তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরের সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে চরম দুর্ভোগে সাধারন মানুষ

রাণীনগরের সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে ৫মাস যাবত বালাম বই নেই,চরম দুর্ভোগে সাধারন মানুষ
[ভালুকা ডট কম : ২৩ সেপ্টেম্বর]
নওগাঁর রাণীনগর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে  প্রায় ৫ মাস যাবত বালাম বই সংকট। যার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দলিলের দাতা-গ্রহিতাসহ সাধারন মানুষরা। বালাম বই না থাকায় কারনে অফিসে জমি সংক্রান্ত কাজে প্রতিনিয়তই বাড়ছে জটিলতা।

সূত্রে জানা গেছে, বালাম বই ভ’মি সংক্রান্ত একটি রেকর্ড বই। উপজেলার সকল জমির রেকর্ড থাকে এই বালাম বইয়ে। রেজিষ্ট্রি অফিসে উপজেলার কোন জমি বিক্রয় কিংবা ক্রয় করা হলে তার সমস্ত ইতিহাস বালাম বইয়ে তুলে রাখা হয়। পরবর্তিতে ওই জমি সংক্রান্ত কোন তথ্য প্রয়োজন হলে কিংবা ওই জমির নকল তুলতে গেলে বালাম বই থেকে নকলনবীশরা তা তুলে দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত রেজিষ্ট্রি অফিসে এই গুরুত্বপূর্ন বালাম বই না থাকার কারনে জমি বিক্রয় কিংবা ক্রয় করার পর দলিল গ্রহিতারা মূল দলিল হাতে পাচ্ছে না। আর দলিল হাতে না পাওয়ার কারনে তাদেরকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে দলিলের নকল তুলতে হচ্ছে। আর এই নকল তুলতে গিয়ে রেজিষ্ট্রি অফিসে কাজ করতে আসা জনসাধারনদের চরম  ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়াও বালাম বই না থাকার কারনে বসে বসে দিন কাটাতে হচ্ছে নকল নবীশদের। যার কারণে তাদেরকেও অভাব অনটনের মধ্য দিন কাটাতে হচ্ছে।

রাণীনগর বাজারের জমি গ্রহিতা রাজু বলেন রেজিষ্ট্রি অফিসে দীর্ঘদিন বালাম বই না থাকায় জমি কিনে আমি পড়েছি চরম বিড়ম্বনায়। কেনা জমির তথ্যাদি বালাম বইয়ে না তোলায় আসল দলিল এখনো হাতে পাই নাই। আমাকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে দলিলের নকল কপি নিতে হলো। আসল দলিল হাতে না পাওয়ায় আমি চিন্তিত।

রেজিষ্ট্রি অফিসের নকল নবীশ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের অফিসে এই গুরুত্বপূর্ন বালাম বই প্রায় ৫ মাস যাবত না থাকায় কোন জমির তথ্য রেকর্ড করতে পারছি না। এতে করে জমির অনেক দলিল জমা হয়ে পড়ছে। জমি দলিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বালাম বইয়ে তথ্য লিপিবদ্ধ না করলে অনেক তথ্যই হারিয়ে যায় যা পরবর্তিতে জটিল সমস্যার সৃষ্টি করে। এতে করে অনেক অসাধু ব্যক্তিরা ঘটাতে পারে নানা অনৈতিক কর্মকান্ড। বালাম বই না থাকায় আমাদের বসে বসে দিন কাটাতে হচ্ছে। তাই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন দ্রুত পর্যাপ্ত বালাম বই অফিসে সরবরাহ করবেন।

অফিস সহকারী অব্দুল জলিল বলেন, বালাম বইয়ের সংকট দীর্ঘ হওয়ায় জমির দাতা-গ্রহিতাসহ জমি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করতে এসে সাধারন মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কারণ বালাম বই হচ্ছে একটি সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের প্রাণ। উপজেলার সকল জমির তথ্যাদি এই বইয়ে লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়।

জেলা রেজিষ্ট্রার সৈয়দ মুজিবর রহমান বলেন এই ভোগান্তির কথা আমি জানি। আমি উপরমহলের কাছে বইয়ের বিষয়ে বলেছি। তারা অতিদ্রুত এই বইগুলো সরবরাহ করবে বলে আমি আশাবাদি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই