তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গৌরীপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার তালিকায় ব্যপক অনিয়ম

গৌরীপুর মাওহা ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর নগদ উপহার তালিকায় ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ২১ মে]
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করোনা দুর্যোগে ২৫শ টাকার উপহার তালিকায় অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে।এই তালিকায় বিশাল সহায়-সম্পদ ও পাকা বাড়ি আছে এমন ব্যক্তির নামও রয়েছে। এ তালিকাতে রয়েছে দাদু, মা-বাবা-নাতী,ছেলেসহ একই পরিবারের একাধিক সদস্য । ভিজিডি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে নাম থাকার পরও এ তালিকায় নাম দেয়া হয়েছে তাদের। এ ছাড়া ওয়ার্ড ভিত্তিক নাম তালিকায় বণ্টনের অভিযোগও উঠেছে।

বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ই্উএনও) বরাবরে এ অভিযোগ করেন ভুটিয়ারকোনা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোহাম্মদ জিএম। অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেঁজুতি ধর জানান, কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাওহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কবীর উদ্দিন জানান, তালিকা প্রণয়নের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। প্রধানমন্ত্রী দিয়েছিলেন রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, দোকান-কর্মচারীসহ নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য। এ তালিকায় লাখপতি আর শত শত মন ধান পায় এমন কৃষকের নামও রয়েছে। তালিকা প্রণয়নে চরম দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতি হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন ও দুস্থদের জন্য আড়াই হাজার টাকা করে প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ উপহার মাওহা ইউনিয়নে পাচ্ছেন ৫৩০ জন। ৯টি ওয়ার্ডের প্রত্যেক ওয়ার্ডে প্রায় ৫৯ জন তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা ছিল। অথচ এ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে ২৩০ জনকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ওযার্ড  ইউপি সদস্য এখলাস উদ্দিন খোদা নেওয়াজ জানান, আমি তালিকার বিষয়ে কিছুই জানি না, কতজন এ ওয়ার্ডে হয়েছে তাও বলতে পারব না। চেয়ারম্যান বলতে পারবেন।

এদিকে শুধুমাত্র ১নং ওয়ার্ডের ধারাকান্দি গ্রামের মৃত গফুর আলীর ছেলে মো. মজিবুর রহমান (তালিকায় ক্রমিক নং ২৪০), মজিবুর রহমানের স্ত্রী মোছা. মনোয়ারা (২৪১), তার দু’ভাই সাইফুল মিয়া (২৪২), বাবুল মিয়া (২৪৫), তার মা ফুলবানু (৩৫৭) নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমন অনেক পরিবারের একাধিক সদস্যকে প্রধানমন্ত্রীর নগদ উপহারের তালিকাভুক্ত করার প্রমান মিলেছে। একই  গ্রামের মৃত আনফর আলীর ছেলে মো. আবদুল জলিল (২৪৪), তার ভাই মো. আরশাদ আলী (২৫০) আর আরশাদ আলীর স্ত্রী মোছা. রিপার নামে  রয়েছে প্রতিমাসে ৩০ কেজি চালের ভিজিডি কার্ড।

এ ওয়ার্ডের  ইউপি সদস্য এন্ট্রাস মিয়া বলেন, গ্রামের দরিদ্র মানুষের আইডি কার্ডের ফটোকপি আমি এনেছিলাম, পরে  তালিকায় কাদের নাম উঠানো হয়েছে তা আমার জানা নেই। অপরদিকে দীর্ঘদিন প্রবাস থেকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী পাকা ভবনের মালিক বাঢ়া গ্রামের মো. মফিজ উদ্দিনের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুনের নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নগদ উপহার তালিকায়। তিনি বলেন, বিদেশে ছিলাম-এখন ঢাকায় কাজ করছি। আপনাদের বিবেক দিলে দিবেন, না দিলে অভিযোগ নেই। এমন আরও অনেক সম্পদশালীদের নাম প্রধানমন্ত্রীর নগদ টাকার তালিকায় দেখে এলাকাবাসী বিস্মিত।

অভিযোগকারী গোলাম মোহাম্মদ জিএম মাষ্টার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নগদ টাকার উপহার তালিকা প্রণয়নে একটি কমিটি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা হয়নি। এক্ষেত্রে তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হওয়ার আমি প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চেয়েছি। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানার জন্য মাওহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রমিজ উদ্দিন স্বপনের মোবাইলে কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই