তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

পত্নীতলা আঃলীগ সভাপতির হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন

পত্নীতলা আঃলীগ সভাপতি ইছাহাক হোসেন হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন,মূল কিলারকে গাজীপুর থেকে আটক
[ভালুকা ডট কম : ০৭ এপ্রিল]
দীর্ঘ ৪মাস পর নওগাঁর পত্নীতলায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইছাহাক হোসেনের চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন। এঘটনায় হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত মূল কিলার হারুন প্রামানিক (৪৮) নামে একজনকে ঢাকার গাজীপুর এলাকা থেকে আটক করেছে পত্নীতলা থানা পুলিশ বলে রবিবার প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ জানিয়েছে।আটক হারুন প্রামানিক নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের মৃত আহম্মেদ আলীর ছেলে।

জানাগেছে, গত ৪ডিসেম্বর-২০১৮ মঙ্গলবার রাত আনুঃ সাড়ে ৯টায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নজিপুর পৌরসভার সাবেক (প্রথম চেয়ারম্যান) মেয়র আলহাজ্ব ইছাহাক হোসেন তার নিজ বাড়িতে প্রবেশের সময় দূর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহতের ঘটনায় পুলিশ ঐ রাতেই একই এলাকার মৃত মোসলেম উদ্দীন ফকিরের ছেলে নজিপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লিটু ফকিরসহ ২জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়। উক্ত ঘটনায় নিহতের শ্যালক আবুল কালাম আজাদ অরুন বাদী হয়ে পত্নীতলা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

এঘটনায় দীর্ঘ ৪মাস পুলিশি তদন্ত অব্যাহত রেখে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নওগাঁ পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেনের দিক নির্দেশনায় অতিক্তি পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম ও পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ পরিমল কুমার চক্রবর্তীর সার্বিক সহযোগীতায় উক্ত মামলার তদন্তকারী অফিসার পত্নীতলা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জহুরুল হক, এসআই রবিউল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম সহ সঙ্গিয় ফোর্স ঢাকার গাজীপুর জেলার কালয়াকৈর ডাইনকিনি এলাকায় ৮দিন ধরে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত মূল কিলার হারুন প্রামানিককে আটক করে এবং শনিবার নওগাঁ বিজ্ঞ আদালতে হারুন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক ইছাহাক হত্যাকান্ডের জবানবন্দি প্রদান করে।

হত্যাকান্ডের ব্যাপারে জবান বন্দিতে হারুন জানায়, প্রায় কয়েকমাস পূর্বে জেল হাজতে থাকা অবস্থায় লিটু ফকিরের সাথে তার সহ অন্যান্য আসামীদের পরিচয় হয়। সেখানে থাকা অবস্থায় ইছাহাক হোসেনের সাথে জমিজমা সহ এলাকায় আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে হারুন সহ অন্যান্য আসামীদের সাথে ইছাহাককে হত্যার পরিকল্পনা করে লিটু ফকির। এরপর জেল থেকে জামিনে বের হয়ে অন্যান্য আসামীদের লিটু মোবাইলের মাধ্যমে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। ঘটনার প্রায় দেড়মাস পূর্ব থেকে সেখানে আসামীরা কবিরাজ সেজে যেতে থাকে এবং ২লক্ষ ৩০হাজার টাকার বিনিময়ে কিলারদের সাথে লিটু ফকিরের চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক ৪ডিসেম্বর-২০১৮ মঙ্গলবার রাতে লিটু ফকিরের সংকেত মোতাবেক হত্যাকান্ড ঘটিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা।

এব্যাপারে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ পরিমল কুমার চক্রবর্তী জানান, নওগাঁ পুলিশ সুপার মহোদ্বয়ের দিক নির্দেশনায় পত্নীতলা থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গাজীপুর জেলার কালয়াকৈর ডাইনকিনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত মূল কিলার হারুনকে আটক করে। সে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক ইছাহাক হত্যাকান্ডের জবানবন্দি প্রদান করেছে। উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অপরাধ জগত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই