তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গণপিটুনিতে হত্যা সামাজিক অস্থিরতার বহিঃপ্রকাশ

গণপিটুনিতে হত্যা সামাজিক অস্থিরতার বহিঃপ্রকাশ-বাংলাদেশ ন্যাপ
[ভালুকা ডট কম : ২১ জুলাই]
নারায়ণগঞ্জ, নেত্রকোনা, ঢাকার বাড্ডাসহ সারা দেশে ছেলেধরা সন্দেহে গত কয়েক দিনে গণপিটুনিতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

তারা বলেন, প্রকৃতপক্ষে ছেলেধরা কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার আগেই গণপিটুনির শিকার হচ্ছে তারা। কাউকে সন্দেহ হলেই গণপিটুনির মাধ্যমে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। এ ধরনের ঘটনায় যেকোনো নিরীহ মানুষও গণপিটুনির শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন সমাজ। আবার নিরীহ মানুষ নিজের অজান্তেই মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির মুখোমুখি হয়ে যেতে পারে। রবিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এই উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, সামাজিক অস্থিরতা হঠাৎ করেই যেন প্রবল রূপ ধারণ করেছে। পারিবারিক সামাজিক অবক্ষয়জনিত একের পর বীভৎস ঘটনার সাক্ষী হয়েছে দেশ। হত্যা, ধর্ষণ, ইভটিজিং, আত্মহনন, গণপিটুনিতে মানুষ হত্যার মিছিলে বেরিয়ে পড়ছে সমাজের এবং নৈতিকতার বিপর্যয় এবং অধঃপতনের ভয়ানক চিত্র। প্রতিদিনই ঘটছে নানা অঘটন। সারাদেশে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও খুন হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে এসব খুনের বেশিরভাগ ঘটছে পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে।

তারা বলেন, এ অবস্থায় মানুষ যাতে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয় সে জন্য জনসচেতনতা বাড়াতে এখনই রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ করা উচিত। সারা দেশে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করার পরামর্শ দিয়ে তাঁরা বলেছেন, গণপিটুনিতে অংশ নেওয়া মানুষটিও মৃত্যুদণ্ডের সাজার মুখোমুখি হয়ে যেতে পারে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার জন্য। যেকোনো মানুষকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা একটি সামাজিক অপরাধ। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া গর্হিত অপরাধ। এজাতীয় অপরাধ যাতে কেউ না করে সে জন্য এখনই প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, গণপিটুনিতে অংশ নেওয়া যেকোনো ব্যক্তি ফেঁসে যেতে পারেন। কারণ মানুষ হত্যা করার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। মামলায় আসামি হওয়া ব্যক্তিকেই প্রমাণ করতে হবে যে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে হত্যা করেননি। আর আদালতে তিনি যদি সেটা প্রমাণ করতে না পারেন, তবে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এ কারণেই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, মানুষ যাতে হুজুগে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয় সে বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা। কোনো ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন মনে হলে মানুষ যেন তাকে ধরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। অথবা ধরার আগে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে পুলিশকে তথ্য দেয়, যাতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার বা আটক করতে পারে। এটা হলেই শুধু এজাতীয় সন্দেহজনকভাবে গণপিটুনির হাত থেকে মানুষ রক্ষা পেতে পারে।

তারা বলেন, এখনই যদি গণপিটুনিতে হত্যা বন্ধ করা না যায়, তাহলে যেকোনো নিরীহ মানুষও এর শিকার হতে পারে। গণমাধ্যমকেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। তারাও সচেতনতা বাড়াতে সংবাদ প্রচার করতে পারে। সামাজিক অস্থিরতা ও অবক্ষয় থেকে মুক্তি পেতে পারিবারিক বন্ধন জোরদারের বিকল্প নেই। সেই সাথে ছোটবেলা থেকেই সন্তানকে নৈতিক শিক্ষা এবং সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে। ধর্মীয় ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। বিশেষ করে প্রতিটি পরিবারের অভিভাবককে সন্তানের বিষয়ে আরো অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

রাজনীতি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই