তারিখ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নির্বাচনী পোস্টারে পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে নওগাঁ জেলা

নির্বাচনী পোস্টারে পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে নওগাঁ জেলা
[ভালুকা ডট কম : ১৩ ডিসেম্বর]
প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরই নির্বাচনী পোস্টারে পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে নওগাঁর আসনগুলো। রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে গ্রামের অলি-গলি পর্যন্ত প্রার্থীদের পোস্টারে ভরে গেছে। রাস্তার দুই পাশে শোভা পাচ্ছে আধুনিক মানের দামী পোস্টার ও ফেস্টুন। অপরদিকে ভোটারদের চাওয়া এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন আর বেকার ও মাদক মুক্ত সমাজ।

দীর্ঘদিন পর নওগাঁর ৬টি আসনেই লেগেছে নির্বাচনী আমেজ। পছন্দের প্রার্থীদের নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভোটাররা। কেউ কেউ নির্বাচনী পোস্টার লাগানোর কাজে ব্যস্ত আবার কেউ কেউ নির্বাচনী উপকরন বহন করতে ব্যস্ত। প্রার্থীদের দম ফেলার ফুরসত নেই। দিনরাত তারা ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। অপরদিকে নতুন ও পুরাতন ভোটারদের চাওয়া আগামীতে যেই হোক সংসদ সদস্য তিনি অবশ্যই এলাকার রাস্তা-ঘাট, বেকার সমস্যা সমাধান ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন করবেন।

নওগাঁ-১ (পোরশা-নিয়ামতপুর-সাপাহার) আসনের নতুন ভোটার মো: কামাল হোসেন, রইচ উদ্দিনসহ আরো অনেকেই বলেন আমরা আমাদের জীবনের প্রথম সরকারি ভোট দিতে যাচ্ছি। আমরা একটি সুন্দর, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন এবং আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট দিতে চাই। আমরা শুনেছি ভোট মানেই আনন্দ। সেই আনন্দটা যেন ভোট পরবর্তি সময়েও বজায় থাকে। আমরা যেন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে পছন্দ মাফিক যোগ্য প্রার্থীকে বিজয়ী করে নিয়ে আসতে পারি এই রকম পরিবেশ চাই। আমরা সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নিয়ে ভোট দিবো। যিনি নির্বাচিত হয়ে অবশ্যই আমাদের এলাকাকে মাদক ও বেকার মুক্ত করবেন।

নওগাঁ-৩ (মহাদেপুর-বদলগাছী) আসনের ভোটার রহিম শেখ, আব্দুল কুদ্দুসসহ আরো অনেকে বলেন ভোট এলেই প্রার্থীরা আশ্বাস ও কথার সাগরে আমাদের ভাসিয়ে দেন অথচ নির্বাচিত হওয়ার পর আর তাদের দেখা পাওয়া যায় না। এলাকার উন্নয়ন তো দূরের কথা তাদের পারিবারিক উন্নয়ই শেষ হয় না ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে। আশা রাখি আগামী নির্বাচনে যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি অবশ্যই আমাদের কথা চিন্তা করবেন এবং এলাকার রাস্তা-ঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের দিকে বিশেষ নজর দিবেন।

নওগাঁ-১ (পোরশা-নিয়ামতপুর-সাপাহার) আসনের বিএনপি থেকে মনোনিত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য  মো: সালেক চৌধুরী বলেন এই বরেন্দ্র অঞ্চলের যেটুকু উন্নয়ন হয়েছে তা শুধুমাত্র বিএনপি সরকারের সময়। আমাদের সময় আমরা কাউকে চাকরি দেওয়ার নাম করে অর্থ লোপাট করিনি। আমরা চেষ্টা করেছি এই অবহেলিত এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগানোর জন্য। তাই আগামীতে যদি আমি আবার নির্বাচিত হই তাহলে বিগত দশ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে আমি তার চেয়েও বেশি উন্নয়ন করবো এবং বেকার সমস্যা দূর করবো।

নওগাঁ-১ (পোরশা-নিয়ামতপুর-সাপাহার) আসনে আ’লীগ থেকে মনোনিত প্রার্থী, বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন আমার আসনে কি কি উন্নয়ন করেছি তা মানুষদের কাছে দৃশ্যমান। আ’লীগ সরকার কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। শুধু নওগাঁ নয় সারা দেশে আ’লীগ সরকারের আমলে যে অভ’তপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা বাংলার জনগন জানে। আমার জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি করি না। আমরা দেশের জনগনের পক্ষে কাজ করি। আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার কারিগর। তাই আগামীতে যদি জনগন আবার ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করে তাহলে আমার আসনে যেসব উন্নয়ন মূলক মেগা প্রকল্পগুলো অসমাপ্ত হয়েছে তা শেষ করে এই আসনকে অন্যতম মডেল আসনে পরিণত করার জন্য কাজ চাই।

নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে আ’লীগের নৌকার মাঝি ও  বর্তমান সংসদ সদস্য মো: ইসরাফিল আলম বলেন, আমি গত ২০০৮ সালে বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বুলুকে পরাজিত করে ও সর্বহারা-জেএমবিদের মোকাবেলা করে প্রথম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। পরে ২০১৪ সালের ৫জানুয়ারী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। এই জনপদের মানুষের প্রাণের দাবী ছিলো এই জনপদকে সর্বহারা-জেএমবি মুক্ত করে শান্তির বাতাস বয়ে আনা যা আমি নিজের প্রাণ বাজি রেখে করতে সক্ষম হয়েছি। এখন এই জনপদে শান্তির সুবাতাস বইছে। আমি গত ৯ বছরে বর্তমান সরকারের সহযোগিতায় এলাকার যোগাযোগের ক্ষেত্রে বেশ ভাল অবদান রাখার চেষ্টা করেছি। নাগর নদীর উপর দুটি ব্রীজ, আত্রাই নদীর উপর একটি ব্রীজ, ছোট যমুনা নদীর উপর দুটি ব্রীজ অত্র এলাকায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের উন্নয়ন হয়েছে। এ ছাড়াও আমি রাস্তা-ঘাট ও শিক্ষা ক্ষেত্রে অভ’তপূর্ব উন্নয়ন করেছি। রাণীনগর-আত্রাইবাসীর প্রাণের দাবি ছিল পতিসরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের। কিন্তু কোন ভাবেই সেই দাবি পুরুন হয়নি। তবে পতিসরে একটি কৃষি ইনষ্টিটিউট স্থাপিত করেছি যে উন্নয়নগুলো কথা এই জনপদের মানুষ কখনো ভাবেনি। তাই আমি এবারও ১৪দলের মনোনয়ন পাবো বলে আশা করছি।

নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো: শরিফুল ইসলাম খাঁন বলেন, নওগাঁবাসী দীর্ঘদিন পর ভোটের আনন্দ পেয়েছে। নওগাঁবাসী আগের চেয়ে এখন অনেক সচেতন। আমরা নওগাঁবাসীরা চাই ভোটের জন্য একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ন একটি পরিবেশ। যে পরিবেশে ভোটাররা নিরাপদে তাদের ভোট দিয়ে ঘরে ফিরে আসতে পারবে। ভোটাররা জানেন কোন প্রার্থী কথা দিয়ে কথাকে কাজে লাগাতে পারবে। নওগাঁর মানুষের উন্নয়নকল্পে কে বেশি অবদান রাখতে পারবে নওগাঁবাসী এমন প্রার্থীকেই এমপি নির্বাচিত করবে বলে আমি আশাবাদি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

নির্বাচন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই