তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গুমারদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম

নওগাঁর গুমারদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম
[ভালুকা ডট কম : ২৫ ফেব্রুয়ারী]
২০১৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় ইউনিয়ভিত্তিক বৃত্তি কোটা সুবিধা দিতে বহিরাগত শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নওগাঁ সদর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। সদর উপজেলার গুমারদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এ ধরণের অনিয়মের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এক অভিভাবক।

সদর উপজেলার শৈলগাছী গ্রামের বাসিন্দা ও গুমারদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তিবঞ্চিত এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক হাতিম আলী গত রোববার ডাকযোগে জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত এ অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নভিত্তিক সাধারণ বৃত্তি কোটা সুবিধা দিতে ২০১৯ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় বহিরাগত এক শিক্ষার্থীকে গুমারদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম নাজিয়াত সুলতানা। সমাপনী পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ম-৩১৯৬। সে প্রকৃতপক্ষে গুমারদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী নয়। তাঁর গ্রাামের বাড়ি সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামে। গুমারদহ বিদ্যালয় থেকে মল্লিকপুর গ্রামের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। গুমারদহ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা বেগম ও সহকারী শিক্ষক বিলকিছ নাহার ক্ষমতার অপব্যবহার ও যোগ-সাজশে বহিরাগত ওই শিক্ষার্থীকে নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। এভাবে অনিয়ম করে শহরের শিক্ষার্থীদের গ্রামের স্কুলে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় গ্রামের দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা বৃত্তি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ধরণের অনিয়ম রুখতে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়ার আবেদন জানানো হয় ওই লিখিত অভিযোগে।

অভিযোগকারী হাতিম আলী বলেন, খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে নাজিয়াত সুলতানা নামের ওই শিক্ষার্থী নওগাঁ শহরের নামী একটি বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করত। শহরের ওই প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা দিলে বৃত্তির না পাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় তাঁর অভিভাবকেরা গুমারদহ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগ-সাজশ করে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার কিছু দিন আগে তাকে ওই বিদ্যালয়ে ভর্তি করান। ইউনিয়নভিত্তিক সাধারণ বৃত্তি সুবিধা পেতে এভাবে বহিরাগত শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ায় দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সদর উপজেলার শৈলগাছী ইউনিয়নের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন  সহকারী শিক্ষক বলেন, শুধু গুমারদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়, এই ইউনিয়নের অন্যান্য বিদ্যালয় থেকেও প্রায় প্রতিবছর ইউনিয়নভিত্তিক সাধারণ বৃত্তি পেতে শহরের ভালো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকে। এটা বৃত্তি পাওয়ার একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা। এ ধরণের কর্মকান্ড বন্ধ না করলে গ্রামের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় আরও নিরুৎসাহিত হবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গুমারদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা বেগম বলেন, পিইসি পরীক্ষায় কোনো ধরণের অনিয়ম করা হয়নি। যে শিক্ষার্থীকে নিয়ে এ অভিযোগ করা হচ্ছে ওই শিক্ষার্থী পিইসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ছয় মাস আগে তাঁদের বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় এবং সে কিছু দিন ক্লাসও করেছে। শিক্ষার্থী যেখানকারই হোক না কেন আমরা তাঁকে ভর্তি হতে বাধা দিতে পারি না। এখানে ওই শিক্ষার্থীকে বহিরাগত বলা সঠিক নয়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম মন্ডল বলেন, গুমারদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বহিরাগত শিক্ষার্থী পিইসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ এখনও তিনি পাননি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই