তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নতুন মহাপরিচালক নিয়োগ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলম
[ভালুকা ডট কম : ২৩ জুলাই]
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি হেলথ) হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সমালোচনার মুখে পদত্যাগকারী ডিজি অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তিনি।

আজ (বৃহস্পতিবার) উপসচিব (পার-২) মো. আবু রায়হান মিঞা’র সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। অবিলম্বে তাকে এই পদে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (২১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহপরিচালক (ডিজি হেলথ) পদ থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। ওই দিন সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন দিকে একের পর এক যখন অনিয়ম-দুর্নীতির খবর বেরিয়ে আসছে, তখনই পদত্যাগ করলেন তিনি। পরে আজ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে অধ্যাপক ডা. আবুল কালামের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত এক আদেশও জারি হয়েছে।

দেশে করোনাভাাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে। তাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শুরু থেকেই ছিল চাপের মুখে। অধিদপ্তরের প্রধান হিসেবে অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদকেও নানা ধরনের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। এর আগে অনুমতি ছাড়া বাসায় গিয়ে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ, সরকারিভাবে পরীক্ষা করিয়েও টাকা নেওয়া, নমুনা পরীক্ষা না করিয়েই করোনা রিপোর্ট দেওয়ার মতো প্রতারণার অভিযোগ ওঠে জেকেজি হেলথকেয়ারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত হলেও জেকেজি’কে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগও ওঠে অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে।

সবশেষ রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণা-অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে আসে। জানা যায়, লাইসেন্সের মেয়াদ ছয় বছর আগে শেষ হলেও হাসপাতালটির সঙ্গে কোভিড চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চুক্তি সই করেছিল অধিদপ্তর। হাসপাতালটির বিরুদ্ধে নানা প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেলেও অধিদপ্তর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সবশেষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা’র নির্দেশে রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছিল।

এই বিজ্ঞপ্তিতে নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘তোপের মুখে’ পড়েন ডিজি হেলথ। তাকে মন্ত্রণালয় থেকে ‘শোকজ’ করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা’র বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। পরে মহাপরিচালক তার ব্যাখ্যায় ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা’ হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই সময়ে সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলামের নাম বলেন। এ ব্যাখ্যার পর মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে শেষ পর্যন্ত অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ সরেই দাঁড়িয়েছেন।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই