তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নির্ধারিত মূল্য উপেক্ষা করেই গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা

গৌরীপুরে সরকার নির্ধারিত মূল্য ও অনুমোদন উপেক্ষা করেই চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা
[ভালুকা ডট কম : ২৩ আগস্ট]
সরকার এলপি গ্যাস সিলিন্ডার (১২.৫ কেজি) দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন ৬০০ টাকা। কিন্তু ময়মনসিংহের গৌরীপুর বাজারসহ এ উপজেলার অন্যান্য বাজারগুলোতেও সরকারের এই নির্দেশনা কেউ মানছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

এলপি গ্যাস ক্রয় করতে আসা কয়েকজন ক্রেতা বলেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানতে পারি এলপি গ্যাসের দাম সরকার নাকি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করেছেন কিন্তু বাজারে এসে দেখি আগের দামেই বিক্রয় হচ্ছে এলপি গ্যাস। সরকারের এই নির্দেশ অমান্য করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও ডিলার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন কোম্পানীর প্রকারভেদে গ্যাস সিলিন্ডার প্রতি ৭৮০ থেকে ৮৩০ টাকা পর্যন্ত মূল্য নিচ্ছে। গ্রামের বাজারগুলোতে ৮০০-৮৫০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। দেশে করোনা ও বন্যার দুর্যোগ মহুর্তেও জনসাধারণের সাথে এটা বড় ধরণের জালিয়াতি, যা মোটেও সাধারণ মানুষের কাম্য নয়। গ্যাস সিলিন্ডারের দামের বিষয়ে কয়েকজন দোকানদার জানান, ডিলারদের কাছ থেকে কিনতে হচ্ছে বেশি দামে যার ফলে আমাদেরও বেশি দামেই বিক্রয় করতে হচ্ছে।

এ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও ছোট-বড় মোড়গুলোতেও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিক্রয় হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। অনুমোদনহীন বহু দোকানে চলছে এই ব্যবসা। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য  রাস্তার পাশে যেনতেনভাবে ফেলে রাখা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। এতে যে কোন সময় ভয়াবহ দূর্ঘটনার আশক্সক্ষা থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের এ বিষয়ে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। আর এই ব্যাপারে মূল দায়িত্ব বিষ্ফোরক পরিদপ্তরের থাকলেও তাদের নেই কোন তদারকি ।

গৌরীপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, চায়ের দোকানেও চলছে অনুমোদনহীন গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা। সরিজমিনে দেখা যায়, নির্দিষ্ট গুদামে না রেখে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় খোলা স্থানে রাখা হয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার। রাস্তার পাশেই চলছে বিক্রি। বর্তমানে এই ব্যবসা শহর-গ্রামের অলিগলিতেও পৌঁছে গেছে। বিভিন্ন আবাসিক এলাকাতেও যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ রাখা হচ্ছে। এতে ঘটে যেতে পারে অগ্নিসংযোগসহ মারাত্মক দূর্ঘটনা। এসব দোকান বা গোডাউনের বেশিরভাগই অনুমোদনহীন। যারা অনুমোদন নিয়েছে তারাও মানছে না কোন নিয়মনীতি। গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় করতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা রাখতে হয় কিন্তু গৌরীপুর উপজেলার শাহগঞ্জ, শ্যামগঞ্জ, ডৌহাখলা, রামগোপালপুর, গাজীপুর, গোবিন্দপুর, মুখুরিয়া, নাহড়া, কলতাপাড়া, অচিন্তপুর, ভূটিয়ারকোণা, পাছার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোন দোকানেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নেই। ফলে এ উপজেলার প্রায় দোকানদার ও ক্রেতারা রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে। জনসাধারণের হয়রানির বিষয়টি বিবেচনা করে, ভোক্তা অধিকার আইনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এ উপজেলার ভুক্তভোগী জনসাধারণ।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ এ প্রতিবেদককে বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারের দামের বিষয়টি ও অনুমোদনের বিষয়টি আগামী দিন থেকে মনিটরিং এর আওতায় আনা হবে। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই