পালন করবো। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক নদীতে টহল পরিচালনা করবো। উধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে সচেতন থাকবো।

এ বিষয়ে তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব মোঃ ফারুক আহাম্মদ জানান, মা ইলিশ রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। নিষিদ্ধ সময়ে যাতে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে না যায় তার জন্য তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। তারপরও ৭-২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন কোন জেলে মাছ শিকার করতে নদীতে গেলে তাকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে।

উপজেলা মৎস্য অফিসার আমির হোসেন (অ.দা) জানান, কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভা করার মাধ্যমে কার্যক্রমের সুচনা করা হয়েছে। এছাড়াও মা ইলিশ রক্ষার কার্যক্রম সফল করার লক্ষে লিফলেট বিতরণ, ব্যানার লাগানো, ঘাটগুলোতে মাইকিং কার ও ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ীদেরকে চিঠি দেয়া এবং বরফ মিল মালীকদের বরফ কল বন্ধ রাখার জন্য চিঠি দেয়া হবে। রোষ্টার অনুযায়ী নদীতে রাতে একটি ও দিনে একটি মোট ২টি ট্রলার টহনে থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার দাস জানান, এই কার্যক্রম সফল করতে প্রতিদিন প্রশাসনের টিম নদীতে কাজ করবে। অভিযানের ২২ দিন যাতে করে কোন জেলে নদীতে মাছ ধরতে না পারে তার জন্য সকল প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোন জেলে মাছ ধরতে নদীতে গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে মোবাইল টিম নদীতে থাকবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই