তারিখ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

পুরো ফলই প্রত্যাখ্যান করেছি,শপথের প্রশ্নই আসে না-ফখরুল

পুরো ফলই প্রত্যাখ্যান করেছি,শপথের প্রশ্নই আসে না-ফখরুল
[ভালুকা ডট কম : ৩১ ডিসেম্বর]
সদস্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কলঙ্কজনক বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই নির্বাচন অবিলম্বে বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান তিনি। আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। নির্বাচন পরবর্তী দলের করণীয়, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন, দলীয় কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা করতেই স্থায়ী কমিটির এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকের বিএনপির মির্জা ফখরুল বলেন, নজিরবিহীনভাবে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচন করেছে সরকার। তাই আমরা এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছি। আবার নির্বাচন করতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে কখনো এভাবে নজিরবিহীনভাবে নির্বাচন হয়নি। কাল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগে থেকেই এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। নির্বাচনের আগেই আসন ধরে ধরে ভৌতিক মামলা হয়েছে। সেই মামলা ধরে ধরে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই মামলায় বিরোধী দলকে আটকানোর জন্য গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে। সারা দেশে সরকার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস শুরু করে। এর মাধ্যমে গোটা দেশে ভীতির পরিবেশ তৈরি করে। এমন নির্বাচন অতীতে আর কখনো হয়নি এ দেশে। এমনকি সারা দেশে টার্গেট করে এজেন্টদের আটক করা হয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন সন্ধ্যা থেকে জাল ভোট দিয়ে কারচুপি করা হয়েছে। এর সাথে র‍্যাব পুলিশ সহায়তা করেছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন,ভোটের দিন সকালেও কেন্দ্র দখল করেছে। কিছু কেন্দ্রে ১১টা পর্যন্ত ভালো রেখেছে, কিন্তু যখন দেখল ভোটাররা বেরিয়ে আসছে তখনো সেটি দখলে নিয়েছে। এসব কাজে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো সহায়তা করেছে। তারা সব সময় বিরোধী দলকে তাড়ানোর কাজে নিয়োজিত ছিল। অনেক জায়গায় তারা আমাদের নেতাকর্মীদের গুলি করেছে।

এজেন্টদের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন,পরিকল্পিতভাবে এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। এজেন্টদের যে তালিকার কাগজ ছিল সেগুলো ছিঁড়ে ফেলেছে। সিইসি এজেন্টদের বিষয়ে যা বলেছেন তা সঠিক নয়। আমাদের এজেন্টদের না আসতে দিলে আমরা কী করব?

তিনি আরো বলেন,এ নির্বাচনে আগেই পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছে। এ নির্বাচনে ভোট কারচুপির বিষয়টি আগে থেকেই ছিল সুপরিকল্পিত। ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে ভোটের আগের রাতে। এ নির্বাচনে জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। এ নির্বাচনে ভীতি ছাড়া কিছু ছিল না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন,এ নির্বাচনে কোনো বিদেশি পর্যবেক্ষক ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকদের আসতে দেওয়া হয়নি। আর ইইউ তাদের কোনো পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। যারা এসেছে তারা সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত। সরকার নিজের টাকায় তাদের নিয়ে এসেছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যে ৭ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তারা শপথ নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এ নেতা বলেন,আমরা পুরো ফলই প্রত্যাখ্যান করেছি। শপথের প্রশ্নই আসে না। বিএনপির মহাসচিব বলেন,খালেদা জিয়া ২০১৪ সালে ভোটে না যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা সঠিক ছিল। এবার তা প্রমাণিত হয়েছে।

সারাদেশে বিএনপির ২১ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তিল ধারনের ঠাঁই নেই। ঢাকার বাইরের কারাগারগুলোতেও একই অবস্থা। অবিলম্বে এসব বন্দীদের মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

রাজনীতি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই