তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভাষাণ চর দ্বীপে রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্থানান্তর করা হবে

ভাষাণ চর দ্বীপে এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্থানান্তর করা হবে
[ভালুকা ডট কম : ২৭ অক্টোবর]
বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে খুব শিগগিরি বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত জনমানবহীন ভাষাণ চর দ্বীপে স্থানান্তর করা হবে। গতকাল সরকারের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। অবশ্য এর আগেও শরণার্থীদেরকে ওই দ্বীপে স্থানান্তর করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। যদিও সরকার এখন পর্যন্ত এ ঘোষণা বাস্তবায়ন করেনি কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে এ ঘোষণা দেয়ার মাধ্যমে রোহিঙ্গা পরিস্থিতির প্রতি আন্তর্জাতিক সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে সরকার।

শরণার্থীদেরকে ভাষাণ চর দ্বীপে স্থানান্তর করা হলে অতি বৃষ্টিতে, ঝড়-তুফান কিংবা শীত মৌসুমে  তারা যে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়বে তাতে সেখানে তাদের বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাদের সম্ভাব্য এ দুরবস্থার বিষয়টি চিন্তা করে সরকার আন্তর্জাতিক সমাজ বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে। সরকার শরণার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় শত শত মাইল জুড়ে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রয়োজনীয়, খাদ্য, চিকিৎসা ও পানির তীব্র সংকট রয়েছে সেখানে। নিরাপদ খাদ্যের অভাবে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শরণার্থীরা। যদিও ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা দেখার জন্য বাংলাদেশ সফরে আসছেন এবং শরণার্থীদের দুরবস্থার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কিন্তু এই সংকট সমাধানে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। অথচ জাতিসংঘ ঘোষণা করেছে, রোহিঙ্গা মুসলমানরা বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জাতিগোষ্ঠীর একটি।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণে সরকারের দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হচ্ছে, রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য মিয়ানমার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা যাতে শরণার্থীরা নিশ্চিন্তে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে বেশ কয়েকটি চুক্তি সই করলেও শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ কারণে শরণার্থীরাও নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত মিয়ানমারে ফিরে যেতে রাজি হচ্ছে না। কারণ তাদের ওপর ফের নির্যাতন চালানো হবে না এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।

যাইহোক, আন্তর্জাতিক সমাজ রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে নাগরিক হিসেবে মেনে নিতে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে বলে শরণার্থীরা আশা করছে। কারণ মিয়ানমার সরকারের দাবি রোহিঙ্গা মুসলমানরা সেদেশের নাগরিক নয় বরং তারা বাংলাদেশি অভিবাসী। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে রোহিঙ্গারা শত শত বছর ধরে মিয়ানমারে বসবাস করে আসছে এবং তারা সেদেশের প্রকৃত নাগরিক।# 



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই