তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ধান উৎপাদন নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন- ন্যাপ

ধান উৎপাদন নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন-বাংলাদেশ ন্যাপ
[ভালুকা ডট কম : ১৯ মে]
কৃষকের কষ্টে অর্জিত ধান নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর "বাংলাদেশে অধিক ধান উৎপাদন এখন বিড়ম্বনা হয়ে দেখা দিয়েছে, দু-একজন ভাবাবেগ হয়ে ধান ক্ষেতে আগুন দিয়েছে"  এই বক্তব্যকে কান্ডজ্ঞানহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। রবিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ মন্তব্য করেছেন।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, কৃষকদের প্রচেষ্টায় বাম্পার ফলন হয় বলেই বাংলাদেশ আজ খাধ্যে সয়ংস্মপূর্ণ। অতিরিক্ত ধান উৎপাদনের ফলে সরকার নিজেকে সফল বলে দাবী করতে পারেন। কৃষকের এই প্রচেষ্টায় ভাটি পরলে সরকার আর নিজেদের কৃষি উৎপাদনে সফল বলে দাবি করতে পারবেন না। সরকার এপ্রিল মাসে ধান না কিনে কৃষককে মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে কৃষকে বন্দী করে ফেলেছে। মন্ত্রীর মনে রাখা উচিত কৃষকরা উৎপাদন বন্ধ করে দিলে উন্নয়নের রোল মডেল খুঁজেও পাওয়া যাবে না। ভাবাবেগ হয়ে নয়, কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পেয়েই ধান ক্ষেতে আগুন দিচ্ছে। যার পরিনতি সরকার কিংবা দেশবাসী কারো জন্যই শুভ হবে না, হতে পারে না।

তারা বলেন, মাননীয় মন্ত্রী হয়তো ভুলে গেছেন যে, বাংলাদেশ কৃষক প্রধান ও কৃষি নির্ভর দেশ। যখন দেখি কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয় তখন কষ্ট লাগে। এ ক্ষেত্রে সরকারের উচিত হবে কৃষক ও কৃষি ব্যবস্থাকে বাচাতে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে কৃষিমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করে প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও কৃষকদের ধান বেশি মূল্যে ক্রয়ের ব্যবস্থা করা।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ধানের ন্যায্য মূল্য না থাকায় টাঙ্গাইলের কালিহাতি, জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে কৃষক পাকা ধান ক্ষেতে আগুন দিচ্ছে এর পরিণতি ভয়াবহ। উৎপাদন খরচ থেকে ৩০০ টাকা কমে প্রতিমণ ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। পুঁজিপতিরা ব্যাপক ঋণ মওকুফ পাচ্ছে, হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হচ্ছে। মেগা প্রকল্পের নামে অপচয় হচ্ছে অথচ ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগানদাতা কৃষকদের ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে না। কৃষকরাই বাংলাদেশের আত্মা, দেশের প্রাণ। কৃষকদের রক্ষা না করলে বাংলাদেশে অভিশাপ নেমে আসবে। কৃষকরা উৎপাদন বন্ধ করে দিলে দেশে দুর্ভিক্ষ নেমে আসবে, ১৭ কোটি মানুষ না খেয়ে মারা যাবে।

তারা বলেন, পৃথিবীর সকল দেশে কৃষকরা উৎপাদন করে লাভ করে, আর আমাদের দেশের কৃষকরা লস করে। একদিকে চাল রফতানি করা অপর দিকে আমদানি করার এ ভানুমতির খেল বন্ধ করতে হবে। মধ্যস্থতাকারী সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ধান না কিনে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকেই ধান ক্রয় করতে হবে। মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে, এদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

রাজনীতি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই