তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

আত্রাইয়ের রেল কলোনীর পরিত্যক্ত ভবনগুলো মাদকের আখড়া

আত্রাইয়ের রেল কলোনীর পরিত্যক্ত ভবনগুলো মাদকের আখড়া
[ভালুকা ডট কম : ২৩ জানুয়ারী]
উত্তরাঞ্চরের মৎস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত আত্রাই উপজেলা।আত্রাই উপজেলা শুধু মাছের জন্যই বিখ্যাত নয়। এই উপজেলায় রয়েছে জাতির পিতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী ও আধুনিক বাংলাদেশর রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি। রয়েছে বিশ্বকবির কাচারী বাড়ি ও মহাত্মা গান্ধীর আশ্রম।

এই উপজেলার উপর দিয়ে রয়েছে রেলওয়ে। রয়েছে একটি রেলস্টেশন। এই রেলস্টেশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বসবাসের জন্য ব্রিটিশ সময়ে নির্মাণ করা হয়েছিলো আবাসিক ভবন। কিন্তু প্রশাসনের যথাযথ নজরদারি না থাকায় মাদক সেবনের নিরাপদ স্থান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে রেলওয়ের পরিত্যক্ত এই সব স্টাফ কলোনী। এখানে দিনে রাতে জমে ওঠে মাদক সেবন ও বিক্রয়ের আড্ডাখানা। নিরাপদ, নিরিবিলি ও শান্তিপূর্ন স্থান হওয়ায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও ভ্রাম্যমান পতিতারা স্থানটি অপকর্মের অভয়াশ্রম হিসেবে বেছে নিয়ে অবাধে চালিয়ে আসছে তাদের কর্মকান্ড। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় এই ভবনগুলোতে চলছে নানা অপকর্ম।

জানা গেছে, আহসানগঞ্জ স্টেশন হতে প্রায় ১কিলোমিটার অদুরে মাঠ সংলগ্ন আত্রাই স্টেশন অবস্থিত যা পুরাতন রেল স্টেশন নামে পরিচিত। সেখানে রেলওয়ে স্টাফদের বসবাসের জন্য ব্রিটিশ আমলে ১৪টি ভবন তৈরী করে তৎকালীন রেল কর্তৃপক্ষ। যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, দীর্ঘদিন মেরামত ও সংস্কার না করার কারণে বসবাসের অনুপযোগি হয়ে বাসাগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে। এই সুযোগে মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীরা এই সব স্থানগুলোতে প্রকাশ্যে কেনাবেচা চালিয়ে আসছে। আর হাতের কাছে মাদকদ্রব্য সহজলভ্য হওয়ার কারণে মনের অজান্তেই যুব সমাজ মাদ্রকের ভয়াল নীল দংশনে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নির্জন এলাকা হওয়ায় দিনের বেলায় কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীরা এখানে এসে আড্ডা দেয়। আর রাতের বেলায় ভ্রাম্যমান পতিতাদের অবাদ চলাফেরা। ভবনগুলো দ্রুত সংস্কার করে অপরাধ কর্মকান্ড ভয়ংকর রূপ নেওয়ার হাত থেকে রক্ষার দাবি জানান তারা। তা না হলে এলাকার রন্ধে রন্ধে পোৗছে যাচ্ছে নানা অনৈতিক কর্মকান্ড। দ্রুত প্রশাসনকে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে তা না হলে এই বিষয়টি মহামারি আকার ধারন করবে আর আমরা অভিভাবকরা পড়ে যাবো মহাবিপদে।

ভরতেতুলিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ও কলেজ পাড়ার উত্তম সাহা বলেন, মাদকের কারনে যুব সমাজ আজ ধ্বংসের পথে। এখনি স্টেশন মাস্টারের ভবনসহ পরিত্যক্ত ভবনগুলোর সংস্কার করে চলমান সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন। এতে করে রেল কর্মচারী ও কর্মকর্তারা সরকারি ভবনে থাকতে পারবেন এবং এই এলাকা অপকর্মকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাবে। একটি সুস্থ্য পরিবেশ ফিরে আসবে এই এলাকায় মাদকের ভয়াল নীল দংশন থেকে বেচে যাবে আগামীর ভবিষ্যৎ যুব সমাজ।

স্টেশন মাষ্টার আরিফুল ইসলাম জানান, পরিত্যক্ত স্টাফ কলোনির পাশাপাশি এলাকায় গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি বস্তি। এই বস্তিগুলোতে অবাদে মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছে। মাদক ব্যবসায়ী ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের কারনে নিরাপত্তার কথা ভেবে কোন পদক্ষেপ নিতে পারি না। কারণ স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছাঁয়ায় কতিপর খারাপ মানুষরা  দিনে ও রাতে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা, সেবন ও পতিতা মেয়েদের দিয়ে ব্যবসা করে আসছে। তাই প্রথমে আমাদেরকে সুধরাতে হবে এরপর প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে তা না হলে এই সমস্যা থেকে উত্তোরণ মোটেও সম্ভব নয়। 

আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসলেম উদ্দিন মন্ডল বলেন, আমি কয়েক মাস হলো এখানে এসেছি। উপজেলার সকল জায়গা ও বিষয় সম্পর্কে এখনোও তেমন পুরোপুরি অবগত হতে পারিনি। বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। আমরা তৎপর আছি স্টেশন এলাকায় পরিত্যক্ত কলোনীতে এবং বস্তিতে যাতে কোন অপরাধমুলক কর্মকান্ড সংগঠিত না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রেখে অভিযান পরিচালনা করবো। এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চেষ্টা করবো।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই