তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকার পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

ভালুকার পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই
[ভালুকা ডট কম : ০৯ জুলাই]
পশুর হাটে গিজগিজ করছে পশু আর মানুষ। একজন আরেক জনের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে করছেন পশুর দরদাম। সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ঝুঁকি নিয়ে পশুর কেনা বেচা চলছে। হাটে অধিকাংশ লোকের মুখে মাস্ক নেই, কারও কারও থাকলেও তা নামানো থুতনিতে। ভালুকা উপজেলার বাটাজোর হাটে এ দৃশ্য দেখা গেছে।

উপজেলার পশুর হাটের মধ্যে সবচেয়ে বড় বাটাজোরের পশুর হাট। ৩০০ থেকে ৩৫০ পশু কেনাবেচা হয় এই হাটে। বাজারটি ওয়াকফ স্ট্যাটের বাজার, তাই কোনো ইজারাদার নেই। স্থানীয় হিমেল তালুকদার আরও কয়েকজনের সহযোগিতায় বাজারটি পরিচালনা করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, হাটের সব ধরনের দোকান খুলা। মাছ,মাংশ ও সবজির দোকান গুলোতে গিজগিজ করা মানুষ। গা ঘেঁষে হাঁস-মুরগি ও মাংস কিনছেন অনেকে। দেখে যেন মনে হয়, করোনার  প্রাদুর্ভাবের কোনো চিন্তা নেই এই হাটে। অর্থাৎ আগের মতো সবকিছু স্বাভাবিক।

হাটে গরু বিক্রি করতে আসা মোঃ মোতালেব বলেন, গত চার বছর ধরে দুটি করে ষাঁড় কুরবানীর ঈদে বেচার জন্য  লালন-পালন করেন তিনি । এবারও তাই করেছেন। করোনা ভাইরাসের জন্য এই বছর গরুর বাজার বেশি জমে উঠবে না। এই আশঙ্কা থেকে এক মাস আগেই তাঁর গরু দুটি বাজারে তুলেছেন। তাঁর গরু দুটির দাম হাকাচ্ছেন সাড়ে চার লাখ টাকা। এক ব্যক্তি আড়াই লাখ টাকা বলেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

বেলা সোয়া ৩ টার দিকে একই বাজারের জামাল নামের এক চায়ের দোকানে ২৩ জন লোকের মধ্যে চার জনকে চা পান করতে দেখা যায়। এদের মধ্যে ১৮ জনের মুখে মাস্ক নেই।

কলা বিক্রি করতে আসা বৃদ্ধ মান্নান শেখ বলেন, চাচা সবকিছু স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলিছে। অহন (এখন) আর করোনারে ডরাই না। আমাগো দেশ থেইক্ষা চলি গেছে করোনা ।

হাটের স্বাস্থ্য বিধির বিষয়ে বাজার পরিচালনাকারী হিমেল তালুকদার বলেন, করোনা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় এই হাটে এখন তেমন জনসমাগম হয়না। আর করোনার কারণে এবার পশুর হাটটি চারটি স্থানে ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য হাটে মাইকিং করা হচ্ছে।

উপজেলার পশুর হাটের স্বাস্থ্য বিধির বিষয়ে জানতে চাইলে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ কামাল বলেন, কুরবানীর পশুর হাটে স্বাস্থ্য বিধির ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোমেন শর্মাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়ছে। ঈদের দিন পর্যন্ত উপজেলার সবগুলো পশুর হাট তিনি মনিটরিং করবেন। বাজার কমিটিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মাস্ক, গ্লাভস ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করার কথা বিক্রেতাদের। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চললে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই