তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নান্দাইলে অসুস্থ্য ছেলেকে বাচাঁতে মায়ের আকুতি

নান্দাইলে অসুস্থ্য ছেলেকে বাচাঁতে মায়ের আকুতি  
[ভালুকা ডট কম : ২৫ জুন]
পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ যেমন পৃথিবীর চেয়েও ভার। মায়ের সামনে সন্তানের মৃত্যুকাতরতা তার চেয়েও বেশী কষ্টকর। চোখের সামনে জীবন্ত ছেলের লাশ, নাকে ঢুকানো খাদ্য নল ও প্রস্রাব-পায়খানার জন্য আলাদা নল লাগানো। হাত-পা নড়াচড়া করালেও কোন সাড়া নেই, মনে হয় শিশুটি চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে পার করছে।

অশ্রু স্রোত দৃষ্টিতে ছেলের উপর মায়ের  ছাউনিটুকু শেষ সম্বল হয়ে দাড়িয়েছে হাদিসা বেগমের। কিইবা আর করার আছে তার, অর্থ অভাবে ছেলের উন্নত চিকিৎসা করাতে দরিদ্র মায়ের আর কিছু নেই। তবু প্রতিক্ষায় তার ছেলে সিয়ামের ঘুম ভাঙ্গবে, আবারো হাঁসবে, খেলবে, স্কুলে যাবে। এ ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের মেরাকোনা গ্রামের রিক্সাচালক গিয়াস উদ্দিন ও হাদিসা বেগমের সংসারে।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সিয়াম। হাদিসা বেগমের হাস্যোজ্জল ও চঞ্চল পুত্র সিয়াম এক বছর পূর্বে হঠাৎ এক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এরপর থেকেই বমি সহ তীব্র মাথা ব্যাথায় অস্থির হয়ে পড়তো সিয়াম। বিভিন্ন চিকিৎসা করেও সুস্থ্য হয়নি সিয়াম। পরিশেষে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে সিয়ামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে সুস্থাবস্থার এক মাস পরে আবারো পূর্বের রোগ দেখা দিলে ধারদেনা ও সর্বশেষ সহায় সম্বল বিক্রি করে ছেলেকে পুনরায় ঢাকা নিয়ে যান। দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচারের পর ২৪দিন আইসিইিউতে থাকলেও জ্ঞান ফিরেনি সিয়ামের। সেখানে আর ১৫দিন থাকার পরে অর্থ সঙ্কটে পড়লে সিয়ামকে বাড়িতে নিয়ে আসায় হয়। তবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিলেও দুই মাসেও সিয়ামের জ্ঞান ফিরেনি। এঅবস্থায় সিয়ামের বাবা গিয়াস উদ্দিন ও মা হাদিসা বেগম ছেলের পাশে বসে বসে কাদাঁ ছাড়া তাদের আর কিছুই করার নেই।

সিয়ামের মা-বাবা জানান,  প্রয়োজনীয় টাকা থাকলে হয়তো তাঁর ছেলের সঠিক চিকিৎসা হতো। এ অবস্থায় এই অবুঝ শিশুকে চিকিৎসকের পরামর্শে বিভিন্ন ধরনের জুস, দুধ ও তরল খাবার নাকে নল দিয়ে খাইয়ে দিচ্ছেন। সিয়ামকে দেখতে আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও ছেলের সহপাঠিরা প্রতিনিয়তই আসছে। শেরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব উদ্দিন মন্ডল জানান, স্থানীয় বিত্তবান সহ সকলেই এগিয়ে আসলে হাদিসা বেগমের পুত্র সিয়াম সুস্থ্য হয়ে উঠবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

পাঠক মতামত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই