তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ-ন্যাপ

১২১তম জন্মবাীর্ষকী
কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ-ন্যাপ
[ভালুকা ডট কম : ২৪ মে]
আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালী মুসলমানদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তিনি আমাদের রেনেসাঁর অগ্রদূত। নজরুল না জন্মালে অবহেলিত বঞ্চিত শোষিত বাঙ্গালী মুসলমানের আত্মদর্শন সম্ভব হতোনা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

রোববার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।২৫ মে কাজী নজরুল ইসলাম রচিত জনপ্রিয় সংগীত "ও ম রমজানেরও রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ" গানেরও ৮৮তম বর্ষ পূতি হতে যাচ্ছে। ১৯৩২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঈদ-উল-ফিতরের সময় তিনি এগানটি রচনা করেন।

তারা বলেন, কাজী নজরুলের অসামান্য ও ব্যতিক্রম সৃষ্টি ধারা ও উজ্জ্বল কর্মপ্রবাহ বাংলা সাহিত্যকে যেমন দিয়েছে সমৃদ্ধ সংযোজন তেমনি বাঙালি জাতিকে দিয়েছে গভীর প্রণোদনা শক্তি। নজরুল চেতনা ও তাঁর দর্শন দিয়েছে নব নব পথের সন্ধান। জাতীয় কবি হিসাবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি আজ সময়ের দাবী। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দি পূরনের প্রাক্কালে সরকার জাতীয় কবিকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘দ্রোহ’ যেমন দিয়েছে তাকে বিদ্রোহী’র অপরাজেয় মুকুট, তেমনি বাংলা তথা ভারতবাসী’র অন্তরস্থিত চেতনায় দারুণ আলোড়ন সৃষ্টি করে যা উদ্দীপনার উৎস রূপে প্রতিভাত হয়। কাজী নজরুল সাম্রাজ্যবাদের ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তাঁর রচনা ও তাঁর সৃষ্টিশীল কর্মতৎপরতার মধ্যে বিদেশি শক্তির শোষণ দু:শাসন থেকে মুক্তিই ছিলো প্রধান লক্ষ্য।

ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম সাম্রাজ্যবাদরে কালো থাবা থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। কলম হয়েছিল তাঁর অস্ত্র। ইংরেজদের শোষণ অপশাসন জাতির অবস্থাকে বিপন্ন করে তুলে ছিলো। ইংরেজদের মূল লক্ষ্য সমস্ত অর্থ ও সম্পদ লুট এবং নিজ দেশে পাচার করা। নবযুগে কাজ করার সময় নজরুলের রাজনৈতিক চিন্তার পরিপক্কতা তৈরি হয়। বিস্তার ঘটে রাজনৈতিক চিন্তার। ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তিনি মুজফ্ফর আহমেদের সঙ্গী হন। আগ্নেয়গিরির উদগীরণের মতো বিস্ফোরিত নজরুলের ‘বিদ্রোহী কবিতা’। তিনি এমনই বিদ্রোহী তিনি বলেন, ‘বিশ্ব চাড়ায়ে উঠিয়াছি একা, আমি চির উন্নত শির’।

তারা বলেন, ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি এর আগে কোন কবি সাহিত্যিক তো দূরের কথা কোনো রাজনৈতিক নেতাও করার সাহস করেননি। তিনি ধূমকেতু পত্রিকায় ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি করেন। তখন স্বরাজ নিয়ে ছিলো নেতাদের মতবিরোধ এই সময় কবি বললেন ধূমকেতু পত্রিকায়। নজরুল ধূমকেতু’র ১৩শ সংখ্যায় ১৩ অক্টোবর ১৯২২ এ ভারতের জন্য পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি উত্থাপন করেন, তিনি বলেন- "স্বরাজ টরাজ বুঝি না, কেননা, ও কথাটার মানে এক এক মহারথী এ এক করে থাকেন। ভারতবর্ষের এক পরমাণু অংশ বিদেশীদের অধীনে থাকবে না। ভারতবর্ষের সম্পূর্ণ দায়িত্ব, সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রক্ষা, শাসনভার সমস্ত থাকবে ভারতের হাতে।"

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ভারতের স্বাধীনতায় যেমন কাজী নজরুল ইসলামের অবদান রয়েছে তেমনি পরবর্তীকালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে কবি হয়েছেন প্রণোদনা শক্তি। ভীত সন্ত্রস্ত হয়েছে ব্রিটিশ সরকার। দ্রোহের কবি, সাম্যের কবি, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে, ঔপনিবেশিক শোষণ শাসনের বিরুদ্ধে জ্বলন্ত প্রতিবাদ কাজী নজরুল ইসলাম।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

রাজনীতি বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই