তারিখ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকা মডেল থানার ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

ভালুকা মডেল থানার ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
[ভালুকা ডট কম : ১৪ মার্চ]
ভালুকা উপজেলার উথুরা ইউপি বনগাও গ্রামের হেলাল উদ্দিন কে পুলিশী নির্যাতন করে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এই মর্মে বাংলাদেশ পুলিশ হেড কোয়াটারে মহা-পুলিশ বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগে প্রকাশ ভালুকা উপজেলার বনগাও গ্রামের মৃত তালেব আলীর পূত্র মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন যে, গত ১১/০৩/২০১৯ রোজ সোমবার দিবাগত রাত অনুমান ১.০০ ঘটিকার দিকে ভালুকা মডেল থানায় কর্মরত এ.এস.আই আল-আমীন ও এস.আই শাহ-আলম তাদের সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হেলাল উদ্দিনের বাড়িতে হানা দেয়। এক পর্যায়ে হেলাল উদ্দিনের বড় ভাই আজাহরের ঘরের দরজা-জানালায় এলোপাথারী লাথি মারতে থাকে। এসময় তাদের লাথির আগাতে ঘরের দরজা খোলে যায় এবং ভিতরে প্রবেশ করেই হেলাল উদ্দিনের কথা জিজ্ঞাস করে। এক পর্যায়ে হেলার উদ্দিনের ভাতিজী ভালুকা ডিগ্রী কলেজে অধ্যয়নরত রুমা আক্তারের মাথায় পিস্তল ধরে এবং শরীরে ধাক্কা দেয়। ইহাতে আমার ভাতিজী শ্লীলতাহানী ঘটে তাদের কে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে অভিযোগ কারীর ঘরের সামনে আসে এবং দরজা খোলতে বলে।

হেলাল উদ্দিন অভিযোগে আরো বলেন, আমি গোমন্ত অবস্থায় উঠে দরজা খোলে দেয়। দরজা খোলার পরেই উল্লেখিত দারোগা দ্বয় অতর্কিতে আমাকে বেদরক মারপিঠ শুরু করে। মারপিঠে আমার মুখের দাত ও মুখমন্ডলে মারাত্ন আগাৎ করে। দারোগা আল-আমীন আমার গালা চেপে ধরে এবং মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আমার কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবী করে বলে নইলে তোকে ক্রস ফায়ারে মেরে ফেলব। এসময় আমার স্ত্রী কোন উপায় অন্ত না দেখে ঘরে থাকা ১৫ হাজার টাকা এনে দারোগা আল-আমীনের হাতে দেয়। টাকা পাওয়ার পর বলে তোর নামে ওয়ারেন্ট আছে। তোকে থানায় নিয়ে যাব। আমার জানামতে আমার নামে কোন ওয়ারেন্ট নাই। ২০১৪ সালে একটি মামলা ছিল যা ভালুকা মডেল থানায় জি.আর মামলা নং ১৩৯/১৪ আমি যথারিতি হাজিরা দিয়ে জামিন নিয়ে গত ০৬/০২/২০১৯ ইং তারিখে ভালুকা মডেল থানায় রি-কল জমা দেই এবং রিসিব কপি আমি ভাড়িতে নিয়ে আসি। রি-কল আমার কাছে আছে, একথা বলাতে আমাকে টেনে হেচরে কিল, ঘুসি, লাথি মেরে গাড়িতে উঠানোর চেষ্টা করে আমি আমার পরিচয় দেই যে, আমি উথুরা ইউনিয়ন শাখার যুব সংহতির সভাপতি। এর পর দারোগাদ্বয় প্রশাসনের উদ্বতন কর্মকর্তাদের কে খিপ্ত হয়ে বলে কারো কিছু করার নেই। এক পর্যায়ে আমার বাড়ির ডাক চিৎকারে আমার আপন বড় ভাই ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দারোগা আল-আমীনকে রি-কল দেখার জন্য অনোরুধ করলে সে আমার ভাই কে দাক্কা মেরে ফেলে দেয় এবং আমকে টেনে হেচরে গাড়িতে তুলে নেয়।

এসময় মারপিটে আমি গুরুত্বর আহত এবং আমার শরীর অচেতন অবস্থায় এই পরিবেশ দেখে আমার বড় ভাই ভালুকা মডেল থানার ওসি সাহেবকে ফোন দেয়। ওসি সাহেব দারোগার সাথে কথা বলার পর আমার রি-কল দেখে ছেড়ে দেয়। ছেড়ে দিয়ে আসার সময় আল-আমীন ও শাহ আলম দরোগা  আমাকে হুমকি দেয় যে, এই বিষয়ে কাওকে কিছু বললে তোকে জানে মেরে ফেলব এবং ভিবিন্ন মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করব। ঘটনার পর দিন ১২/০৩/২০১৯ সকালে আমি ওসি সাহেবের সাথে দেখা করার পর ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার জন্য ওসি সাহেব আমকে পরামর্শ দেন। বর্তমানে আমি ঐ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তহীনতায় আতঙ্কের মধ্যে আছি। আভিযোগে হেলাল উদ্দিন বলেন, অভিযোগটি সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক অভিযোক্তদের বিরোদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা  হউক।#       



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই