তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গফরগাঁওয়ে পুলিশ ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

গফরগাঁওয়ে পুলিশ ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, কবর থেকে আওয়ামীলীগ কর্মীর লাশ উত্তোলন
[ভালুকা ডট কম : ২২ জুলাই]
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় আদালতের আদেশে তিন মাস পর ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে আওয়ামীলীগ কর্মী লিটন মিয়া (৩১) মরদেহ উত্তোলন করেছে ময়মনসিংহ পুলিশের পিবিআই বিভাগ।সোমবার উপজেলার বারবারিয়া ইউনিয়নের পাকাটি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান লিটন মিয়ার মরদেহ পূর্ণ তদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়।লিটন মিয়া পাকাটি গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানাযায়, উপজেলার বারবারিয়া ইউনিয়নের মেম্বার মিজানুর রহমান হিরো ও তার ছেলেদের সহযোগিতায় গত ২৪ এপ্রিল রাতে গফরগাঁও থানার এসআই রুবেল, এএসআই সুখময় দত্ত, এসআই নূর শাহীনের নেতৃত্বে  ৮/১০ জন পুলিশ একটি সিআর মামলার ওয়ারেন্টি আসামী খুঁজতে গিয়ে লিটনের বাড়ি ঘেরাও করে। পুলিশ লিটনকে বসত  ঘরের দরজা খুলতে বলে এবং বসত ঘরের দরজাতে লাঠি জাতীয় জিনিস দিয়ে আঘাত করে। ভয়ে লিটন ঘরের টিনের চালা কেটে পালাতে গিয়ে ঘরের টিনের চালা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত লিটনকে প্রথমে গফরগাঁও হাসপাতালে,২৫ এপ্রিল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে ২৫ এপ্রিল থেকে ৬ মে  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে এবং  পরে ঢাকার লালমাটিয়ার ইষ্টার্ন কেয়ার হাসপাতালে আইসিইউ তে রাখা হয় ।৯ মেবৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

গফরগাঁও থানা পুলিশের দাবী কামরুজ্জামান ওরফে লিটনের নামে একটি সিআর মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে তাকে গ্রেফতার করতে তার বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় সে টিনের চালা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয় ।

লিটনের পিতা মইজউদ্দিনের অভিযোগ,একটি মামলার আসামী কামরুজ্জামানের পিতা মইজউদ্দিনের নামের মিল থাকায় আমার  নিরপরাধ ছেলে লিটন মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করতে গভীর রাতে  বাড়িতে আসে। এ সময় পুলিশের নির্যাতনে লিটন মিয়া গুরুতর আহত হয়।

এ ঘটনায় লিটনের মা মোছাঃ অজুফা খাতুন গত ১৯ মে  স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান হিরোসহ স্থানীয় ৭ জন এবং গফরগাঁও থানার এসআাই রুবেল,এসআই নূর শাহীন ও এসআই সুখময় দত্তের নামে ময়মনসিংহ জেলা আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল  ম্যাজিষ্টেটের (৭নং) আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।এমামলার প্রধান আসামী মিজানুর রহমান হিরো,শরীফুল,বিল্লাল হোসেন,আসাদুল হক পাকাটি গ্রামের আলাল উদ্দিন হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামী হয়ে বর্তমানে ময়মনসিংহ জেলা কারাগারে হাজতবাস করছে।

এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ পরিদর্শক আবুল কাশেম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের মা অজুফা খাতুন গত ১৯ মে ময়মনসিংহের আমলী আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ময়মনসিংহ আদালতের বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেটের নির্দেশমতে প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিষ্টেট ও গফরগাঁও উপজেলার সহকারি কমিশনার ( ভূমি) মোহাম্মদ আবুল মনসুরের নেতৃত্বে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অপরাধ জগত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই