তারিখ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁয় মাদকদ্রব্য ধ্বংস ও আলোচনা অনুষ্ঠিত

নওগাঁয় মাদকদ্রব্য ধ্বংস ও আলোচনা অনুষ্ঠিত
[ভালুকা ডট কম : ২১ নভেম্বর]
বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ডার গার্ড কাংলাদেশ (বিজিবি-১৬) মাদকদ্রব্য ধ্বংস ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, যারা মাদক গ্রহন করে তারা আমাদের শত্রু। মাদক শুধু সমাজ নয়, দেশকেও ধ্বংস করে। মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স। দুর্নীতিবাজ ও জঙ্গীবাদ সমাজের শত্রু। আমরা মাদক খাবো না বা খেতে দিবোনা। কাউকে মাদক গ্রহন বা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলে বর্ডার গার্ড কাংলাদেশ (বিজিবি) জানাবো।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন না, মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করার ইচ্ছা শক্তিও থাকতে হবে। নওগাঁর সীমান্তে ভারতের ৫টি চৌকি আছে। আর আমাদের বিজিবি সদস্যরা অন্ধকারে জঙ্গল ও পানির ভিতর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সীমান্তে বিজিবিদের যাতায়াতদের সুবিধা ও আলোকিত করতে সোলার সিস্টেমের ব্যবস্থার জন্য প্রজেক্ট পাঠানো হয়েছে। যাতে সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান কমে যায়।

অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উদ্যেশে তিনি বলেন, যারা মাদক ব্যবসায়ী তারা মাদক ছেড়ে দেন। নিজের বাড়িটা সামালান। সন্তানরা মাদকের সাথে যুক্ত হচ্ছে কিনা তা খেয়াল রাখুন। শিক্ষার্থীরা দেশের ভবিষ্যত। একদিন তোমাদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে। তাই এখন থেকে মাদককে ‘না’।

নওগাঁ ১৬-বিজিব অধিনায়ক লে. কর্ণেল একেএম আরিফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী সদর দপ্তর সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন বিপিএম, ১৪-বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল জাহিদ হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ফারজানা হোসেন, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক একেএম বেদারুল ইসলাম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী হোসেন, সীমান্ত পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রসুল সাকলায়েনসহ অন্যান্যরা। এসময় জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহী সদর দপ্তর সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন বিপিএম বলেন, যারা আমার দেশ ও মানুষের ক্ষতি করতে চাই, তারা আমাদের শত্রু। যারা মাদক দিয়ে সহযোগীতা করছে তারা শত্রুর একটি অংশ। তাদেরকে ঘায়েল করা আমাদের দায়িত্ব। তাদেরকে কোন ছাড় না।

পরে গত তিন বছরে সীমান্তে বিভিন্ন সময়ে উধারকৃত মাদকের মধ্যে- বিভিন্ন প্রকার মদ ৮০১ বোতল, ফেন্সিডিল ১৫ হাজার ৬৪১ বোতল, গাঁজা ২৫ কেজি, ইয়াবা ১৫৫ পিস, হেরোইন ২৫ গ্রাম, টাপেন্টা ১৫ পিস, ভারতীয় নেশা জাতীয় ইনজেকশন ৩৪৪ পিস, বাংলাদেশ নেশা জাতীয় বোতল ৪৭ পিস, চোলাই মদ ১৪৬ লিটার, কীটনাশক ১ বোতল ধ্বংস করা হয়। যার সিজার মূল্য ৭৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮৫৫ টাকা।  সকালে মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ উপলক্ষ্যে সচেতনতামুলক একটি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই