তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

আত্রাই থানার সাতকাহন,টাকা ছাড়া কাজ করেন না ওসি

আত্রাই থানার সাতকাহন,টাকা ছাড়া কাজ করেন না ওসি
[ভালুকা ডট কম : ২৮ ফেব্রুয়ারী]
নওগাঁর আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবারক হোসেন টাকা ছাড়া কোন কাজ করেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও তিনি পেশীবলের জোরে কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে অনেক অনৈতিক কাজকর্মকে বৈধ করে চালিয়ে আসছেন। থানার কোন কাজই অর্থ ছাড়া হয় না। এতে করে তার অধিনে থাকা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। আর হয়রানীর শিকার হচ্ছেন থানায় আসা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষরা।

গোপন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় যতগুলো অবৈধ মটরসাইকেল রয়েছে মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে ওসির ব্যক্তিগত পাশ দিয়ে সেগুলো বৈধ করে ব্যবহার করা হচ্ছে। পুরো উপজেলা বর্তমানে মাদকে ছয়লাভ হয়ে গেছে। এখন এই উপজেলায় হাতবাড়ালেই মাদক পাওয়া যায়। অনেক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা ওসির সঙ্গে আতাত করে বহাল তবিয়তে চালিয়ে আসছে তাদের মাদক ব্যবসা। উপজেলার বান্দাইখাড়া, শুটকিগাছা, কালিকাপুরসহ আত্রাই উপজেলার অনেক গ্রামই এখন মাদকপল্লীতে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন যারা মাদক ব্যবসা করেন তারা অনেক প্রভাবশালী। পুলিশ প্রশাসন তাদের কিছুই বলেন না। প্রকাশ্যে তারা মাদকের রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছেন। অথছ পুলিশ প্রশাসন চাইলে নিমিষেই মাদক নির্মূল করতে পারেন কিন্তু করেন না কারণ মোটা অংকের অর্থ। আমাদের সন্তানদের নিয়ে আমরা চরম বিপদের মধ্যে রয়েছি।

বর্তমানে থানায় কোন কাজ টাকা ছাড়া হয় না। থানায় কোন বিষয়ে অভিযোগ দিলে ওসি দুই পক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা জিয়ে রাখে। কোন সমস্যা তিনি সমাধান করেন না এমন অভিযোগ শত শত। এমন কি একজন সংবাদকর্মীও তার রোষানলের বাইরে নয়। সংবাদকর্মীর কোন অপরাধ না থাকলেও মুঠোফোনের মাধ্যমে তাকে বার বার ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করার জন্য ভয়ভীতি প্রয়োগ করে আসছেন ওসি মোবারক হোসেন।

উপজেলার হাটকালুপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে সংবাদকর্মী সোহেল রানা বলেন আমি গত ২০১৬ সালে গ্রামের কিছু অনাবাদি জমি লিজ নিয়ে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পুকুর খননের কাজ শুরু করি। চলতি বছর আমি সেই পুকুরের সংস্কারের কাজ শুরু করি। হঠাৎ একদিন ওসি মোবারক হোসেন আমাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন হুমকি-ধামকী দিয়ে দেখা করার জন্য বলেন। এর কারন জানতে চাইলে তিনি বার বার আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করার জন্য বলেন। অর্থ্যাৎ তার সঙ্গে দেখা করা মানেই মোটা অংকের অর্থ তাকে দিতে হবে। আমার কোন অপরাধ নেই, আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই অথচ তিনি ফোনে আমাকে বার বার দেখা করতে বলছেন। গত বুধবার প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেও নাকি তার সঙ্গে দেখা করতে হবে। তিনি মোবাইল ফোনে বলেন দুনিয়াকি উলট-পালট হয়ে গেছে বৃষ্টি হচ্ছে তো কি হয়েছে আপনি আমার সঙ্গে দেখা করেন। আমি বর্তমানে ওসি মোবারকের এমন ফোনের কারণে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। কারণ তিনি আমাকে যে কোন সময়ে হয়রানীর শিকার করতে পারেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানায় কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা বলেন এই ওসি টাকা ছাড়া কিছুই বোঝেন না। যে কর্মকর্তা তাকে যত বেশি টাকা দিবেন তিনি তার কাছে তত প্রিয়। আমরা আমাদের স্বাধীনতায় কোন কাজই করতে পারি না। অবৈধ মটরসাইকেল থেকে শুরু করে যে কোন কাজে তাকে টাকা দিতে হয়। তার কাছে বৈধ আর অবৈধ বলে কোন কিছুই নেই শুধু চান টাকা। টাকা দিলেই অবৈধ কাজ বৈধ হয় এই আত্রাই থানায়। আমরা ওসির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। কারণ একজন ওসির অনুমতির বাইরে আমাদের কোন কিছু করার ক্ষমতা নেই।

এই বিষয়ে ওসি মোবারক হোসেন মুঠোফোনে বলেন তার পুকুর নিয়ে কোন সমস্যা নেই। তিনি আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কেন তিনি আমার সঙ্গে এতোদিনেও দেখা করলেন না। আমি কোন কিছু বুঝি না। সোহেল রানা সাংবাদিক হোন আর অন্য কিছু হোন তা আমার জানার বিষয় নয়। আমার সঙ্গে তার দেখা করার কথা ছিলো তিনি অবশ্যই যেন আমার সঙ্গে দেখা করেন।জেলা পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন বলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই