তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

দেশে বাড়ছে আয় বৈষম্য;বিশ্লেষকের অভিমত

দেশে বাড়ছে আয় বৈষম্য;বিশ্লেষকের অভিমত
[ভালুকা ডট কম : ০৮ সেপ্টেম্বর]
দেশে জাতীয় আয় বাড়লেও তার সুফল পাচ্ছে না প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ। সম্পদের পাহাড় গড়ছে অল্প কিছু মানুষ। ফলে দিন দিন প্রকট হচ্ছে আয় ও ধন বৈষম্য। পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে, বৈষম্য কমাতে সম্পদের সুষম বন্টন ও দুর্নীতি বন্ধের তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক সেমিনারে বাংলাদেশের আয় বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। ‘বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান আয় বৈষম্য : সমাধান কোন পথে’ শীর্ষক সেমিনারের মূল প্রবন্ধে, সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, এখন মাত্র ২৫৫ জন ব্যক্তির কাছে বাংলাদেশের বেশিরভাগ সম্পদ আটকে আছে।

প্রবন্ধে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে ধনাঢ্য ব্যক্তির প্রবৃদ্ধি হার বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। ২০১২-১৭ সাল পর্যন্ত এদেশে ধনাঢ্য ব্যক্তির বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ। দেশের সম্পদের বড় একটি অংশ তাদের হাতে চলে যাওয়ায় বৈষম্য অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এজন্য সর্বস্তরে দুর্নীতিকে দায়ী করেন ড. মইনুল ইসলাম।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির বিভাগের সাবেক ছাত্র, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, দেশের অর্থনীতি অত্যন্ত ভঙ্গুর। আমরা কৃত্রিম প্রবৃদ্ধির গল্প তৈরি করেছি, কিন্তু পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। অর্থনীতি সমিতি অর্থ পাচারের যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, বাস্তবতা আরও কঠিন। গত দশ বছরে বিশেষ করে ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারগুলো যে লুণ্ঠনের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতির জন্য খুবই আতঙ্কজনক। আমরা যে উন্নয়নের ফাঁপা একটা গল্প শুনছি, বাস্তবের সঙ্গে তার কোন সঙ্গতি নেই।

অর্থনীতি সমিতির প্রবন্ধে দাবি করা হয়, ব্যবসায়ীদের হাতে বিশেষত গার্মেন্টস শিল্প মালিকদের হাতে বেশিরভাগ সম্পদ রয়েছে। তাদের তথ্যমতে, ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ গার্মেন্টস মালিকরাই। প্রতি বছর দেশ থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। পাচারকারীদের অধিকাংশই গার্মেন্টস মালিক। মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম কিংবা কানাডায় ‘বেগম পাড়া’র বাড়ি মালিকদের মধ্যেও দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী, আমলা, অর্থনীতিবিদ পরিবারের পাশাপাশি গার্মেন্টস মালিকদের পরিবারই বেশি অনুপাতে চিহ্নিত করা যাচ্ছে। কিন্তু এ খাতের ৩৫ লাখ শ্রমিক আগের মতোই দরিদ্র রয়ে গেছেন।

সরকারি তথ্যমতে, প্রায় সোয়া ৪ কোটি মানুষের মাথাপিছু আয় ৪ হাজার মার্কিন ডলারের ওপরে। অথচ কর দেন মাত্র ২০লাখ। আর আয় বৈষম্যের পরও দারিদ্র্য বিমোচনে এগিয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৯০ সালে ৫৮ শতাংশ জনগোষ্ঠী ছিল দারিদ্র্যসীমার নিচে। ২০১৬ সালে তা কমে দাঁড়ায় ২৪.৩ শতাংশে। বর্তমানে এ হার ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। যা সংখ্যায় দাঁড়িয়েছে সোয়া কোটি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই