তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ঈদ আনন্দ নেই নওগাঁয়

ঈদ আনন্দ নেই নওগাঁয়
[ভালুকা ডট কম : ০৩ জুন]
উত্তরাঞ্চল জেলা নওগাঁ কৃষি নির্ভর এলাকা। এ জেলার প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। তবে এ বছর ধানের দাম কম হওয়ায় প্রভাব পড়েছে ঈদের বাজারে। ফলে ঈদের বাজারে দোকানীদের বেঁচা কেনা অনেকটাই নাজুক ভাব। অপরদিকে কৃষি নির্ভর পরিবারগুলোর হাতে টাকা না থাকায় ঈদের আনন্দ থেকে এবার অনেকটাই বঞ্চিত হবে বলে জানা গেছে।

দিন পরই ঈদ। বিপনিবিতানগুলো ঈদ মার্কেটে যে পরিমান ভীড় থাকার কথা এবার তার উল্টোচিত্র লক্ষ্য করা গেছে। নওগাঁ শহরের গীতাঞ্জলি শপিং কমপ্লেক্স, দেওয়ান বাজার, আনন্দ বাজার, ক্রিসেন্ট মার্কেট, বসাক শপিং কমপ্লেক্স, ইসলাম মার্কেট ও কাপড়পট্টি ঘুরে দেখা গেছে বিগত বছরের তুলনায় এবছর অনেক পরে বিপণিবিতান গুলোতে ঈদের বেঁচাকেনা শুরু হয়েছে। ক্রেতারা তাদের সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাকটি খুঁজছেন। তবে ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে দেখলোও কিনছেন কম।

ঈদ বাজারে মেয়েদের থ্রি-পিচ ৫শ’ থেকে ৫ হাজার টাকা, কাতান-ওড়না সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৭ হাজার, টাঙ্গাইল শাড়ি ৫০০-৯৫০ টাকা, জামদানি শাড়ি ১ হাজার ২শ থেকে ৩হাজার টাকায় বিক্রিয় হচ্ছে। অপরদিকে ছেলেদের শার্ট, প্যান্ট, ফতুয়া, কাবলি ৫শ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিগত বছরের তুলনায় এবার ঈদ মার্কেটের অবস্থা একেবারেই নাজুক। এ জেলার মানুষের মূল আয়ের উৎস কৃষিকাজ বা কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ততা। এবারে বোরো আবাদের পর সরকার ধানের দাম বেঁধে দিলেও কৃষকরা ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় দোকানে বিক্রি খুব একটা জমে উঠেনি। শহরের ক্রেতাদের দেখা গেলেও গ্রামের ক্রেতাদের তেমন দেখা নাই। কিন্তু তারপরও সাধ্যের মধ্যে পোশাকের দাম রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

রাসেল রানা ও আজাদ হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবার কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাদের ঘরে এবার ঈদের আনন্দ থেকে অনেকটাই বঞ্চিত হবো। বাজারে ধানের দাম কম। সরকার ধানের দাম বেধে দিলেও বাজারে সে দামে বিক্রি হচ্ছেনা। ১মণ ধান বিক্রি করে একটা শাড়িও হবেনা। কারণ ধানের দাম কিছুটা বেশি পেলে বাজারে বিক্রি করে ঈদের বাজার করতে পারত। ধানের দাম কম হওয়ায় কৃষিনির্ভরশীল পরিবারগুলো সাধ্যের মধ্যে পোশাক ও অন্যান্য জিনিসপত্র দামের সাথে সামঞ্জস্য না থাকায় কিনার চাইতে দেখা হচ্ছে বেশি।

শিলামনি গার্মেন্ট প্রোপাইটর উত্তম কুমার ঘোষ বলেন, বিগত বছরগুলোতে ১০ রোজার পর বেঁচাকেনা শুরু হয়। কিন্তু এবার তার উল্টো চিত্র। এ জেলার মানুষ কৃষি নির্ভর হওয়ায় ধানের উপর জীবন জীবিকা নির্ভর করে। ধানের দাম কম হওয়ায় এবার গ্রামের ক্রেতাদের তেমন আনাগোনা দেখা যায়নি। কারন দাম শুনেই ক্রেতারা আতকে উঠছেন। কিন্তু তারপর দাম সাধ্যের মধ্যে আছে।

রং অংগন দর্পন শোরুমের মালিক নিঘাত আরা চন্দনা বলেন, এবার দেশীয় পোশাকের মোটামুটি চাহিদা রয়েছে। মেয়েদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে গ্রাউন ও কাতান। হাতের কারুকার্য জাতীয় পোশাক মেয়েদের চাহিদা থাকে। তবে এবার বিক্রির পরিমাণ কম। ক্রেতারা শুধু দেখছেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই