তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় ফল ফুলে ভরে আছে বঙ্গবন্ধু কৃষি পাহাড়ী বাগান

ভালুকায় ফল ফুলে ভরে আছে বঙ্গবন্ধু কৃষি পাহাড়ী বাগান বিলাস
[ভালুকা ডট কম : ১৫ অক্টোবর]
ভালুকা উপজেলার সাতেঙ্গা গ্রামে ফল ফুলে ভরে গেছে“ বঙ্গবন্ধু কৃষি পাহাড়ী বাগান বিলাস। ভালুকার সাবেক এমপি ভাষা সৈনিক মরহুম মোস্তফা এম এ মতিনের ভাতিজা কাসেম পাহাড়ী কোটি কোটি কৃষকের প্রাণের নেতা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ধারণ করে দুই একর জমিতে ১৯৯৩ সনে এই কৃষি বাগানটি করেছেন সম্পুর্ণ নিজস্ব পদ্ধতিতে।

তিনি প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ করে একটি স্যালু মেশিন স্থাপন করেছেন জমিতে সেচ কার্যক্রম চালানোর জন্য। বর্তমানে বাগানটিতে রয়েছে কলম মাল্টা গাছ ২০০, লেবু ২০০,কমলা ৫০, পেয়ারা ১০০, পেপে ১০০, আনার ২৫, জামরুল ৪০, কাঠাল ৫০, দেশী আম ১০, বারমাসি আম ২০, চেরিফল ১০, কুল ৭, কবরী ও সবরি কলা গাছ ১০০, বিভিন্ন জাতের ফুল ৫০, এছারাও কদবেল, দেশী বেল, নারিকেল, জাম, করমচা, জাম্বুরা, চায়না কমলা, জলপাই সহ রয়েছে নানা বৃক্ষের সমারোহ।

একপাশে ১৫ ফিট প্রস্থে ৭/৮ ফিট গভীর করে প্রায় দেড় দুইশত ফিট লম্বা একটি খালের মত তৈরী করে তাতে দেশী শিং মাগুর, টাকি,কার্পু, সরপুটি মাছের চাষ করেছেন। আকাশ মনির বাগান করে প্রায় ৫ লাখ টাকার গাছ বিক্রি করেছেন। ২০১৭ সালে কলার বাগান করে প্রথমে দেড় লাখ টাকার কলা বিক্রি করেন। পরে ওই বাগান হতে ৮০ হাজার টাকার কলা বিক্রি করেন। এ বছর কলা ও পেপে বিক্রি প্রায় ৫০ হাজার টাকার মত আয় করেছেন। “কৃষকের এক শতাংশ জমিও যেন পতিত না থাকে” মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ভাষনে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাড়ীর জমিটুকু বাদ দিয়ে সমস্ত জমিতেই তিনি চাষাবাদ শুরু করেন। এর পর হতে দিন রাত পরিশ্রম করে কোদাল কুপিয়ে তিনি ফল ও ফসলের আবাদ শুরু করেন। কিছু জমিতে বছরের খোরাকি হিসেবে ধান আবাদ করেন। আবার কিছু জমিতে মৌসুমী ফসল যেমন পেপে, মিষ্টি লাউ, শীতলাউ, সীম, শশা, গাজর, টমেটো, ধনিয়া, খীরা, লালশাক. ইত্যাদি চাষ শুরু করেন। এ ছারা বাড়ীতে রয়েছে দেশী হাঁস মুরগী ।  নিজে খেয়ে আত্মীয় সজনদের বিলিয়ে বছরে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা আয় করে থাকেন। সংসার খরচ ও উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে বছর শেষে ৪০/৫০ হাজার টাকা উদ্বৃত্ত থাকে।

স্ত্রী আছিয়া খাতুন রিনা গৃহস্থালীর পাশাপাশি তাকে কৃষি কাজে সাহায্য করেন। বড়মেয়ে লুৎফুনন্নাহারের বিয়ে হয়েছে, মেঝো মেয়ে তাছমিয়া ফোরকান (১৩) অষ্টম শ্রেণীতে লেখাপড়া করেন। ছোট মেয়ে আফনান হাদিছা (১০) সাতেঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী বঙ্গবন্ধুর ভাষন প্রতিযোগিতায় ইউনিয়নে প্রথম স্থান অধিকার করে। ফল ফসল ছাড়াও বিভিন্ন ফুলের গাছে ভরা তার ছোট কৃষি বাগানটি নজর কারার মত। বাগানটিতে সারা বছর তিনি নিজের পরিশ্রমের দ্বারা ফল ও ফসল উৎপাদন করে সংসারে সচ্ছলতা এনেছেন। তবে মুলধনের অভাবে কৃষি খামারটি ব্যাপক পরিসরে বিস্তার লাভ করতে পারছেননা। ২০১৯ সালের উপজেলা বৃক্ষমেলায় কাসেম পাহাড়ীকে পুরষ্কৃত করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ হতে ১০০টি মাল্টার চারা, সার ও আনুষাঙ্গিক জিনিষ পত্র দেয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগের লোকজন মাঝে মধ্যে বাগান পরিদর্শন করে তাকে নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি একপাশে কৃষি নার্সারীর কাজ শুরু করেছেন তিনি। বিভিন্ন ফল ফুলের চারা উৎপাদন করে তা বাজার জাত করতে পারলে ভাল মোনাফা আসবে বলে তিনি জানান।

আবুল কাসেম পাহাড়ী মনে করেন ইচ্ছে ও বুদ্ধি থাকলে অল্প জমিতে চাষাবাদ করেও যে কোন লোক অনায়াসে বেকারত্ব দুর করে পরিবারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পারে। তবে এ জন্য চাষাবাদ সংক্রান্ত উপযুক্ত জ্ঞান, কলা কৌশল ও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ফেলে রাখা পতিত জমি গুলি কৃষি আবাদের অন্তর্ভূক্ত করে প্রতিটি পরিবার, প্রতিটি পাড়া, গ্রাম তথা দেশকে খাদ্যে সয়ং সম্পুর্ণ করে অর্থ নৈতিক সমৃদ্ধি অর্জণ সম্ভব।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই