তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরের ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ প্রায় ২০বছর

রাণীনগরের ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ প্রায় ২০বছর
[ভালুকা ডট কম : ২৫ মার্চ]
খেলাধুলা শরীর ও মনকে সতেজ রাখে। যুব সমাজকে মাদক ও বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখার একমাত্র মাধ্যম খেলাধুলা। গ্রাম পর্যায় থেকে মেধাবী খেলোয়ার তুলে আনার প্লাটফরম উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা। কিন্তু নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কোন চিহ্নই বর্তমানে নেই। উপজেলাবাসী ভুলে গেছে ক্রীড়া সংস্থার নাম।

বর্তমান সরকার খেলা বান্ধব সরকার। খেলাধুলার মাধমে যুব সমাজকে মাদক ও নানা রকমের অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখা এবং মেধাবী খেলোয়ারদের খুজে বের করে আনার জন্য সরকার গ্রহণ করেছে নানামুখি পদক্ষেপ। কিন্তু রাণীনগর উপজেলায় সেই পদক্ষেপের কোন বাস্তবায়ন নেই। কারণ এই উপজেলায় বর্তমানে ক্রীড়া সংস্থার কোন কার্যক্রমই নেই। খেলার ইতিহাসে ৮০ ও ৯০দশক ছিলো রাণীনগর উপজেলার জন্য স্বর্ণযুগ। সেই সময় দেশের খেলার মঞ্চ শাসন করেছে উপজেলার খেলোয়াররা। তৎকালীন ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে উপজেলার খেলোয়াররা জয় করেছে আন্ত:স্কুল থেকে শুরু করে বিভাগীয় পর্যায়ের বিভিন্ন পুরস্কার। কিন্তু প্রায় ১৫-২০ বছর যাবত উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। নেই কোন কমিটি। নেই কোন কার্যালয়। উপজেলার একমাত্র খেলার মাঠে এখন গো-চারনে পরিণত হয়েছে। এই মাঠে বছরেও একবার চোখে পড়ে না কোন খেলার দৃশ্য। অথচ এক সময় এই মাঠে খেলার জন্য দর্শকদের উপচে পড়া ভীড় থাকতো। এতে করে উপজেলার যুব সমাজ দিন দিন আসক্ত হয়ে পড়ছে মাদকসহ নানা অনৈতিক কার্মকান্ডের সঙ্গে। নানা সংশয় প্রকাশ করছেন প্রবীন খেলোয়াররা। তাদের দাবী প্রবীণ খেলোয়ারদের নিয়ে নতুন করে নির্বাচনের মাধ্যমে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা গঠন করে আবার উজ্জীবিত করা হোক খেলার পরিবেশকে। ফিরিয়ে আনা হোক উপজেলার স্বর্ণালী যুগের খেলার দিনগুলোকে।

উপজেলার সাবেক খেলোয়ার টিক্কা হোসেন, শেখ মো: আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা আছে নাকি হারিয়ে গেছে তাই আমরা জানি না। আমাদের সময় আমরা লাইন ধরে মাঠে এসে খেলার চর্চা করতাম। আর এখনকার প্রজন্মরা খেলার মাঠই চিনে না। এর প্রধান কারণ হচ্ছে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ঝিমিয়ে পড়া। নতুন করে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রবীণ খেলোয়ারদের নিয়ে গঠন করা হোক উপজেলা ক্রীড়া সংস্থাকে। তবেই নতুন নতুন খেলোয়ার তৈরি করা সম্ভব।

উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সম্পাদক কাজী হারুনুর রশিদ বলেন আমার সময়ে আমরা অনেক গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট জয় করেছি। আমাদের একমাত্র খেলার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ আমার সময়ে বিভিন্ন খেলায় সব সময় মুখরিত থাকতো। কিন্তু বর্তমানে বছরে এই মাঠে আয়োজন করা হয় না কোন খেলার। ঝিমিয়ে পড়া ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার জন্য প্রয়োজন উপজেলার প্রবীণ খেলোয়ারদের সমন্বয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা।

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য আশিষ কুমার ঘোষ বলেন যেহেতু উপজেলা পর্যায়ে ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের কোন কর্মকর্তা নেই সেহেতু যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের যুব কর্মকর্তাদের ক্রীড়া সংস্থার কমিটিতে শুধু সদস্য হিসেবে না রেখে প্রতিটি উপজেলায় ক্রীড়া সংস্থার সম্পন্ন দায়িত্ব দিলে ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম আরো ত্বরানিত হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মো: আল মামুন বলেন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা নিয়ে কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। উপজেলার ক্রীড়ানুরাগীদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করবো এবং তাদের পরামর্শক্রমে নতুন একটি কমিটি গঠন করে ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই