তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলু চাষ

রাণীনগরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলু চাষ,ফলন ও দামে খুশি কৃষক
[ভালুকা ডট কম : ২৯ জানুয়ারী]
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আলু চাষিরা এবার আলুর বাম্পার ফলনের পাশাপাশি লাভের স্বপ্ন দেখছেন। উপজেলায় চলতি রবিশষ্য মৌসুমে এবার আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলার প্রতিটি মাঠ জুড়ে এখন শুধু সবুজ রঙের চোখ ধাঁধাঁলো বর্ণীল সমারোহ। বার বার ধানে লোকসান হওয়ায় কৃষকরা বিকল্প আবাদ হিসেবে আলু চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন।

এ বছর বন্যা না হওয়ার কারণে রোপা-আমন ধান কাটার সাথে সাথে রবিশষ্যের উপযোগি চাষযোগ্য জমিতে কৃষকরা আগাম জাতের আলু চাষ করেন। সরকারি পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণসহ রাসায়নিক সার বিনামূল্যে যথাসময়ে বিতরণ করায় এই উপজেলার কৃষকরা আগাম আলুর চাষ করেছেন। ভালো ফলনের আশায় উপজেলার কৃষকেরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই কৃষি কর্মকর্তারাও। এবারে চলতি রবিশস্য মৌসুমে কোন প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ হানা না দেওয়ায় এবং আলু চাষের পরিবেশ অনুকূলে থাকায় আলুর পাশাপাশি সরিষা, গম ও ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রবিশস্য মৌসুমে এবারে উপজেলার ৮ইউনিয়নে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ১হাজার ৪শত ৪৫হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও এ বছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে আলু চাষিদেরকে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে যথাযথ পরামর্শ ও প্রত্যক্ষ কারিগরী সহযোগিতার কারণে আলুক্ষেত অনেকটা রোগ-বালাই মুক্ত হওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। উপজেলার সদর, মিরাট, কাশিমপুর ও একডালা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।

মিরাট গ্রামের কৃষক রহিম উদ্দিন বলেন, আমি এ বছর ৫বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেছি। হিমাগারে কিছু বীজ রেখেছিলাম আর বাঁকিটা কিনে জমিতে রোপন করেছি। আলু গাছ ভালো হওয়ায় মনে হচ্ছে এবার আলুর আশানুরুপ ফলন পাবো। ইতিমধ্যে কিছু জমির আলু উত্তোলন করে বাজারজাত করেছি। ফলন ও দাম দুটিই ভালো রয়েছে। তাই বর্তমান বাজার দর অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে কৃষকরা ধানের ক্ষতি পুষিয়ে পুরোদমে ইরি-বোরো চাষ করতে পারবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় উন্নত জাতের ক্যাডিন্যাল, ডায়মন্ড ও স্থানীয় জাতের আলু চাষ করা হয়েছে। আশা করছি হেক্টর প্রতি ১৭-১৮মেট্টিকটন ফলন পাবেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই কিছু কিছু জমি থেকে কৃষকরা আলু উত্তোলন ও বাজারজাত শুরু করেছেন। মৌসুমের শুরুতেই আলুর বাজার খুব ভালো ছিলো এবং বর্তমানেও ভালো আছে। তাই কৃষকরা এবার আলুর দামে ভালো লাভবান হবেন বলে আশা করছি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই