তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘর-বাড়ি লন্ডভন্ড

রাণীনগরে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘর-বাড়ি লন্ডভন্ড
[ভালুকা ডট কম : ১৮ মে]
নওগাঁর রাণীনগরের উপড় দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে প্রায় ৫শতাধিক কাঁচা-পাকা ঘর-বাড়ি ও একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কক্ষ। শুক্রবার বিকেলে এই অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়।

এই ঝড়ে শুধু ঘর-বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নয় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও। এছাড়াও ভারী বৃষ্টিপাতে ক্ষতি হয়েছে মাঠের পাকা ধানসহ অন্যান্য ফসলের।ঝড়ে রাস্তায় অনেক গাছপালা ভেঙ্গে ও উপড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় রাস্তায় যানবাহন যাতায়াত করতে না পারায় কয়েক ঘণ্টার জন্য তীব্রযানজট তৈরি হয় উপজেলার বিভিন্ন সড়কে। আবার ঝড়ের পর থেকে উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ৩০শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। তবে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরো সময় লাগবে বলে জানা গেছে। অপরদিকে উপজেলার কৃষি জমিতে প্রায় ৭০শতাংশ ইরি-রোবো ধান কাটা হয়েছে। বাকি রয়েছে ৩০ শতাংশ। ঝড়ের কারণে মাঠের ধান হেলে পড়ে গেছে।

জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকালে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ জেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে একডালা, কালীগ্রাম, পারইল, গোনা ও মিরাট ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড়ে বাড়ি-ঘর ও বিদ্যুতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে কালীগ্রাম ইউনিয়নের মধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠদানের ৫টি কক্ষের টিনের ছাউনি ঝড়ে উড়ে গেছে। এতে করে ওই প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিগ্রস্থ পাঠদানের কক্ষগুলো দ্রুত সংস্কার না করলে শতাধিক শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নীচে পাঠ গ্রহণ করতে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফুর বলেন, আমার বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের সংকট দীর্ঘদিনের। তাই বাধ্য হয়েই পরিত্যক্ত টিনের কক্ষগুলো কোনমতে সংস্কার করে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলাম। কিন্তু গত শুক্রবারের কালবৈশাখী ঝড়ে সেই কক্ষগুলোর উপড় গাছ ভেঙ্গে পড়ায় ও ঝড়ে কক্ষের টিন উড়ে যাওয়ায় সেই সব কক্ষ দ্রুত সংস্কার করা না হলে শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নীচে পাঠগ্রহণ করতে হবে। তাই আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

রাণীনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম সাইদী সবুজ খাঁন বলেন কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোথাও বিদ্যুতের পোল হেলে গেছে আবার কোথাও বিদ্যুতের তারের উপর গাছ ভেঙ্গে পড়ায় তার ছিড়ে গেছে। আমরা শনিবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার প্রায় ৩০শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রদান করতে পেরেছি। পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করতে আরো বেশ কিছু সময় লাগবে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়নগুলো পরিদর্শন করেছি। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থদের একটি তালিকা তৈরি করেছি। আমরা এই তালিকা মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়ে দিবো। পরবর্তিতে মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থ পেলে তা আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে প্রদান করবো।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই