তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নিজেদের যতটা দুর্বল ভাবি আসলে ততটা দুর্বল নই-গয়েশ্বর

নিজেদের যতটা দুর্বল ভাবি আসলে ততটা দুর্বল নই-গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
[ভালুকা ডট কম : ৩১ আগস্ট]
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মুখে আতঙ্কের ছায়া বিরাজ করছে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন,আমরা নিজেদের যতটা দুর্বল ভাবি আসলে ততটা দুর্বল নই। আর এই সরকারকে যতটা শক্তিশালী মনে করি, ততটা শক্তিশালী তারা নয়। কারণ নৈতিক ভিত্তির ওপর যে সরকার গঠিত হয় না, সে সরকার কখনো শক্তিশালী হয় না। খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আজ (শনিবার) দুপুরে রাজধানীতে  জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম-৭১ আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন,পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং সমাজ গড়তে চেয়েছিলাম। স্বাধীন একটা রাষ্ট্রে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সে স্বপ্ন ভুলুণ্ঠিত হয়েছিল। আমরা যাদের বিশ্বাস করে সেদিন ক্ষমতা দিয়েছিলাম তারা সেই বিশ্বাস রাখতে পারেনি। ১৯৭৪ সালের ২৫ জানুয়ারি তারা একদলীয় শাসন কায়েম করে গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করল। সেখান থেকেই তারা ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি হিসেবে জনগণের কাছে দৃশ্যমান।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন,শহীদ জিয়াউর রহমানের ডাকে যেমন যুদ্ধ হয়েছিল, তেমনি আরেকটি ডাকের মাধ্যমে তিনি জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেছিলেন। লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র অক্ষুণ্ন রাখা। জিয়াউর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যার যে চক্রান্ত হয়েছিল, সে চক্রান্ত আমরা শক্ত হাতে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছি। সেদিন যারা ভেবেছিল জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপি থাকবে না। তাদের মুখে চুনকালি পড়েছে। রাজনীতিতে শূন্যতা পূরণ করেছেন আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। তার বিরামহীন নেতৃত্ব ও রাজপথে পথচলা, ২০ বছর পথে-প্রান্তরে ঘুরে স্বৈরাচারের হাত থেকে গণতন্ত্রকে মুক্ত করে তিনি আপসহীন নেত্রী হিসেবে জনগণের কাছে অভিষিক্ত হন।

গয়েশ্বর আরো বলেন,গণতন্ত্রের সংগ্রামে যার অগ্রণী ভূমিকা সেই খালেদা জিয়ার মুক্তি আদালতে হবে, এটা বিশ্বাস করতে আমার কষ্ট হয়। রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর বিচার আদালত করে না। রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর বিচার হয় জনগণের আদালতে। মানুষের দিকে তাকালে বুঝতে পারি, জনগণের আদালতে খালেদা জিয়া এখনো দোষী সাব্যস্ত হননি। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে স্তব্ধ করার চক্রান্তের বলি হয়ে আজকে খালেদা জিয়া জেলখানায়। খালেদা জিয়ার জেলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আদালত কর্তৃক হওয়ার আগেই সরকার করে নিয়েছে। ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখে করার চক্রান্ত বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যেই তাকে জেলে নেওয়া হয়েছে। এটা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। এটা আমাদের বুঝতে অসুবিধা হলেও সাধারণ মানুষের বুঝতে কষ্ট হয়নি।

গয়েশ্বর বলেন,খালেদা জিয়াকে স্তব্ধ করা মানে জাতীয়তাবাদী শক্তির চেতনাবোধকে চিরতরে ধ্বংস করার একটি চক্রান্ত। এই চক্রান্তের বেড়াজালে ঘরে-বাইরে কে কোথায় কোন রোল প্লে করছে সেগুলো আমাদের বুঝতে হবে। ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক থাকতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বিষয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্যের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, রাজনীতির স্বার্থ বিবেচনায় এসেছিলেন (বিএনপির গঠিত জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে), সেটা হয়নি, তাই আপনি ব্যাক করবেন সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এটা বোঝার মতো সক্ষমতা জনগণের আছে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই