তারিখ : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকার শিকলবন্দী কৃষিবিদ বজলুর রহমানের পাশে সহপাঠিরা

খবর প্রকাশের পর
ভালুকার শিকলবন্দী কৃষিবিদ বজলুর রহমানের পাশে সহপাঠিরা
[ভালুকা ডট কম : ৩০ সেপ্টেম্বর]
“১২ বছর শিকলবন্দী বাকৃবির ছাত্র বজলুর” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে সমাসীন বজলুর রহমানের সহপাঠিরা তাকে দেখতে এসে চিকিৎসা ও আর্থিক সাহায্য সহ সকল রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন।

শনিবার বেলা অনুমান ১২ টার দিকে ভালুকা উপজেলার ধীতপুর ইউনিয়নের টুংরাপাড়া গ্রামের নিভৃত পল্লীর সরু রাস্তা দিয়ে ৬/৭টি গাড়ী এসে থামেন বজলুর রহমানের বাড়ীর কাছে। খবর পেয়ে গ্রামের শত শত লোক ভীড় জমায় ওই বাড়ীতে। ৮৮/৮৯ ব্যাচের ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের বি এস সি, এজি অনার্স পড়ুয়া সোহরাওয়ার্দী হলে বজলুর সাথে থাকা কয়েকজন সরকারী কর্মকর্তা গাড়ী থেকে নেমে উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় তারা শিকলবন্দী বজলুর কক্ষে প্রবেশ করেন। তাঁরা হলেন উপ-সচিব ও প্রকল্প পরিচালক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় মোঃ আতাহার হোসেন, উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ঢাকা ড. শাহ কামাল, উপ-পরিচালক বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ঢাকা এ কে এম ইউছুফ হারুন, উপ-পরিচালক বিএডিসি জামালপুর রিয়াজুল ইসলাম টুটুল, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম ফারুক মানিক, ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান বাকৃবি ময়মনসিংহ খাইরুল আলম নান্নু, সিনিয়র ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ময়মনসিংহ মাজাহারুল ইসলাম। শিকলবন্দী বজলুর সাথে উপস্থিত কর্মকর্তারা কথাবলার সময় এক আবেগঘন মুহূর্তের অবতারনা ঘটে। তার এ অবস্থা দেখে অনেকেই কেঁদে ফেলেন।

ড.শাহ্ কামাল জানান “১২ বছর শিকলবন্দী বাকৃবির ছাত্র বজলুর” শিরোনামে ৫ সেপ্টেম্বর সংবাদের দেশ পাতায় ও ভালুকা ডট কমে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি তার নজরে আসে। তিনি বিষয়টি অন্যান্যদের মাঝে শেয়ার করলে মহাসচিব বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনষ্টিটিউশন খাইরুল আলম প্রিন্সের পরামর্শে তারা সহপাঠি বজলুর রহমানকে দেখতে আসেন। এ সময় তিনি চোখের পানি ছেড়ে বলেন “কেন তারা আগে জানতে পারলেন না, সকলের সহযোগীতা পেলে অবশ্যই তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন । পরে তিনি বজলুর রহমানের মায়ের সাথে সাক্ষাত করে বলেন আপনি আমারও মা আরেকটু কষ্ট করুন আমরা আপনার ছেলেকে চিকিৎসা করে ভাল করবো ইনশাআল্লাহ। এ সময় তিনি বজলুর রহমানের ছোটভাই হারুন মিয়াকে কাছে ডেকে বলেন সহযোগিতা করার জন্য।

আতাহার হোসেন বলেন তাদের একজন সহপাঠী এভাবে ধুকে ধুকে মরে যাবে এটা তাদের মানতে খুব কষ্ট হচ্ছে। প্রশাসনিক ও আর্থিক সব রকম সহযোগীতা তারা করবেন। উপ পরিচালক বিএডিসি জামালপুর রিয়াজুল ইসলাম টুটুল বলেন তারা ৮৮/৮৯ ব্যাচে ভর্তি হয়ে একই হলে থাকতেন। বহুদিন পর বজলুর রহমানকে এ অবস্থায় দেখে মর্মাহত হয়েছেন, ভাল থাকলে সেও ডিস্টিক লেভেলে চাকরী করতেন। প্রফেসর ড. মো. গোলাম ফারুক মানিক জানান তার সহপাঠী বজলুর রহমানের সাথে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও পরে বাকৃবিতে লেখাপড়া করেছেন। সবাই মিলে সহযোগীতা করে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তাকে সুস্থ্য করে তুলবেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই