তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁয় কবুতর পালন করে স্বাবলম্বী শরিফুল

নওগাঁয় কবুতর পালন করে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে দৃষ্টান্তর স্থাপন করেছেন মুয়াজ্জিন শরিফুল ইসলাম
[ভালুকা ডট কম : ১২ আগস্ট]
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মুয়াজ্জিন শরিফুল ইসলাম কবুতর পালন করে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে দৃষ্টান্তর স্থাপন করেছেন। শান্তির প্রতীক হিসেবে পরিচিত কবুতর। বর্তমানে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে কবুতর প্রতিপালন করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ শখের বশে কবুতর পালন করে থাকেন।

এমনই একজন নওগাঁর আত্রাইয়ে কবুতর প্রতিপালন করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সৌখিন কবুতর প্রেমী এক মসজিদের মুয়াজ্জিন শরিফুল ইসলাম। তিনি ৫ওয়াক্ত আযান ও নামাজের পর অবসর সময় পার করতে এবং বাড়তি আয় করে স্বাবলম্বী হতে গড়ে তুলেছেন দেশী-বিদেশী বাহারী রকমারি কবুতরের ফার্ম। কবুতর তার খুব প্রিয়, তাই তার কবুতর প্রীতিতে বিড়ল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।

জানা যায়, উপজেলার মালিপুকুর জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের চকদৌলত গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে। প্রায় বছর দেড়েক আগে তিনি এ মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে কর্মে যোগদান করেন। ৫ ওয়াক্ত নামাজের আযান ও নামাজের পর অবসর সময় অতিবাহিত করতে অনেকটা সখ করেই প্রথমে কয়েকটি কবুতর কিনে পালন করতে শুরু করেন। কিন্তু পরবর্তীতে কবুতরের প্রতি তার আসক্ততা বেড়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে দেশী-বিদেশী রকমারী কবুতর সংগ্রহ শুরু করেন। এক পর্যায় গড়ে তুলেন দেশী-বিদেশী কবুতরের ফার্ম। বর্তমানে তার ফার্মে সিরাজী, মক্কী, লাটকা, ময়ূরী, গীরিবাজ, বোখারাসহ দেশি-বিদেশী প্রায় ১০০ জোড়া কবুতর রয়েছে। মূল্যবান এসব কবুতর তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করেছেন।

মুয়াজ্জিন ক্বারী শরিফুল ইসলাম জানান, কবুতরের প্রতি আমার অগাধ ভালবাসা জন্ম নিয়েছে। কবুতর প্রতিপালন করে একদিকে আমার সময় কাটে, অপরদিকে আর্থিক আয়ও হয়। আমার খামারে যেসব কবুতর রয়েছে তার সবগুলোই দর্শনীয় এবং উচ্চ মূল্যের। বর্তমান বাজারে সিরাজী ২৫০০ টাকা জোড়া, মক্কী ২৫০০ টাকা জোড়া, লাটকা, ২০০০ টাকা জোড়া ময়ূরী ২২০০ টাকা জোড়া, গীরিবাজ ইন্ডিয়ান ১২০০ টাকা জোড়া, গীরিবাজ দুবাই ১৭০০ টাকা জোড়া, এবং বোখারা ৩০০০ টাকা জোড়া ক্রয় বিক্রয় হয়। আমার এ কবুতর ফারাম থেকে প্রতি মাসে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়।

মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের মুয়াজ্জিন সাহেব খুব কর্মপরায়ন। আমরা মসজিদ থেকে যে হাদিয়া দেই তা তার প্রয়োজনের চাইতে খুবই অপ্রতুল। এর সাথে তিনি কবুতরের ফার্ম করে বাড়তি আয় করে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন। এটা সকলের জন্যই দিকনির্দেশনা মূলক। সকল মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনগণ ইমামতি ও মুয়াজ্জিনীর পাশাপাশি অন্য কোন পেশায় সম্পৃক্ত হতে পারলে তারাও সমাজে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

লাইফস্টাইল বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই