তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ওসমানিকে বাদ দিলে স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস অসম্পূর্ণ

১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা
ওসমানিকে বাদ দিলে স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস অসম্পূর্ণ
[ভালুকা ডট কম : ০১ সেপ্টেম্বর]
যাঁর নামটি বাদ দিলে আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস পুরোটাই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে সেই নামটি হলো জেনারেল এম এ জি ওসমানী বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সামরিক নেতৃত্ব দেন। অসাধারণ বীরত্ব আর কৃতিত্ব প্রদর্শন করে তিনি পশ্চিমাদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করেন। সেই সঙ্গে তনি ছিলেন আজীবন গণতন্ত্রী, ধার্মিক ও খাঁটি দেশপ্রেমিক। তার নামটি বাদ দিলে আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস রচনাই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে যেমন, তেমনি স্বাধীন দেশেও জাতির দুঃসময়ে কান্ডারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন এই বঙ্গবীর। অনেক সময় তিনি জাতিকে নির্ঘাত সংঘাত থেকে উত্তরণের পথ দেখিয়েছেন। রবিবার নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি বঙ্গবীর জেনারেল মুহম্মদ আতাউল গনি ওসমানীর ১০১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, জেনারেল ওসমানি ছিলেন আদর্শ, দেশপ্রেম ও মূল্যবোধের ছিলেন এক অনন্য প্রতীক। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি ছিল তার অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা। তিনি ছিলেন কিংবদন্তীর এক মহানায়ক। অগ্নিপুরুষ ওসমানী এক মহান আদর্শের প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্নিবাণ শিখায় ভাস্কর। জেনারেল ওসমানী সুযোগ সন্ধানী রাজনীতিবিদ ছিলেন না। চাটুকারিতা ও কপটতাকে তিনি কখনো ‎প্রশ্রয় দেননি। ‎রাজনীতি বলতে তিনি গণনীতি বুঝতেন। রাজনীতি তাঁর পেশা ছিলনা। লুটপাট ‎সমিতির যারা সদস্য তারা তাঁর কাছে ‎‎যেতেই ভয় পেতো। তার সততা, ন্যায়নিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক ‎আদর্শের প্রতি ‎অঙ্গীকার ছিল তুলনাহীন। জেনারেল ‎ওসমানীর আসল এবং সবচেয়ে বড় অপরাধ ‎এটাই। জেনারেল ওসমানীর উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের সামনে লুটেরা ও ‎‎ধোকাবাজরা নিস্প্রভ হয়ে পড়বে, ‎এ ভয় থেকেই তাঁকে ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ব্যস্ত, আর বিএনপি ব্যস্ত তাদের নেতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে। ‎বঙ্গবন্ধু বা জিয়াউর ‎রহমান তারা কেউ-ই নিঃসন্দেহে ছোট মাপের নেতা ছিলেন না। তাদের কথা ‎আমরা আলোচনা করবো ভবিষ্যৎ ‎নির্মাণের উদ্দেশ্যে, বানিজ্যের জন্যে নয়। বাংলাদেশ নামক ‎স্বাধীন সার্বভৌম ভূখন্ড বহু সাধারণ এবং বহু অসাধারণ ‎ব্যক্তির অবদানের ফসল। অসাধারণ ‎মানুষের মধ্যে জেনারেল ওসমানী অন্যতম। তাঁকে আমরা কিছুতেই ভুলতে পারি ‎না। বিস্ময়ের ‎বিষয়, দেশের বড় দুটি দলের কেউ-ই ওসমানীর নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করেন না। অথচ উভয় দলই ‎বিভিন্ন ‎সময়ে তাঁর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতা গ্রহণ করে ধন্য হয়েছে। বর্তমানে তাদের কাছে ‎জেনারেল ওসমানীর ‎বানিজ্যমূল্য নেই বলেই কি তারা তাঁর নাম নিচ্ছেন না?‎

বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব মো. নুরুল আমান চৌধুরী, মো. আতিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, সহ-সম্পাদক এডভোকেট আবদুস সাত্তার, ঢাকা মহানগর যুগ্ম সম্পাদক মো. শামিম ভুইয়া, শ্রম সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, ইসলাম, মহিলা সম্পাদিকা সাদিয়া ইসলাম ঈমন, যুব ন্যাপ সমন্বয়কারী বাহাদুর শামিম আহমেদ পিন্টু প্রমুখ। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই