তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় করোনা সন্দেহে দুই রোগীর পরীক্ষা

ভালুকায় করোনা সন্দেহে দুই রোগীর পরীক্ষা
[ভালুকা ডট কম : ০৪ এপ্রিল]
ভালুকা উপজেলায় দুই রোগীকে করোনায় (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সন্দেহ থাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। একজনের রক্ত পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও  অপর জনকে ঢাকায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শুক্রবার এই রোগিদ্বয়কে ভালুকা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল।

সূত্রে জানাযায়,শুক্রবার (৩এপ্রিল) রাতে করোনা সন্দেহে উপজেলার রাংচাপড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে সাথী আক্তার(১৭) এর কয়েকদিন যাবত জ্বর ও কাঁশি ছিল। তার পরিবারের পক্ষ থেকে  ভালুকা সরকারী হাসপাতালের যোগাযোগ করলে সাথীকে সরকারী অ্যাম্বোলেন্স দিয়ে তাঁর বাড়ি থেকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের আনার পর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পপ কর্মকর্তাসহ জরুরী বিভাগের ডাক্তারের সমন্বয়ে প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ঔষধ দিয়ে বাড়ি কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেয়া হয়। শনিবার সকালে সাথীকে আবার হাসপাতালে এনে তার রক্তের নমূনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

একই রাতে ভালুকা জামিরদিয়া এলাকায় বাসিন্দা মৃত মনোয়ার হোসেনের ছেলে রবিণ(২১)গত এক সপ্তাহ যাবত জ্বর,কাশি শ্বাসকষ্টে ভোগছিলেন। রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক পরীক্ষিা নিরীক্ষা করে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। রাত ১২টার সময় ওই হাসপাতালে পৌঁছার পর জরুরী বিভাগ থেকে বলা হয় পর দিন আসার জন্য। হতদরিদ্র রবিণের মা পারভীন আক্তার  হাসপাতালের লোকজনকে বলেন বাইরে থাকার মতো তাদের কাছে টাকাও নেই ঢাকায় কোনো আত্নীয় স্বজনও নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রবিণের মার কথা আমলে নেয়নি। রবিণের মা তাঁর সন্তানকে  নিয়ে সারা রাত রাস্তায় কাটান। সকালে রবিণের মা হাসপাতালের সিকিউরিটি গার্ডকে তার ছেলের উপসর্গের বর্ণনা দিলে সিকিউরিটি গার্ডকে বলেন আপনার ছেলের কিছুই হয়নি শুনে রবিণের মা তাকে নিয়ে ভালুকায় চলে আসেন। বর্তমানে রবিণ ভালুকায় ভাড়া বাসায় অবস্থান করছেন।

রবিণের মা পারভীন আক্তার জানান, আমার ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে আসার পর হাসপাতালের ডাক্তার আমার ছেলেকে ভর্তি  করে নাই। সারাটা রাত অসুস্থ সন্তান নিয়ে রাস্তায় কাটিয়েছি। রোগী দেখে তাদের কোনো দয়া মায়া হয়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য  ও পপ কর্মকর্তা ডা.সোহেলী শারমীন জানান, আমি নিজে সাথীকে জরুরী বিভাগে পরীক্ষা করে দেখেছি। শনিবার তার রক্ত পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কি না। বাহ্যিক ভাবে যা দেখছি উপসর্গ  তাতে মনে হচ্ছে তার কোভিড-১৯ না। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই