তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সখীপুরে ছেলেধরা সন্দেহে তিন নারীকে পুলিশে দিল এলাকাবাসী

সখীপুরে ছেলেধরা সন্দেহে তিন নারীকে পুলিশে দিল এলাকাবাসী
[ভালুকা ডট কম : ২৪ জুলাই]
টাঙ্গাইলের সখীপুরে ছেলে ধরা গুজবে কান না দেওয়া, কাউকে সন্দেহ হলে গণপিটুনি না দিয়ে পুলিশে সোপর্দ অথবা পুলিশের অভিযোগ কেন্দ্র ৯৯৯-এ ফোন দেওয়ার বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে সখীপুর থানা-পুলিশ। গত দুইদিনে থানার ১৫জন পুলিশ কর্মকর্তা বিভিন্ন ইউনিয়নে ভাগ হয়ে স্কুল, কলেজ ও বাজারে এসব বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে সভা-সমাবেশ করে। এদিকে বুধবার উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে ছেলেধরা সন্দেহে তিন নারীকে আটক করে গ্রামবাসী। পরে গ্রামবাসী ওই তিন নারীকে পিটুনি না দিয়ে পুলিশে খবর দেয়।

জানা যায়, বুধবার দুপুরে উপজেলার কুতুবপুর ইকুরিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে তিনজন নারীর কাছে বড় পুটলা দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। ওই তিন নারী অসংলগ্ন কথাবার্তা বললে তাঁদের আটক করে গস্খামবাসী পুলিশে সোপর্দ করে।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, সারাদেশে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে। যারা হত্যাকান্ডে জড়িত তাঁরা ফৌজদারি অপরাধ করেছে। গণপিটুনির শিকার হওয়া অধিকাংশ মানুষ মানসিক ভারসাম্যহীন বা নিরীহ ও দরিদ্র শ্রেণির। কেউ এসব গুজব ছড়িয়ে কাউকে হত্যা বা গণপিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এসব গুজব রোধে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বাজার ও জনবহুল স্থানে পথসভা ও গণসংযোগ করা হচ্ছে। আমাদের এ প্রচারণা চালানোর কারণে বুধবার ছেলেধরা সন্দেহে তিন নারীকে গণপিটুনি না দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী।মঙ্গলবার উপজেলা সব গ্রাম পুলিশকে থানায় এনে এসব বিষয় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও থানার কমপক্ষে ১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ভাগ করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার ও জনবহুল স্থানে সচেতনতামূলক সভা-সমাবেশ করার জন্য পাঠানো হয়।

আটক হওয়া ওই তিন নারীর বিষয়ে তিনি বলেন, ওই তিন নারীর দুইজনের বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার উথুরা গ্রামে। বাকি একজন নারী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে হচ্ছে। উথুরা গ্রামের ওই দুই নারী পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তাঁরা সখীপুরের বড়চওনা গ্রামে চিকিৎসার জন্য কবিরাজ বাড়ি এসেছিল। তাঁদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ভালুকা থানা-পুলিশ ওই দুই নারীর বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অপরাধ জগত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই