তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় নাতনিকে ধর্ষণের চেষ্টার প্রতিবাদ করায় নানীকে কোপিয়ে আহত

ভালুকায় নাতনিকে ধর্ষণের চেষ্টার প্রতিবাদ করায় নানীকে কোপিয়ে আহত
[ভালুকা ডট কম : ০৫ জুলাই]
ভালুকা উপজেলার সোনাউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাত্তার নামে এক লম্পট তাকে জোরপূর্বক ধরে টেনে হেঁচরিয়ে জঙ্গলের ভিততের নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার প্রতিবাদ করায় নানীকে কোপিয়ে আহত করা হয়। ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। আহত দিন-মজুর নানী মর্জিনা (৫০)কে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আসামীরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় থানায় মামলার না করার জন্য মর্জিনাকে নানা ভাবে হুমকী দিচ্ছে।

সুত্রে জানাযায়,বনগাঁওয়ের মৃত ঈমান আলীর বিধবা স্ত্রী মর্জিনা (৫০) স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ৪০ দিনের মাটি কাটার কর্মসুচির হাজিরা শ্রমিকের কাজ করেন। তাঁর মেয়ে বিউটি আক্তারকে পার্শ্ববর্তী ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী গ্রামের জামাল উদ্দিনের কাছে বিয়ে হয়। বিউটির তিন সন্তান জন্ম হওয়ার পর জামাল ১০বছর পূর্বে বিউটিকে তাঁর স্বামী গলা টিপে হত্যা করে। মেয়ে খুন হওয়ার পর মর্জিনা তার ২নাতি ও ১ নাতনিকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসেন। মর্জিনা বাড়ি বাড়ি কাজ করে তার নাতনিদেরকে লালন পালন করেন।

একমাত্র নাতনী উপজেলার স্থানীয় কৈয়াদী সোনা উল্লাহ স্কুলে অষ্টম শ্রেনীতে অধ্যয়রত। দেখতে বেশ সুন্দরি। তাই প্রতিবেশী নওশের আলীর ছেলে  নারী লোভি সাত্তার (২৮) ওই ছাত্রীর দিকে নজর পড়ে। গত এক বছর যাবত সাত্তার ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন ধরণের লোভ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। ছাত্রীর নানী কাজের জন্য বাইরে গেলে সাত্তার বাড়িতে এসে ছাত্রীকে প্রায় সময়ই কুপ্রস্তাব দিতো। কিন্তু ওই ছাত্রী তার কথায় সাড়া না দেয়ায় বৃহস্পতিবার দুুপুরে ওই ছাত্রী তথ্য ও প্রযুক্তি ও বিষয়ক পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বগাজান বন্দের জঙ্গলের কাছে আসতেই সাত্তার তার গতি রোধ করে জোরপূর্বক জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রী সাত্তারের হাত কাড় দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। বিকেলে তার নানী বাড়িতে ফিরলে ছাত্রী তার নানীর কাছে ঘটনাটি খোলে বলে। নাতনির কাছে ধর্ষণের চেষ্টার বর্ণনা শুনে বাড়ির পাশের মুচার বাড়ি এখানে গিয়ে সাত্তারের সাথে দেখা হলে মর্জিনা ঘটনাটির প্রতিবাদ করেন।

এ সময় সাত্তার ও সহযোগী প্রদীপ,দুলু,সাগর ও সাধন মিলে মর্জিনাকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কোপিয়ে মাথায় এবং বাম চোখের আঘাত করলে জখম কওে অপ্সান অবস্থায় ফেলে চলে যায়। খোঁজ পেয়ে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনার পর যাতে মর্জিনা  থানায় মামলা করতে না পারে তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী দিয়ে আসছে। ঘটনার সাত্তারের বাবা নওশের আলী, তার বোন নাজমা,স্থানীয় নেতা আমিরুল ও নারী ইউপি সদস্যে হাসনা খাতুনের ছেলে রতন হাসপাতালে এসে মর্জিনাকে টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে বের করে নেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ছাত্রীর ভাই সজীব বাদী হয়ে ৫জনের নাম উল্লেখ করে ভালুকা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে।

ভিকটিম ছাত্রী জানান,আমাকে এক বছর যাবত সাত্তার কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। আমি ইজ্জতের ভয়ে বাড়ির লোকজনকে কিছুই বলিনি। স্কুল থেকে আসার পথে সাত্তার আমাকে হাতের মাঝে ধরে টেনে হেঁচরিয়ে জঙ্গলে নেয়ার সময় তার হাতে কামড় দিয়ে দৌড়ে আত্নরক্ষা করি। আমি এ ঘটনার কঠিন বিচার চাই।

ভালুকা মডেল থানার এস,আই আমিনুল ইসলাম জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। আসামীদেরকে ধরার চেষ্টা চলছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই