তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রায়গঞ্জে আজো নির্মিত হয়নি গাড়ুদহ সেতু

রায়গঞ্জে আজো নির্মিত হয়নি গাড়ুদহ সেতু,দুই থানার ২০ হাজার লোকের দুর্ভোগ চরমে
[ভালুকা ডট কম : ১৪ জুলাই]
রায়গঞ্জে ঘুরকা-সলঙ্গা সড়কে গাড়ুদহ নদীর উপর বহু প্রত্যাশিত সেতুটি আজো নির্মিত হয়নি। স্বাধীনতা লাভের পর থেকে একাধিকবার এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে আবেদন নিবেদন করেও গত ৪০ বছরে কোন কাজ হয়নি। ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ ঐ সড়কে চলাচলকারী রায়গঞ্জ ও সলঙ্গা থানা এলাকার প্রায় ২০ হাজার লোকের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের উত্তর ভরমোহনী গ্রামে বাহাজ মাস্টারের বাড়ি নিকট সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত স্থানে এক সময় খেয়া নৌকাই ছিল পারাপারের একমাত্র ভরসা। এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে এনদী পারাপার বন্ধ হয়ে যেত। রাতে খেয়া নৌকা না থাকায় জরুরী প্রয়োজনেও কেউ নদী পার হতে পারত না। পরে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এই নদীতে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। এই সাঁকো হয়ে প্রতিদিন নদীর উভয় তীরে অবস্থিত জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান- যথাক্রমে ধুবিল ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, মেহমানশাহী হাই স্কুল, চরধুবিল প্রাইমারি স্কুল, জগন্নাথপুর দাখিল মাদ্রাসা, মসজিদ, কবরস্থান, কালী মন্দির, দুর্গা মন্দির, শ্বশান ঘাট ও সলঙ্গারচর বাজারে যাতায়াত করে থাকেন। প্রতি বছর সাঁকোটি বার বার মেরামত করতে হয়।

অনেক সময় মেরামত বিলম্ব হলে এপথে চলাচল একদম বন্ধ হয়ে যায়। এলাকাবাসীর জন্য এই সড়ক সদর এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র পথ হলেও সতু না থাকায় ভারী কোন মালামাল বর্ষা মৌসুমে কোন বাড়িতে আনা নেয়া সম্ভব হয় না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল মাদ্রাসার শত শত শিশু শিক্ষার্থীরা চলাচল করে এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে। সরেজমিনে গেলে এসব কথা বলেন- স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা বাহাজ উদ্দীন মাস্টার, ডা: নান্নু,  ছানোয়ার হোসেনসহ উত্তরপাড়া ভরমোহনী ও পাশ্ববর্তী কয়েক গ্রামের বাসিন্দারা।

এব্যাপারে ধুবিল ইউপি চেয়ারম্যান হাসান ইমাম তালুকদার বলেন, এলাকাবাসীর লিখিত আবেদনে জোর সুপারিশ করে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে একাধিকবার পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সেতুটির প্রকল্প অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলমান আছে।

রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ গোলাম রব্বানী জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন- নির্ধারিত  স্থানে ৬০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের নকসা ও প্রাক্কলন চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি চুড়ান্ত অনুমোদন এবং প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চলতি অর্থবছরের শেষভাগে হতে পারে বলে তিনি জানান। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই