তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

কিশোর মামুন হত্যায় মামলা,আসামীদের লোমহর্ষক বর্ণনা

কিশোর মামুন হত্যায় মামলা,আসামীদের লোমহর্ষক বর্ণনা,গ্রেফতার-৪
[ভালুকা ডট কম : ৩১ অক্টোবর]
অটো রিক্সার জন্য কৌশলেই খুন করা হয়েছে কিশোর মামুনকে। খুন করার আগে ভাড়া হিসেবে অটো রিক্সা নিয়ে যায় খুনিরা। তারা কাজীরকান্দা স্কুলের পাশে একটি বাঁশ ঝাড়ে প্রথমে মামুনকে আটকে রাখে  এবং একজন জবাই করে হত্যা করে মামুনকে। গ্রেফতারকৃত এমারত বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারার জবান বন্দিতে এমনটাই স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

জবান বন্দিতে আরো জানায়, খুনিরা মানুনকে হত্যা করে আসামীরা অটো রিক্সাটি নান্দাইল উপজেলায় চল্লিশ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে পাঁচজন টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ আব্দুল কাইয়ুম। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ত্রিশাল-বালিপাড়া সড়কের কাজীরকান্দা এলাকার।

ঘটনার বিবরণে জানাযায়, গত ২৩অক্টোবর রাত ৮টার দিকে উপজেলার আউলিয়া নগর রেল স্টেশনের সামনে থেকে অটো গাড়ীসহ নিখোঁজ হয় বালিপাড়া ইউনিয়নের বিয়ারা গ্রামের সোহেল মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া। বুধবার রাত থেকেই পরিবারের সদস্যরা তাকে আত্বীয়-স্বজনসহ সম্ভ্যাব্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি শুরু করে। দুদিন খোজা খোজির পর  মামুনের কোন সন্ধ্যান না পেলেও শুক্রবার সকালে ত্রিশাল-বালিপাড়া সড়কের কাজীরকান্দা নামকস্থানে সড়কের পাশে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা মামুনের মরদেহ শনাক্ত করে। ছিনতাইকারীদের হাতে নিহত মামুন উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের বিয়ারা গ্রামের সোহেল মিয়ার ছেলে।

২৬অক্টোবর শনিবার নিহতের পিতা সোহেল মিয়া বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং ত্রিশাল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মোঃ আব্দুল কাইয়ুম তা তদন্ত শুরু করেন। মামলা দায়েরের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের বিয়ারা গ্রামের ফরমান মিস্ত্রির ছেলে এমারতকে গ্রেফতার করে ত্রিশাল থানা পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একই এলাকার শহিদ আলীর ছেলে আল আমিন ও আরিফুল ইসলাম, রনি ও ইশ্বরগঞ্জ থেকে অটোসহ ক্রেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতার হওয়া এমারত বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দিতে জানায়, তারা মামুনকে বালিপাড়ার বিয়ারা পয়েন্ট থেকে বালিপাড়া-ত্রিশাল সড়কে নিয়ে আসছিল। রামপুর ইউনিয়নের কাজীরকান্দা নামকস্থানে এসে তারা মামুনকে কাজীরকান্দা স্কুলের পাশে একটি বাঁশ ঝাড়ে বেধে রাখে এবং অটো গাড়ীটি নিয়ে নান্দাইল উপজেলায় ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে। রাতে আবার সেখানে এসে আরিফ ও রনি পাহারা দেয় এবং আল আমিন মামুনের গলায় ছুড়ি চালিয়ে তাকে জবাই করে হত্যা করে। এ হত্যাকান্ডে তারা পাঁচজন অংশগ্রহন করে বলে জানায় আসামী এমারত।

নিহত মামুনের পিতা সোহেল মিয়া জানান, আমার সংসারের বড় সন্তান মামুন অটো রিক্সা চালিয়ে অভাব অনটনের সংসারে যোগান দিতো। তাকে যারা নির্মম ভাবে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবী করছি। আসামীরা দুধর্ষ, তাদের ভয়ে আমরা কোন কথাও বলতে পারি না।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ত্রিশাল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মোঃ আব্দুল কাইয়ুম জানান, গ্রেফতারকৃত এমারত বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪-এ মামুনকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক অপর আসামীকেও গ্রেফতারের অভিযান চলছে। তবে এদের বিরুদ্ধে মাদক ছিনতাইয়ের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

ত্রিশাল থানা অফিসার ইনচার্য আজিজুর রহমান বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীরা বালিপাড়া রেললাইনের পাশে ছিনতাই মাদকসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। কিশোর মামুনকে তারা অটোরিক্সার জন্যই জবাই করে হত্যা করেছে বলে আসামীর স্বাকারোক্তী থেকে জানায়। বাকী আসামীদের আটক করলে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অপরাধ জগত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই