তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

মনপুরায় বাড়িতে আরাম আয়েশে ১৪ সরকারি কর্মকর্তা

মনপুরায় কর্মস্থলে না থেকে বাড়িতে আরাম আয়েশে রয়েছেন ১৪ সরকারি কর্মকর্তা
[ভালুকা ডট কম : ০৩ এপ্রিল]
ভোলার মনপুরায় উপজেলা পরিষদের নিজ নিজ কর্মস্থলে নেই ১৪ সরকারি কর্মকর্তা। মন্ত্রিপরিষদ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে সবাই অফিসে তালা দিয়ে যার যার বাড়িতে অবস্থান করছেন। এদের মধ্যে তিন সরকারি দপ্তরের প্রধান রয়েছেন উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটিতে। ওই কর্মকর্তারাও নিজ নিজ বাড়িতে আরাম আয়েশে রয়েছেন।

জনগণের এই দূর্যোগ মুহূর্তে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা, সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ব্যতীত অন্যান্য কর্মকর্তাদের অফিস ও কর্মএলাকায় পাওয়া যাচ্ছেনা। ওই সমস্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত না থাকার কারণে উপজেলার সব স্থানে করোনা ভাইরাস সর্ম্পকে সচেতনামূলক প্রচারনা ও প্রশাসনের তদারকি না থাকায় গ্রামের মানুষ সকাল-বিকাল হাট বাজারে বসে আড্ডা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে গ্রামের মানুষের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশংকা করছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও উপজেলার চারটি ইউনিয়নে উপস্থিত ওই পাঁচ কর্মকর্তার সাথে থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন সকাল-বিকাল ত্রান কার্যক্রম পরিচালনা করতে হিমশীম খাচ্ছেন।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছেন। এছাড়াও মুদি দোকান, ঔষধের দোকান,ফল দোকান ও কাঁচা বাজারের দোকান ছাড়া সকল দোকান-পাঠ বন্ধ করে দিয়েছেন। এদিকে গণপরিবহনসহ সকল প্রকার যাত্রীবাহি নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন। এছাড়াও তিনি গত ১৭ মার্চ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে ১৫ সদস্যের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন করেছেন।

সরেজমিনে গত শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদে গিয়ে দেখা গেছে, শুনশান নিরবতা। ওই ১৪ সরকারি দপ্তরের অফিসে কোন কর্মকর্তা নেই।  সকল অফিসে তালা ঝুলতে দেখা গেছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কর্মস্থলে অনুপস্থিতদের মধ্যে- প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মোল্লা কুমিল্লা নিজ বাড়িতে, কৃষি অফিসার আকাশ বৈড়াগী পিরোজপুর নিজ বাড়িতে, তথ্য কর্মকর্তা আসমা হক ভোলা সদরে নিজ বাড়িতে, জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ বরিশালের নিজ বাড়িতে, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস খুলনায় নিজ বাড়িতে, সমবায় কর্মকর্তা ফয়েজ আহম্মদ ঢাকায় নিজ বাড়িতে, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান অতিরিক্ত দায়িত্বে তজুমুদ্দিনে, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুপকুমার পাল অতিরিক্ত দায়িত্বে, সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ অতিরিক্ত দায়িত্বে তজুমুদ্দিনে কর্মস্থলে, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা টিপু সুলতান, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা দায়িত্বে মোঃ তারেক, খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা আবু সাইদ (অতিরিক্ত দায়িত্বে), হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ ইমতিয়াজ (অতিরিক্ত দায়িত্বে) লালমোহনে, ইউআরসি কর্মকর্তা সাইদ মোঃ রেজাউল করিম, সাবরেজিস্টার নিহার রঞ্জন বিশ্বাস, উপজেলা দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা মোঃ মোকাম্মেল হক তজুমুদ্দিনে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। এদের সবার সাথে মুঠোফোনে আলাপ করে এই তথ্য জানা যায়।

এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, বেশিরভাগ কর্মকর্তা কর্মস্থলে না থাকায় ত্রান পরিচালনা ও সচেতনতা কার্যক্রমে হিমশীম খেতে হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা না মেনে যারা কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকার বিষয়টি তাদের সবার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে  অবহিত করা হয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই