তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গফরগাঁওয়ে ধর্ষণ শেষে তরুনীকে হত্যা (আপডেট)

গফরগাঁওয়ে ধর্ষণ শেষে তরুনীকে হত্যা (আপডেট)
[ভালুকা ডট কম : ২৭ মার্চ]
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে যশরা ইউনিয়নের পাড়া ভরট গ্রামের তাকমীনা (১৯)নামের জনৈক তরুনীকে ধর্ষণের শেষে হত্যা পর মসজিদে ফজরের নামাজে আযান দেওয়ার পর  ইমামতি করে ঘাতক প্রেমিক মাদ্রাসা ছাত্র আশিকুল।

নিহত তাকমীনার মোবাইলের কললিষ্টেরর সুত্রধরে পুলিশের কাছে গ্রেফতার হওয়ার পর হত্যার ঘটনায় সাথে জড়িত অপর মাদ্রাসা ছাত্র মাহফুজ ওরফে ইছামুদ্দিন পুলিশের কাছে এসব চাঞ্চল্যকর বর্ণনা দেন। সে পাড়াভরট গ্রামের জামিয়া আরাবিয়া কাসেমুল উলুম কওমী মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র ও  রাওনা ইউনিয়নের রাওনা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে।

গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চেীধুরী জানান,গ্রেফতারকৃত মাহফুজ ওরফে ইছামুদ্দিন শুক্রবার বিজ্ঞ আদালতে তরুনী হত্যার লোমহস্যক ঘটনা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে,পার্শ্ববর্তী নান্দাইল উপজেলার তারাপাশা গ্রামের আইনাল হকের ছেলে আঠারদানা জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন ও স্থানীয় জামিয়া আরাবিয়া কাসেমুল উলুম কওমী মাদ্রসার ছাত্র আশিকুল হকের সঙ্গে পাড়া ভরট গ্রামের আব্দুল মতিনের কন্যা তাকমিনা প্রেমের সর্ম্পক ছিল। প্রেমের সর্ম্পক কারণে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল তাকমিনা। পরে পূর্বপরিকল্পনা অনুয়ারী গত সোমবার রাত ৩টায় দিকে আশিকুল হক পালিয়ে যাওয়া কথা বলে বাড়ি থেকে প্রায় ১০০গজ দূরে আঠারদানা মসজিদের কাছে তাকমিনাকে মোবাইল ফেনে ডেকে নেয়। সেখানে যাওয়া পর প্রথমেই তাকমীনাকে আশিকুল ধর্ষণ করে। এসময় সেখানে ওৎ পেতে ছিল তারই দুই বন্ধু আটককৃত মাহফুজ ও তারাপাশা গ্রামের আরিফ।পরে আশিকুল ও তার বন্ধুরা মিলে তাকমীনার হত,পা, মুখ চেপে ধরে মাথায় পাগড়ী দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তাকে হত্যা করে। লাশ টেনে হেঁচড়ে মসজিদের পাশে একটি গাছে গলায় ওড়না দিয়ে তাকমীনা লাশ ঝুলিয়ে রেখে হত্যাকারীরা চলে যায়। ফজরে নামাজের সময় হলে আশিকুল আজান দিয়ে মসজিদে ফজরে নামাজের ইমামতি করেন। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে মুসল্লীরা বের হয়ে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকমীনার লাশ দেখতে পায়। তাকমীনার পরিধেয় বস্ত্র বিভিন্ন অংশ ছেঁড়া ছিল। লাশের পাশে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পড়ে ছিল। মুসল্লীরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে থানা পুলিশকে খবর দেয়।

ময়মনসিংহ সিআইডির ক্রাইমসিন প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফের নেতৃত্বে সিআইডির একটি বিশেষ টিম এবং গফরগাঁও থানার ওসি অনুকূল সরকারের নেতৃত্বে একটি পুলিশের বিশেষ টিম মঙ্গলবার দিন ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে। বিকালে নিহতের বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে গফরগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী এবং গফরগাঁও থানার ওসি অনুকূল সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঐ এলাকায় অভিযান চালিয়ে খুনের সাথে জড়িত থাকায় সন্দেহে মাদ্রাসা ছাত্র মাহফুজকে আটক করে। আঠারদানা জামে মসজিদের ইমাম মোজাম্মেল হক জানান, বুধবার দুপুর থেকেই মুয়াজ্জিন আশিকুল হক পলাতক।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অপরাধ জগত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই