তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় কর্মস্থলে নেই প্রশাসন অধিকাংশ কর্মকর্তা

ভালুকায় করোনার ছুটিতে অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মস্থলে নেই পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন
[ভালুকা ডট কম : ০৮ এপ্রিল]
করোনার ছুটিতে ভালুকা উপজেলা প্রশাসনের অধিকাংশ দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কর্মস্থলে উপস্থিত নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। পরিস্থিত সামাল দিতে প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মাঠে কাজ করছে স্বেচ্ছা সেবক সংগঠনের সদস্যরা।গত ২৫মার্চ থেকে করোনা ইস্যুতে সব দপ্তরে সরকারী ছুটি ঘোষণার পর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার(ভূমি),মডেল থানার ওসিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে কাজ করতে দেখা যায়।

ভালুকা একটি শিল্পখ্যাত এলাকা থাকায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোমেন শর্মা, মডেল থানা ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিনকে বিশেষ কোনো সুরক্ষা ছাড়াই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকদের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

এ ছাড়াও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও ইউএনও মাসুদ কামাল, এসি ল্যান্ড, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু,সেনা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় বিভিন্ন ইউনিয়নের ত্রাণ বিতরণসহ জনগণকে সচেতন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁরা বিভিন্ন ইউনিয়নের হাট বাজারে জনগণের উপস্থিতি ঠেকাতে মাঠে নেমে কাজ করেছেন ।

ইতিমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু বিভিন্ন এলাকায় তাঁর ব্যক্তিগত ও সরকারী তহবিল থেকে কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। করোনা মোকবেলায় নিজ নিজ এলাকা লকডাউন করার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের সহযোগীতায় স্বেচ্ছা সেবকরা এলাকা ভিত্তিক রাস্তায় বাঁশ বেঁধে,কাঠ ফেলে রাস্তা ব্যারিকেড দিয়েছে।

দেশের এ দুযোর্গ মোকাবেলায় ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে প্রশাসনকে সহযোগীতা করার জন্য গত ৫এপ্রিল উপজেলা পরিষদের সব দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে স্থানীয় এম,পি একটি সভা করেন। কিন্তু সরকারী নির্দেশনা ও ওই সভার সিদ্ধান্তকে অনেক কর্মকর্তাই আমলে না নিয়ে পরিবারের সাথে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এ ছুটিতে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে ছুটি কালিন সময়ে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে হবে।

কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার ব্যাপারে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নঈম উদ্দিনের সাথে কথা হয়, তিনি জানান আমি এখন ঢাকায় আছি। তাঁকে প্রশ্ন করা হয় এ ছুটিতে তো আপনাকে স্টেশনে  থাকার কথা, উত্তরে তিনি জানান, আমি যে স্টেশনে নেই সেটা আপনি পেপারে লিখে দেন।

এ সব ব্যাপারে কথা হয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নার্গিস আক্তার জানান,আমি এখন ময়মনসিংহে আছি। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল আউয়াল জানান আমি এখন ভালুকার বাইরে আছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বজলুর রশিদ জানান, আমি জামালপুরে নিজ বাসায় অবস্থান করছি,উপজেলা প্রকৌশলীর সরকারী নম্বর বন্ধ ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।

ইউএনও মাসুদ কামাল জানান,এ ছুটিতে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা রয়েছে। দেশে এ দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য গত ৫এপ্রিল এম,পি মহোদয়ের নির্দেশ দিয়েছে সবাইকে স্টেশনে থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করার জন্য। অনেক কর্মকর্তাই স্টেশনে নেই। কিছু কিছু কর্মকর্তা আমার কাজে সহযোগিতা করছেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাঠে কাজ করছি। আমি নিজে পুলিশ নিয়ে বিভিন্ন বাজারে গিয়ে জনসমাগম বন্ধ করছি। কিছু কর্মকর্তা ছাড়া,উপজেলা প্রশাসনের অধিকাংশ কর্মকর্তাই এ সময় আমার সাথে কাজ করছেন না। সবাই মিলে একসাথে কাজ না করায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছি।

স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু বলেন, গত ৫এপ্রিল উপজেলা পরিষদের সব বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে মিটিং করেছি। যে সব কর্মকর্তারা স্টেশনে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন না তাদেরকে ডাকবাংলো গুলো খালি করে দেয়ার জন্য বলে দিয়েছি। তারপরও যদি আবাসনের সমস্যা থাকে তাহলে উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনের অনেক রুম খালি আছে সেখানে থাকার ব্যবস্থা করা জন্য ইউএনওকে নির্দেশে  দিয়েছি। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই