বিস্তারিত বিষয়
ভায়াগ্রার আমদানি বন্ধে কড়া সতর্কতায় বেনাপোল
বিভিন্ন নামে আমদানি হচ্ছে মরণঘাতি ভায়াগ্রা
ভায়াগ্রার আমদানি বন্ধে কড়া সতর্কতায় বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ
[ভালুকা ডট কম : ৩১ আগস্ট]
বিভিন্ন নামে মরণঘাতি ভায়াগ্রার আমদানি বন্ধে কড়া সতর্কতায় রয়েছে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি বেনাপোল স্থলবন্দরে ভিন্ন ভিন্ন নামে মরণঘাতি ভায়াগ্রা প্রবেশের পর কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী ও তার নিয়োজিত টিমের দৃঢ়তায় ভায়াগ্রার দুটি বড় চালান ধরা পড়ে যার একটির নাম ‘ফুড ফ্লেভার’ অপরদিকে অন্যটির নাম ‘সোডিয়াম স্টাচগ্লাইকোলেট’ দিয়ে আমদানি করা হয়। বাস্তবে এর নাম সিলডেনাফিল সাইট্রেট, যা মূলত ঔষুধ উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কিছু বিশেষ ওষুধের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ইদানীং কিছু কোমল পানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোমল পানীয় উৎপাদনে এ পণ্য ব্যবহার করছে মর্মেও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় আনা পণ্যটি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক যৌন উত্তেজক ঔষুধ তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় বলে জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
এই দুটি চালানের আমদানিকারক প্রতিষ্টান যথাক্রমে বায়োজিদ এন্টার প্রাইজ মিটফোর্ড ও রেড গ্রীন ইন্টারন্যাশনাল কলাবাগান ঢাকা। সম্প্রতি বেনাপোলে ভায়াগ্রার এই দুটি চালান ধরা পড়ার পর বিষয়টি উন্মোচিত হয়। এরপর স্থলবন্দরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কাষ্টম হাউজে নেয়া হয়েছে কঠোর নজরদারি। ভায়াগ্রা চিহ্নিত করণে দুর্বলতার সুযোগে মিথ্যা ঘোষণায় জীবন বিধ্বংসী পণ্যটি অবাধে দেশে ঢুকে পড়ছে যা জনস্বাস্থ্যই শুধু নয়, রাজস্ব ব্যবস্থাপনায়ও বড়ো হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্থলবন্দর গুলোতে ভায়াগ্রা শনাক্তকরণের দুর্বলতার সুযোগে এটি আসছে এবং বিগত সময়ে কী পরিমাণ ঢুকেছে তা স্পষ্ট নয়। তবে দুটি চালানেই ‘২ হাজার ৭শ’ কেজি ধরা পড়ায় অনুমেয় যে, এর আগেও বিপুল পরিমাণ ভায়াগ্রা দেশে প্রবেশ করে থাকতে পারে। এটি ঢুকেছে মূলত সোডিয়াম স্টার্চ গ্লাইকোলেট, ফ্লেভার নামে। বাস্তবে এর নাম সিলডেনাফিল সাইট্রেট, যা মূলত ওষুধ উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কিছু বিশেষ ওষুধের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহূত হয়। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় আনা পণ্যটি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক যৌন উত্তেজক ওষুধ তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় বলে জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
দেশের তরুণ সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে অপঘোষণায় ভায়াগ্রা আমদানি করা হচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, স্থলবন্দর গুলোতে ভায়াগ্রা শনাক্তকরণে দুর্বলতার কারণে সহজেই এটি দেশে ঢুকতে পারছে। আবার যেসব প্রতিষ্ঠানের রিপোর্টের ভিত্তিতে পণ্য শুল্কায়ন কিংবা খালাস করা হয়, সেসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও সমন্বয়হীনতা রয়েছে। এমনকি বুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠানও সঠিকভাবে ভায়াগ্রা চিহ্নিত করতে পারেনি।
সম্প্রতি উদ্ঘাটিত ভায়াগ্রার চালানটি তেমনি করেই খালাস হয়ে যাচ্ছিল। বিসিএসআইআরের কায়িক পরীক্ষায় চালানটি সোডিয়াম স্টার্চ গ্লাইকোলেট হিসেবে শনাক্ত করা হয়। বলবতঃ আমদানি নীতি আদেশের বিধান অনুযায়ী আমদানিকৃত খাদ্যদ্রব্যসহ অনেক পণ্যকেই আমদানি পর্যায়ে বিসিএসআইআরে কায়িক পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে মতে, পণ্যটি সেখানে পরীক্ষার পর খালাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ভিন্ন ভিন্ন নামে ভায়াগ্রা পণ্যের চালানটি খালাসের প্রাক্কালে বেনাপোলের কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরীর কাছে গোপন সংবাদ আসে যে, ঐ চালানের মাধ্যমে মূলত ভায়াগ্রা পাচার হচ্ছে। তখন খালাস কার্যক্রম স্থগিত করা হয় এবং পুনরায় পণ্যের প্রতিনিধিত্বশীল নমুনা সংগ্রহ করা হয়, যা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ল্যাবে সিলডেনাফিল সাইট্রেট বা ভায়াগ্রা হিসেবে শনাক্ত হয়। খুলনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠালে সেখানেও ভায়াগ্রা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এ অবস্থায় পণ্য শনাক্তকরণের একটি সমন্বয় সাধনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধরনের অসামঞ্জস্যতা দূর না করলে অবাধে দেশে ভায়াগ্রার আগ্রাসন ঠেকানো যাবে না। যেসব রিপোর্টের ভিত্তিতে ভায়াগ্রা অন্য নামে খালাস হয়ে যাচ্ছিল, সেসব প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। নাকি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কোনো অসাধু কর্মকর্তার অবহেলার কারণে দেশের সার্বিক জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে, তাও অনুসন্ধানের দাবি রাখে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের চালান যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে, সেই উদ্যোগ নেওয়ার দাবি সংশ্লিষ্ট মহলসহ সাধারন জনগনের।
উল্লেখ্য, পণ্য চালানটি টেস্টে পাঠানোর আগেই ছেড়ে দেয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরীকে জীবননাশেরও হুমকি দেয়া হয় বলে তার পক্ষ থেকে জানানো হয়। #
সতর্কীকরণ
সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।
কমেন্ট
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- যশোরে চলছে অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিক [ প্রকাশকাল : ০১ মার্চ ২০২৪ ০৩.০০ অপরাহ্ন]
- গ্রামীণ সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ট্রাক্টর [ প্রকাশকাল : ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৫.০০ অপরাহ্ন]
- শার্শায় বালু উত্তলনে পরিবেশ হুমকির মুখে [ প্রকাশকাল : ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২.৩৫ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরের আবাদপুকুর হাটের জরাজীর্ণ অবস্থা [ প্রকাশকাল : ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১০.৩০ পুর্বাহ্ন]
- জনবল সংকটে তজুমদ্দিনে বেহাল প্রাথমিক শিক্ষা [ প্রকাশকাল : ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২.০০ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরে আবাসিক মাস্টারপাড়া [ প্রকাশকাল : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২.০০ অপরাহ্ন]
- রায়গঞ্জ পৌরসভায় নির্মিত ড্রেন বেড়েছে দুর্ভোগ [ প্রকাশকাল : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০২.০০ অপরাহ্ন]
- তজুমদ্দিনে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ [ প্রকাশকাল : ২২ আগস্ট ২০২৩ ০২.২৫ অপরাহ্ন]
- ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদ এমটিএফই [ প্রকাশকাল : ২১ আগস্ট ২০২৩ ০১.৪০ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরে কৃষি উপকরণ বিতরণে অনিয়ম [ প্রকাশকাল : ১২ আগস্ট ২০২৩ ০২.০০ পুর্বাহ্ন]
- তজুমদ্দিন হাসপাতালে নেই জলাতঙ্ক ও করোনার টিকা [ প্রকাশকাল : ২৪ জুলাই ২০২৩ ০১.০০ অপরাহ্ন]
- নান্দাইলে অবৈধ কারখানায় হুমকিতে জনজীবন [ প্রকাশকাল : ০৭ জুলাই ২০২৩ ১১.০০ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরে শিক্ষক যখন চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীরা [ প্রকাশকাল : ০৪ জুলাই ২০২৩ ০১.০৫ অপরাহ্ন]
- অস্তিত্ব সংকটে রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা বন্দর [ প্রকাশকাল : ০৩ জুলাই ২০২৩ ০১.১০ অপরাহ্ন]
- উন্নয়নের ছোঁয়া স্পর্শ করেনি রাণীনগরের হাট [ প্রকাশকাল : ৩১ মে ২০২৩ ০১.১৩ অপরাহ্ন]