তারিখ : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গৌরীপুরে দেড় বছর ধরে ভিজিডি’র চাল পাচ্ছেনা ১৫ নারী

গৌরীপুরে দেড় বছর ধরে ভিজিডি’র চাল পাচ্ছেনা ১৫ নারী
[ভালুকা ডট কম : ০৩ জুন]
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ১৭ মাস আগে ভিজিডি সুবিধাভোগীর তালিকাভুক্ত হয়েও ১৫ জন নারীর ভাগ্যে জুটেনি তাদের প্রাপ্য বরাদ্দের চাল। অভিযোগ ওঠেছে তাদের নামে বরাদ্দকৃত চাল ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মাতাব্বররা। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নে।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও ঈদের আগে এ ইউনিয়নে দুই মাসের (এপ্রিল-মে) ভিজিডির বরাদ্ধকৃত চাল উত্তোলন হলেও অজ্ঞাত কারনে চাল বিতরণ হয়নি ৩২৮ জন ভিজিডি কার্ডধারীর মাঝে। এ নিয়ে উপকারভোগীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগে প্রকাশ, ভিজিডির তালিকাভুক্তি কথা বলে বোকাইনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ১৫ জন নারীর কাছ থেকে ২০১৮ সনে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি নেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মাতব্বরগণ। পরে দীর্ঘ দিনেও তাদের তালিকাভুক্ত হওয়ার কোনো খবর না থাকায় ওই নারীরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে খোঁজ নিলে তাদেরকে জানানো হয় এখনও কার্ড হয়নি। তালিকাভুক্ত হলেই তাদের জানানো হবে।

এদিকে ভুক্তভোগীরা অতি সম্প্রতি জানতে পারেন যে তারা ভিজিডির তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগী। অথচ তাদের নামে বরাদ্দকৃত চাল জনপ্রতিনিধি ও মাতাব্বরগণ নিয়মিত উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করছেন। এ অনিয়ম-দুর্নীতির খবর জানাজানি হলে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সেঁজুতি ধরের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে বোকাইনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগকারী নারীরা যে চাল পায়না তা আমার জানা নেই। যদি আগে জানাতো তাহলে একটা ব্যবস্থা করা যেতো। এখন খোঁজ নিয়ে দেখবো কি করা যায়। এদিকে এপ্রিল-মে মাসের বরাদ্ধের চাল বিতরণ প্রসঙ্গে তিনি জানান,এটা তো আমার মনে নেই। দেখে জানাতে হবে। এপ্রিল-মে বরাদ্দ প্রসঙ্গে গৌরীপুর খাদ্য গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ শংকর তালুকদার জানান, যথা সময়েই চেয়ারম্যান দুই মাসের বরাদ্ধ উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর সাংবাদিকদের জানান, বরাদ্ধ বঞ্চিত নারীদের একটি অভিযোগ তাঁর কাছে এসেছে। তদন্তের জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুলতানা বেগম আকন্দ সাংবাদিকদের জানান, জুন ফাইনালের কারনে সময় পাচ্ছি না। তবে ভুক্তভোগী নারীদের ডেকে এনে কথা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই