তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরে লিজকৃত পুকুর জবরদখলের অভিযোগ

রাণীনগরে লিজকৃত পুকুর জবরদখলের অভিযোগ,দিশেহারা দিনমজুর একরামুল
[ভালুকা ডট কম : ২৬ জুন]
নওগাঁর রাণীনগরের সিংগারপাড়া গ্রামের একটি সরকারি ভাবে লিজকৃত একটি পুকুর ভয়ভীতি দেখিয়ে জবরদখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে লিজকৃত ওই পুকুরের মালিক বর্তমানে পুকুরে গিয়ে মাছ ধরা থেকে শুরু করে পুকুরের দেখভাল করতে পারছেন না দিনমজুর একরামুল আলী আকন্দ। যে কোন সময়ে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এমনটাই আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে উপজেলার সিংগারপাড়া গ্রামের মৃত-মোবারক আলী আকন্দের ছেলে দিনমজুর একরামুল আলী আকন্দ ওই গ্রামের সিংহাপাড়া মৌজার ১৫৩হাল দাগের তপসিল ভুক্ত ০.৭৪ এককের পুকুর ১বছর আগে থেকে সরকারি ভাবে লিজ নিয়ে মাছ চাষাবাদ করে আসছে। ওই পুকুরটি চলতি বছরের এপ্রিল মাসে উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্থ কমিটি বলিয়া করজগ্রাম মহিলা মৎস্যজীবী সমাজ সেবা সমিতির মাধ্যমে ৩১হাজার টাকায় ৩বছরের জন্য তাকে লিজ প্রদান করে। লিজ পাওয়ার পর একরামুল পুকুরে প্রায় ৭০হাজার টাকার মাছ ছেড়ে দেয়।  কিন্তু ওই গ্রামের মৃত-বাবুর আলী সরদারের ছেলে আনোয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেনের ছেলে মিঠু ও মৃত-সন্তোষ আলীর ছেলে বাবু খাঁ নামের ৩জন ব্যক্তি পেশীবলের জোরে ভয়ভীতি দেখিয়ে পুকুরটি জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে। ওই পুকুর থেকে তারা জোরপূর্বক নিজেদের ইচ্ছেমতো মাছ ধরে আসছে। এমনকি একরামুলকে পুকুরের আশেপাশে যেতে দিচ্ছে না তারা। এমতাবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে দিনমজুর একরামুল আলী। তাই যে কোন সময় পুকুরের দখল নিয়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

একরামুল আলী আকন্দ বলেন চলতি বছর পুকুরটি পুনরায় লিজ পাওয়ার পর থেকে ওই ব্যক্তিরা জোরপূর্বক আমার পুকুরটি জবরদখলের চেষ্টা করে আসছেন। আমাকে সর্বক্ষণ তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। পুকুর নিয়ে আমি এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। নিয়মমাফিক পুকুরের মাছগুলোর পরিচর্যা করতে না পারলে পুকুরের মাছগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। এই সমস্যার সমাধান চেয়ে আমি মঙ্গলবার বিকেলে ওই ব্যক্তিদের নামে সহকারি কমিশনার (ভ’মি) বরারব একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আশা রাখি কর্তৃপক্ষ অতিদ্রুত এই সমস্যা তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু সমাধান করে দিবেন।

উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্থ কমিটি সভাপতি ও নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন এই বিষয়টি আগেও একবার সমাধান করার জন্য রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। পুনরায় তিনি এই বিষয়ে আমাকে লিখিত অভিযোগ দিলে আমি নিজে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই