তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ধামইরহাট কাস্টম করিডর আজও ফাইলবন্দী

ধামইরহাট কাস্টম করিডর আজও ফাইলবন্দী
[ভালুকা ডট কম : ২৪ মে]
নওগাঁ জেলা সদর থেকে ৫৬ কিলোমিটার দূরে অনেকটা ছিটকে পড়া ধামইরহাট উপজেলা। তার উপর বাংলা ভারতের কোল ঘেঁষে পূর্ব-পশ্চিম লম্বা এ উপজেলার অবস্থান, তাই আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে অনেকটা বঞ্চিত উপজেলাবাসী। ধামইরহাট উপজেলার চৌঘাট-জগন্নাথপুর সীমান্ত এলাকায় কাস্টম করিডর প্রকল্পটি দীর্ঘ ৪৮ বছর ধরে ফাইলবন্দী অবস্থায় পড়ে আছে। আওয়ামীলীগ ও চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এলাকায় কাস্টম করিডর চালুর পরিকল্পনা করা হলেও তার কোন অগ্রগতি হয়নি।

জনা যায়, ঐ সম্ভাব্য স্থানে কাস্টম করিডর চালু হচ্ছে মর্মে ব্যাপক প্রচার করা হলে ঐ এলাকায় ব্যবসায়ী মহলের জমি কেনার হিড়িক পড়ে। এছাড়া সরকারী ভাবে পুলিশ ফাঁড়ীর জন্য ২ একর ও কাস্টমস্ এর জন্য ৩ একর বরাদ্দকৃত সম্পত্তি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

পাকিস্থান শাসনামলে ঐ এলাকায় ইপিআর ক্যাম্প ও কাস্টম অফিস চালু ছিল। ১৯৭৩ সালে ভারত সরকার লেন-দেন বন্ধ করে দেয় যা এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আব্দুল জলিল স্থানীয় জনগণের দাবির মুখে উল্লেখিত স্থানটি পরিদর্শন করে কাস্টম করিডর চালু করা হবে মর্মে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পরিদর্শন টিম ঐ স্থানটি সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পরর্বতীতে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলে এ প্রকল্পের আর কোন অগ্রগতি হয়নি।

২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে ধামইরহাট এম এম ডিগ্রি কলেজ ও নজিপুর জিয়া ময়দানের বিশাল জনসভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া চৌঘাট পূর্ণাঙ্গ কাস্টম করিডর স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর আগে ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাপাহার উপজেলার খঞ্জনপুর আশ্রয়ন প্রকল্প উদ্বোধন কালে ও ধামইরহাট এম এম ডিগ্রী কলেজ মাঠে ১৯৯৯ সালে জনসভায় ঘোষনা দিয়েছিলেন নতুন করে কোথাও যদি কাস্টম করিডর চালু করা হয় তার আগেই চৌঘাট-জগন্নাথপুর কাস্টম করিডর চালু করা হবে। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে ব্যবসায়ী মহলের এলাকায় জমি কেনার হিড়িক পড়ে এবং এখনও জমি কেনাবেচা চলছে উচ্চ মূল্যে।

উলেখ্য, ধামইরহাট উপজেলা সদর থেকে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহর অবধি ব্রিটিশ আমল থেকে একটি সুপ্রস্থ সড়ক পথ আজও বিদ্যমান। তাছাড়া ঐ সীমান্তে পাকিস্থান আমলে ধামইরহাট উপজেলা চৌঘাটে একটি চেকপোষ্ট চালু ছিল। যদি উল্লেখিত স্থানে কাষ্টম করিডোর চালু করা যায় তাহলে ধামইরহাট ও ভারতের বালুরঘাট শহরের মধ্যে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরত্ব অতি অল্প সময়ে উভয় দেশের মালামাল আনা নেয়া এবং লোকজনের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজতর হতো।

ধামইরহাট পৌরসভার দক্ষিন চকযদু গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন বলেন, কাস্টম করিডর হলে এলাকার উন্নয়ন হবে। বর্তমান সরকার ধামইরহাটের কাস্টম করিডর প্রকল্পটি করবেন বলে আমি আশা করি। ধামইরহাট পৌরসভার প্যানেল মেয়র রেজুয়ান হোসেন জানান, এলাকার উন্নয়ন হলে জনগনের উন্নয়ন হবে এবং সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই