তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁয় টেন্ডার ছাড়াই রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ

নওগাঁয় বন কর্মকর্তার যোগসাজশে টেন্ডার ছাড়াই রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ২৮ আগস্ট]
নওগাঁর আত্রাইয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হকের যোগসাজশে টেন্ডার ছাড়াই সড়কের গাছ কর্তন করে পরে সেই গাছ জব্দ করে গোপনে বিক্রয় করতে না পেরে ফেলে রাখা হয়েছে। টেন্ডার জটিলতার কারণ দেখিয়ে ওই বন কর্মকর্তা জব্দকৃত কাঠ দিনের পর দিন খোলা আকাশের নিচে অবহেলায় অযত্নে রাখায় মাটিতে এমনভাবে মিশে গেছে যে গাছগুলো আর কোনো কাজে আসবে না।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, রেলওয়ের পশ্চিম পাশ দিয়ে নাটোর থেকে নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের নির্মানের কাজ শুরু হওয়ার কারণে সেখানে ৩বিটে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ কাটা হলেও, বন কর্মকর্তা ও অসাধু ঠিকাদারের যোগসাজশে অতিরিক্ত কয়েক ’শ গাছ কেটে বিক্রয় করে, আরো কিছু গাছ পাশের স’মিলে কাঠ করার জন্য নেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে বন কর্মকর্তা কৌশলে তা জব্দ করে। পরে তা নথি ভুক্ত না করে গোপনে বিক্রয় করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে জব্দকৃত শত শত আকাশমনি গাছ অযত্নে মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে।  লাখ লাখ টাকার জব্দকৃত গাছ মাটিতে রেখে অনায়াসেই পচিয়ে ফেলা হচ্ছে। এতে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে সাহেবগঞ্জ গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম বলেন, অফিস সীমানার মধ্যে রাখা আকাশমনি গাছ কেনার জন্য আমাকে বন কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক জানালে, দামেদরে না হওয়ায় আমি চলে আসি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি গাছগুলো টেন্ডার ছাড়া কাটা হয়েছে যার কারণে এই অবৈধ গাছগুলো কেনার চেষ্টা করিনি।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নিয়মিত অফিস না করা এবং সুযোগ পেলে মানুষকে গাছ কাটা মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ রয়েছে। খোজনিয়ে জানা যায়, তিনি সপ্তাহে ২দিন অফিস করেন। রাণীনগর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করার সুবাদে রাজশাহীর বাসায় থেকে আত্রাই অফিসে লোকজনকে বলেন রাণীনগর আছি, রাণীনগর খোজ নিলে বলেন আত্রাই আছি।

অফিস সূত্রে জানা যায়, তিনি গাছ কাটার হয়রানি মূলক মামলা দেওয়ার নামে অথবা মামলা দিয়ে তার কর্মচারিদের স্বাক্ষী বানিয়ে আপোষের নামে মোটা টাকা হাতিয়ে নিতে খুবপটু। কর্মচারিরা যদি স্বাক্ষী না হয় তাদেরকেও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এই বন কর্মকর্তা। তিনি যত স্টেশনে চাকুরি করেছেন প্রতি জায়গায় এরকম মামলার কারণে তার বদলি হয়েছে বলে জানা গেছে।

এব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, রেলওয়ের পশ্চিম পাশ দিয়ে নাটোর টু নওগাঁ নতুন সড়কের ৩বিটে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ কাটা হয়। তারা অতিরিক্ত কিছু গাছ কেটেছে। বিষয়টি জানার পর আমার অফিসের লোকজন সে গাছ জব্দ করে। টেন্ডার প্রক্রিয়ার জন্য গাছগুলো বিক্রয় করতে দেরি হচ্ছে।

নওগাঁর জেলা সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ মেহেদীজ্জামান বলেন, বিষয়টির ব্যপারে আমি অবগত নয়, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।একদিকে যোগসাজশে মাধ্যমে লাখ লাখ টাকার সরকারি গাছ বিক্রয় করে যেমন বন কর্মকর্তা  ও অসাধু ব্যাবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে, অন্য দিকে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এলাকা বাসির দাবি কর্তৃপক্ষ এর সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত এই অসৎ কর্মকতাকে অপসারণসহ টেন্ডারে মাধ্যমে গাছ গুলো বিক্রয় হবে এমনটি আশা করেন এলাকার সচেতন মহল।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই