তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরে নৌকা প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

রাণীনগরে নৌকা প্রার্থী ইসরাফিল আলমের সংবাদ সম্মেলন
[ভালুকা ডট কম : ২৭ ডিসেম্বর]
নওগাঁ-৬ (আত্রাই ও রাণীনগর) আসনের বিএনপির প্রার্থী আলমগীর কবির নির্বাচনকে বানচাল করতে ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ ইসরাফিল আলম। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাণীনগর উপজেলা সদরের নিজ বাসভবন রাণীনগর হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ইসরাফিল ইসরাফিল আলম অভিযোগ করেন, ২০০১ থেকে ২০০৫ সালে চার দলীয় জোট সরকারের আমলে আলমগীর প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদ  থাকা অবস্থায় আত্রাই ও রাণীনগরকে একটি রক্তাক্ত জনপথে পরিণত করেছিলেন। তার পৃষ্ঠপোষকতায় সে বাংলাভাইসহ বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠন এ এলকার ৭৬ জন মানুষকে হত্যা করে। শত শত মানুষ পুঙ্গ হয়ে আজও দুর্বিসহ জীবন অতিবাহিত করছে। ফলে ফলে হাজার হাজার ভুক্তভোগী মানুষ তাঁর প্রতি বিক্ষুব্ধ। ২০০৫ সালে আলমগীর কবির বিএনপি ত্যাগ করে বিকল্পধারায় যোগ দেওয়ার পর থেকে অনেকটা লোকান্তরিত হয়ে যান। এরপর থেকে গত ১২ বছর ধরে এলাকায় শান্তি বিরাজ করছিল। কিন্তু একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ মূহূর্তে তিনি আবারও বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পর রাজনৈতিক কর্মকা- শুরু করলে এ এলাকা আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, ২০০৫ সালে দল ত্যাগ করার সময় আলমগীর কবির বিএনপির বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার শুরু করেন। এই সব কর্মকা-ের জন্য তার ছোট ভাই বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা সেই সময় তার কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছেন ও বিক্ষোভ করেছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপিতে তার প্রত্যাবর্তনের ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করেছেন এবং সংবাদ সম্মেলন করে তাকে এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন। অথচ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সকল আপত্তি সত্ত্বেও আলমগীরকেই আবারও মনোনয়ন দেওয়ায় এখানে স্পষ্টত দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় নির্বাচনী শুরুর পর থেকে তিনি নেতাকর্মী ও ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত সাঁড়া পাননি। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচনে নির্ঘাত পরাজয় জেনে তিনি এখন নির্বাচন বিরোধী অপতৎপরতা শরু করেছেন।

ইসরাফিল আলম অভিযোগ করেন, দাঙ্গা-হাঙ্গামার মাধ্যমে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে আলমগীর কবিরের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে এবং আমার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করাচ্ছে। অথচ তিনি বারবার নির্বাচন কমিশন ও গণমাধ্যমের কাছে তাঁর নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও প্রচারণায় বাধা দেওয়ার ‘মিথ্যা’ অভিযোগ করে যাচ্ছেন। তবে তিনি কোনো অভিযোগই নির্বাচনী তদন্ত কমিটির কাছে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। নির্বাচনের দিন সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আলমগীর বলেন, আমি মিথ্যা না সত্যি অভিযোগ করছি, তার দায়ভার আমি আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণ ও আপনাদের (সাংবাদিক) ওপরেই দিতে চাই। আমার কোনো অভিযোগ ভিত্তিহীন কেউ তা প্রমাণ করে দেখাক।

নির্বাচন বানচালের ষড়ষন্ত্রের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি কখনোই ষড়যন্ত্র করিনি। বরং আওয়ামী লীগের প্রার্থী একটা সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে জনগণের ভোট ছাড়াই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।#

*



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

মিডিয়া বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই