তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

কালিয়াকৈরে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ফার্মেসী

নিরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন
কালিয়াকৈরে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন শতশত ফার্মেসী
[ভালুকা ডট কম : ২৮ জানুয়ারী]
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন শতশত ঔষধের দোকান বা ফার্মেসী। এসব ফার্মেসীতে নিন্মমানের ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

জানা যায়, গুণগত মানসম্মত বৈধ ঔষধ ক্রয়-বিক্রয়,সংরক্ষণ এবং পরামর্শের জন্য ফার্মেসী ব্যবস্থাপনা থাকার বিধান রয়েছে। কালিয়াকৈর বাজারসহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লার মোড় ও  শিল্প প্রতিষ্ঠানের পাশে সহস্রাধিক ঔষধের দোকান বা ফার্মেসী  গড়ে উঠেছে। এসব অধিকাংশ ঔষধের দোকান বা ফার্মেসীরই নেই কোন লাইসেন্স বা অনুমোদন। ফার্মাসিস্টদের অনুপস্থিতিতে কোনো ঔষধ বিক্রি করা যাবে না ও ফার্মেসীর সুস্পষ্ট স্থানে ড্রাগ লাইসেন্স প্রদর্শন করার বিধান থাকলেও অধিকাংশ ফার্মেসীর মালিকই তা মানছেন না। এছাড়াও অনেক ঔষধের দোকানে দেশী-বিদেশী নামীদামী কোম্পানির  মেয়াদোত্তীর্ণ  ঔষধ বিক্রি হচ্ছে । অন্যদিকে বাজারের অনেক দোকানেই ঔষধের ফ্রি স্যাম্পল ও নিন্মমানের ঔষধ বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সরজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, কালিয়াকৈর ও সফিপুর বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারের কিছু সংখ্যক ঔষধের দোকানের লাইসেন্স বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে। তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে ঔষধ বেচা-কেনা করলেও অধিকাংশ ফার্মেসীরই কোন লাইসেন্স বা অনুমোদন নেই। ব্যবসায়ীদের যে ধরনের সনদ থাকার কথা তা-ও নেই বেশির ভাগ ঔষধের দোকানে। ড্রাগ লাইসেন্সের জন্য ফার্মেসী কাউন্সিল থেকে শর্টকোর্স পাশ করার নিয়ম রয়েছে। আর সে জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে ন্যুনতম এসএসসি বা সমমানের পাস। কিন্তু এমন অনেক দোকান রয়েছে যার মালিক এসএসসি বা সমমানের পাস নয়।  কোন কোন ঔষধের দোকানের  মালিক ডাক্তার না হয়েও  ডাক্তার সেজে বসে অছেন। তারা চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন ও পরামর্শ ছাড়াই রোগীদের ঔষধ দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সঠিক রোগ নির্নয় না করে খেয়াল খুশিমতো ঔষধ দেয়ায় সুস্থ হওয়া তো দূরের কথা রোগীরা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে  দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে করে জনস্বাস্থ হুমকির মুখে পড়ছে । এঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সচেতন ও সাধারণ মানুষ।  দেখা যায়, উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রামাঞ্চলে ঔষধের দোকান ক্রমশ বেড়েই চলছে। ওই সব লাইসেন্সবিহীন দোকান গুলোতে নাম সর্বস্ব বিভিন্ন কোম্পানির নিন্মমানের ঔষধ অধিক দামে বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে কোন কোন দোকান মালিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের  প্রেসকিপশন বা পরামর্শ ছাড়াই দেদারছে বিভিন্ন নেশাজাতীয় সিরাপ ও দ্রব্য বিক্রি করছে অভিযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি কালিয়াকৈর শাখার সভাপতি মোঃ মাহবুব বকসী বলেন, আমাদের সমিতির আওতায় ৮২টি ফার্মেসী রয়েছে। তন্মধ্যে ৬০টি ফার্মেসীর কোন লাইসেন্স বা অনুমোদন নেই। তবে যে সকল দোকানের লাইসেন্স নেই তাদেরকে দ্রুত লাইসেন্স করার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে।  মেয়াদোত্তীর্ণ  ও স্যাম্পল ঔষধ বিক্রি না করতে ফার্মেসী মালিকদের সমিতির পক্ষ থেকে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফার্মেসী গুলো তাদের সমিতির আওতাভূক্ত নয় বলে তিনি জানান।

গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ খাইরুজ্জামান বলেন, লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ঔষধের ফার্মেসী গুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ প্রবীর কুমরার সরকারকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ প্রদান করা হযেছে।

কালিয়াকৈর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে খুব দ্রুত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই