তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় হত্যা পর গোপনে লাশ দাফনের চেষ্টা,আটক ৩

ভালুকায় হত্যা পর গোপনে লাশ দাফনের চেষ্টা,জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী,ছেলে ও বাসার মালিক আটক
[ভালুকা ডট কম : ০৬ আগস্ট]
ভালুকায় খোকন মিয়া (৪৫)নামে এক রিক্সা ওয়ালার লাশ গোপনে দাফন করার উদ্দেশ্য গোসল করানোর সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ন দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৩জনকে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার(৬আগস্ট) ভোরে উপজেলার জামিরদিয়া গ্রামের কড়ইতলী এলাকায়। নিহত খোকন গফরগাঁও উপজেলার খারুয়ামোকন্দ গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, খোকন মিয়া গত দুই বছর যাবত জামিরদিয়া এলাকার মাইন উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থেকে রিক্সা চালাতেন, তাঁর স্ত্রী দেলোয়ারা খাতুন(৪০) রিদিশা টেক্সাটাইল মিল ও ছেলে রাসেল মিয়া(২০) আরিফ কম্পোজিট মিলে চাকুরি করতো। তাদের সংসারে প্রায় সময় ঝগড়া গেলে থাকতো। ভোরে ছেলে রাসেল ডিউটির জন্য বাসা থেকে বের হয়ে দেখেন তাঁর বাবা রশি দিয়ে কাঁঠাল গাছে ঝুলে আত্নহত্যা করেছে। পিতার লাশ দেখতে পেয়ে রাসেল মিয়া বাসার মালিককে ডেকে আনেন,ঘটনাটি দেখালে তিনি (মাইন উদ্দিন) লাশটি দাফনের জন্য গফরগাঁও এ তাদের নিজ বাড়িতে নিয়ে যেতে বলেন। সকালে পিতার রিক্সাতে লাশ বসিয়ে মা দেলোয়ারা খাতুন লাশ ধরে রাখে আর ছেলে রাসেল রিক্সা চালিয়ে লাশ গফরগাঁও এ গ্রামের বাড়িতে দাফনের জন্য নিয়ে যান। খোকন মিয়ার বাড়িতে লাশ দাফনের জন্য নেয়ার পর লাশের গোসল দেয়ার সময় খোকনের অন্ডকোষ থেতলানো,পিঠ ও হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন দেখে ছেলে ও স্ত্রীকে স্থানীয় লোকজন আটক করে গফরগাঁও থানা পুলিশের হাতে তোলে দেন।

গফরগাঁও থানার ওসি(তদন্ত)পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন মৃতের গায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখে ভালুকা মডেল থানা পুলিশকে খবর দেন। ভালুকা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসার মালিক মাইন উদ্দিনকে তার বাসা থেকে থানায় নিয়ে আসেন। মৃত্যুর ঘটনা সন্দেহ হওয়ায় ভালুকা থানার এস,আই ইকবাল হোসেন নিহতের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (মচিহা) মর্গে প্রেরণ করেন। পুলিশ ধারণা করছে খোকনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখা হয়ে ছিল।

বাসার মালিক মাইন উদ্দিন জানান,ভোরে নিহতের ছেলে আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে জানায় তার বাবা ফাঁসিতে আত্নহত্যা করেছেন। আমি লাশ দেখে তাদেরকে বলি লাশ নিয়ে তাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তারা রিক্সা দিয়ে লাশ গফরগাঁও এ নিয়ে যায়।

গফরগাঁও এর রাওনা ইউপি চেয়ারম্যান সহাবোল আহম্মেদ জানান, মা ও ছেলে মিলে রিক্সায় করে ভালুকা থেকে লাশ আনা ও গায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখে এ মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।

লাশের সুরত হাল প্রস্তুতকারী ভালুকা মডেল থানার এস,আই ইকবাল হোসেন জানান,নিহতের পায়ে,পিঠে ও অন্ডকোষে আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে হয় এটা আত্নহত্যা নয়। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী ও ছেলেকে থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, এটা আত্নহত্যা নয়, ধারণা করা হচ্ছে এটা হত্যাকান্ড। লাশের উদ্ধারের জন্য নিহতের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩জনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।  #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই