তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় দুটি কারখানা বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

ভালুকায় দুটি কারখানা বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
[ভালুকা ডট কম : ২৮ মার্চ]
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতায় সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখার লক্ষে বিজিএমই কর্তৃক ঘোষিত ছুটিতে কারখানা বন্ধের দাবীতে ও ভালুকায় বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক চালু রাখার প্রতিবাদে দুটি কারখার শ্রমিকরা শনিবার দুপুরে পৃথক পৃথক স্থানে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক তিন ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন।

জানাযায়, উপজেলার হবিরবাড়িতে অবস্থিত ক্রাউন মার্টিন অ্যাপিয়ার্স বাংলাদেশ লিঃ এর ৫ হাজার শ্রমিক বিজিএমই কর্তৃক ঘোষিত ছুটির দাবীতে দুপুর ২টা থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টা কারখানার সামনে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় শ্রমিকরা রাস্তার মাঝে লাঠিসুঠা নিয়ে দুই পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ,সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোমেন শর্মা, শিল্প পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান, ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন সহ শিল্প ও থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনরত শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে কারখানাটি ছুটি ঘোষণা করা হলে শ্রমিকরা তাদের অবরোধ তুলে নেয়। অপর দিকে হবিরবাড়ি আমতলি এলাকায় কটন গ্রুপের শ্রমিকরা একই দাবীতে মহাসড়ক দুপুর ১ টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত অবরোধ করে রাখেন। কটন গ্রুপ কারখানা ছুটি ঘোষণা করলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।

এছাড়াও স্কয়ার ফ্যাশন, রাসেল গ্রুপের একরাম সোয়েটার ও হামিদ গ্রুপ, এনডিই ইস্পাত কোম্পানি সহ বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষের লোকজন কোন ধরণের সুরক্ষা ছাড়াই শ্রমিকদেরকে দিয়ে জোরপূর্বক কাজ করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কটন গ্রুপের অ্যাডমিন ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম জানান, ৩০ মার্চ মাল রপ্তানীর ধার্য তারিখ ছিল কিন্তু শ্রমিকরা কাজ না করাতে ওই শীপম্যান্ট বাতিল করা লাগবে। এতে কারখানার ব্যাপক লোকসান গুনতে হবে।

এ ব্যাপারে হামিদ গ্রুপের অ্যাডমিন ম্যানেজার শাহজাহান নোমান ধম্বের সাথে বলেন ,ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখার কোন নির্দেশনা নেই, তাই কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কোন সমস্যা হলে আমি বুঝবো।

ময়মনসিংহ বিভাগের কলকারখানার ডিআইজি রাজিব চন্দ্র ঘোষ জানান,বিজিএমই নির্দেশনা ছিল যে সব কোম্পানিতে কাজ ও শীপম্যান্ট আছে ওই সব কোম্পানি শ্রমিকদের সুরক্ষা রেখে কাজ করাতে পারবেন। ওই ঘোষণায় অধিকাংশ মিলই বন্ধ ছিল। যে সব কোম্পানির শীপম্যান্ট ছিল সে সব কোম্পানি খোলা ছিল বটে কিন্তু শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে আজ সে সব কোম্পানিও বন্ধ হয়ে গেছে।

শিল্প পুলিশ ময়মনসিংহ অঞ্চল-৫ এর পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান জানান, সরকার বাধ্যতা মূলক কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেননি। তাই মিল কর্তৃপক্ষ ছুটি দিতে চাচ্ছেন না। তবে এ ব্যাপারে মিল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ছুটি ঘোষণা করা হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  আবুল কালাম আজাদ জানান, বিজিএমই কর্তৃক ঘোষিত ১০দিনের ছুটির দাবীতে শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করে মহা সড়ক আড়াই ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। মিল ছুটির ঘোষণা দিলে শ্রমিকরা রাস্তা থেকে ব্যারিকেড প্রত্যাহার করে নেন।#

      



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই